হঠাৎ করেই জলাবদ্ধতা বিশেষজ্ঞে ভরে গিয়েছে দেশ। সরকারের দায়ভারকে অস্বীকার করে সেই সব বিশেষজ্ঞরা পরক্ষোভাবে সমস্থ দোষারোপ করছে সাধারন জনগনকে। শুধু বলছেই না “আপনার ফেলে দেওয়া পলিথিন ব্যাগ, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতলই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী” – এটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচার করা হচ্ছে টিভিসি।
আমার আপনার বাসার প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া জিনিষ জমা করা হয় বাসার ডাস্টবিনে, যা প্রতিদিন নিয়ে যাওয়ার কথা সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারদের। আমার আপনার বা আমাদের বাচ্চাদের রাস্তায় ফেলা চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল কি এই ভয়াবহ জলাবদ্ধতা স্মৃষ্টি করতে পারে? আর সেটা যদি রাস্তায় ফেলাই হয়, সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনার দের কি উচিত নয় পরিস্কার করা? কোন ভাবেই রাস্তায় চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল ফেলাকে সমর্থন করি না, কিন্তু প্রতিবছর আমি আপনি সিটি কর্পোরেশনকে ট্যাক্স দেই এই শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই।
কখনো কি ফুটপাতে বসা লক্ষ লক্ষ দোকানগুলোর কথা ভেবেছেন? কই যায় এই সব দোকানের আবর্জনা? এই ফুটপাতের দোকান গুলোর কারনেই জমা হয় প্রচুর আবর্জনা এবং সব আবর্জনা ফেলা হয় ড্রেনে।
আর এই ফুটপাতের দোকান গুলো বসে পুলিশের সহযোগিতায়। এর বিনিমনে বাংলাদেশ পুলিশ পায় কোটি কোটি টাকা চাদা আর আমি আপনি পাই জলাবদ্ধতা এবং আরো অনেক সমস্যা। আরেকটু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন, বুঝতে পারবেন, এ দেশে সব সমস্যার একমাত্র কারন বাংলাদেশ পুলিশের অদক্ষতা এবং অসততাই । অবশ্য তাদের গডফাদার হয়ে মাথার উপর ছায়া হয়ে আছে পলিটিশিয়ানরা।
সেই সব জলাবদ্ধতা বিশেষজ্ঞদের কাছে অনুরোধ, আমাদের দোষ না দিয়ে, দোষারোপ করেন সরকারকে, মেয়রদেরকে এবং ফুটপাতের দোকান গুলোকে। আমাদের একতায় একদিন পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৩