সিলেটের গোয়াইনঘাটের লাঠিগ্রাম একটি হতদরিদ্র পল্লী। অভাব-অনটন এই গ্রামের কয়েকশ’ মানুষের নিত্যসহচর। নুন আনতে পান্তা ফুরায় যাদের তাদের জীবনের কীইবা মূল্য। এদেরই ৯ হতভাগ্য মানুষ মারা গেল অজ্ঞাত রোগে। এদেরই একজনের কথা বলি:
দেওয়ার গ্রামের ইউসুফ আলীর দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে আলকাছ। সোমবার রাতে মা তাকে কোন খাবার দিতে পারেননি। রাত ২টায় ঘুম থেকে জেগে মার কাছে সে ভাত চায়। ঘরে একদানা চালও না থাকায় মা ছেলেকে সকালে ভাত দেবেন সান্তনা দিয়ে এক গ্লাস পানি পান করিয়ে ঘুম পাড়ান। ভোর ৪টায় আলকাছ আবারও ঘুম থেকে জেগে মায়ের কাছে খাবার চায়। মা তখনও সকালে খাবার দেবেন বলে ছেলেকে আরও দুই গ্লাস পানি পান করিয়ে ঘুম পাড়ান। সকাল ৭টার দিকে ঘুমের মাঝে ছেলে বমি করে। এরপর ঘন ঘন তিনবার বমি করে নিস্তেজ হয়ে যায়। গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আলকাছের অবস্থা আশংকাজনক দেখে ডাক্তাররা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। গোয়াইনঘাট বাজারে সাহায্য তুলে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুরের পর পাঠালেও বিকাল ৪টার দিকে সে মারা যায়।
আমরা কি এদের জন্য কিছুই করতে পারি না??
তথ্যসুত্র: যুগান্তর, ৮ নভেম্বর, ২০০৭।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩১