১. রিমোট সেনসিং এবং জি.আই.এস বিষয়ক নতুন জবটিতে প্রায় একমাস হতে চলল। একদমই নতুন কিছু টেকনলজী এবং মেথড নিয়ে কাজ করে চলছি। প্রবাস জীবনে এইসব শিখতে গিয়ে কিছুটা আফসোস হত এই ভেবে যে দেশের কাজে লাগবে অর্জিত বিদ্যা, এমন সুযোগ পাব কি? আজ ইন্টারন্যাশনার মেইজ এন্ড হুইট ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারের (সংস্থাটি তার স্প্যানিশ নামের সংক্ষিপ্ত রূপ সি.এম.এম.ওয়াই.টি নামেই পরিচিত) একজন হয়ে বিদেশী বিদ্যা দেশের প্রয়োজনে ব্যবহারে নেমেছি। দেশের জন্য যেকোন কিছু, কারন দেশটা আমার!
২. নিজ শহরে অফিস হওয়ার তাইরে-নাইরে করে সময় কাটছে। অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার হুড়োহুড়ি পরিনত হয়েছে আড্ডা আর ঘুরে বেড়ানোতে। তবে এই সুখ মে/জুন পর্যন্তই। তারপরই ফিরতে হবে হেকোয়ার্টারে, ঢাকাতে।
৩. চাচী-ফুপিদের তৈরী করা নানা রকম শীতের পিঠায় সকাল-বিকালের নাস্তা মনোহর হয়ে উঠছে প্রতিদিনই। নিজ শহরে অফিস হওয়ার এ এক মজার সুবিধা।
৪. ফসলের ক্ষেতে গিয়ে চাষাবাদ চাক্ষুষ দেখে একটা বুঝেছি যে এক মুঠো ভাত/একটি রুটি তৈরীর গল্পটি রান্নাঘর নয়, কৃষকের লাঙ্গলের হাল থেকেই শুরু হয়।
৫. শীতকালীন উপহার হিসেবে একটি দারুন সুয়্যেটার উপহার পেলাম বাব-মার থেকে কিন্তু শীতই গায়েব আজ দুই দিন হল। হইল কিছু এটা!
৬. পরিবার, প্রিয়জন, সুখী সময়, নতুন স্বপ্ন....সবমিলিয়ে দিব্যি যাচ্ছে সময়। এমনই থাকতে চাই, সর্বদাই।
৭. কর্মরত সংস্থার ওয়েবসাইটে পদসহ নিজের নামটি দেখে নিখাদ মজা পেয়েছি কারন ভাবিনি এত দ্রুত তথ্য হালনাগাদ করা হবে। ব্যাপরটা স্বাভাবিক যদিও কিন্তু নিজের নাম বলে কথা! নিজে আনন্দ পাবনা, তা কি হয়? আমার আনন্দ আমিতেই।
চলবে..........
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫