আপনারা এর মধ্যেই জানবেন যে, কোরিয়া সরকার সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। এদেশের মানুষের একটা দিক হলো- এরা সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলে। এখানে সমাজ ব্যবস্থা বয়স ভিত্তিক। মানে যার বয়স বেশী বয়সে কম অন্যরা বেশি শিক্ষিত হলেও তাকে মানতে হবে। তাদের জন্য ভাষাও আলাদা। এজন্য কেউ কথা বলতে গেলে আগে বয়স জিজ্ঞাসা করে নেয়। তারপর তার জন্য কথা বলার ফরেমট আলাদা হয়ে যায়। আমাদের দেশেও এটা আছে, আপনি, তুমি ও তুই ফরমেট। ছোটরা বাস ট্রেনে বড়দের জন্য সিট ছেড়ে দেয়। এ কারণে এরা সরকারকে খুব মান্য করে। তারা মনে করে সরকারে যারা আছেন তারা বিজ্ঞ। আমাদের চেয়ে তারা ভালো বুঝেন। একারণে তারা আমাদের জন্য যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই নির্দেশনা দিয়েছেন। এজন্য তারা আইন মানে। সরকারের খুব একটা কষ্ট হয়না। করোনা কেউ আড়াল করেনা। পত্রিকায় দেখলাম খুব কম লোকই চিকিৎসার সাথে জড়িতে সরকারি লোকজনকে অসহযোগিতা করেছে। এখানে এজন্য আইন প্রয়োগ করতে হয়না। মারামারি ঝগড়া লাগলে পুলিশ ডাকলে তারা দুই পক্ষকে বসিয়ে দেবে। নিজেরা যাতে ঝামেলা মিটমাট করতে পারে। দেখা যায় এভাবে নিরানব্বই ভাগ ঝামেলা মিটমাট হয়ে যায়। এখানে সরকারি নির্দেশনা সবার কাছে সবচেয়ে আগে শিরোধার্য। এর কারণ হতে পারে ৫৬ ভাগ মানুষের ধর্ম নেই। এজন্য এদের সন্তানরা ছোটবেলা থেকে ঘৃণা শিখেনা। আদেশ মানতে শিখে। এটাও কোরিয়া সরকারের করোনা যুদ্ধের সফলতার আরেকটি কারণ।
যাই হোক, কোরিয়া সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল কেসিডিসি থেকে এ নির্দেশনাটা দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যাতে অনুসরণ করতে পারে- সেজন্য এই ব্লগে দিয়ে দিলাম। কারো উপকারে আসলে ধন্য হবো।
এই নোটিশটা দেয়া হয়েছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (কোইকা) থেকে।
আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে যে নির্দেশনাটা দেয়া হয়েছে-
একটা বিষয় নিশ্চিত যে শরীরে করোনা ভাইরাস প্রকাশ পেতে কমপক্ষে ৫ দিন সর্বোচ্চ ১৪ দিন লাগে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে এটা সর্দি কাশি আর জ্বর ছাড়া বড় কোন অসুখ না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো করোনার চিহ্ণ প্রকাশ পেলেই দ্রুত হট লাইনে যোগাযোগ করতে হবে। এই কায়দাটাই ফলো করেছে কোরিয়া। ফলে মৃত্যুর হার কম। আমাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এ কারণেই এ নির্দেশিকাগুলো পোস্ট দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০২