মূল: জিয়ামবাতিস্তা বাসিলে
ভাষান্তর: সাইফুল্লাহ সাইফ
এক রাজা একটি মাছিকে তার নিজের শরীরের রক্ত খাওয়ান যতক্ষণ না এটা একটা ভেড়ার মত বড় হয়ে উঠে । তারপর তিনি এই বিশালাকার মাছিটিকে হত্যা করেন এবং এটার শরীর থেকে চামড়া তুলে ফেলেন ।
রাজা তার কন্যাকে বাজি রেখে ঘোষণা দেন, যে লোকটি বলতে পারবে এটা কোন প্রাণীর চামড়া, তার সাথেই রাজকন্যার বিয়ে হবে ।
বাজিতে জিতে রাজকন্যাকে বিয়ে করতে অনেক দুর দূরান্ত থেকে লোকজন রাজবাড়ি আসতে থাকে । কিন্তু কেউই সঠিকভাবে অনুমান করে বলতে পারে না, এটা কোন প্রাণীর চামড়া ।
একসময় একটি নির্দয় কদাকার মানুষখেকো রাক্ষসও নিজের ভাগ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে এসে হাজির হয় রাজদরবারে । অতঃপর চামড়ার গন্ধ শুকে খুব সহজেই বলে দেয়, এটা আর কিছু নয়, মাছির চামড়া ।
রাজা তার কথা রাখলেন । তিনি রাজকন্যাকে নিষ্ঠুর সেই রাক্ষসের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত করলেন । রাজকন্যা রাজার কাছে খুব কাকুতি-মিনতি করলেও রাজা শুনলেন না তার কথা ।
কিন্তু রাজা তাকে ‘আমার বোকামির নিশ্বাস’ সম্বোধন করে পাঠিয়ে দিলেন রাক্ষসের কাছে । তিনি রাজকন্যাকে সাবধান করে দিলেন এই বলে যে, যদি সে রাক্ষসকে বিয়ে করতে রাজি না হয়, তবে তার শরীরে একটা হাড়ও অক্ষত থাকবে না ।
রাজকুমারী মানুষের কংকালে তৈরি তার নতুন ঘর দেখে খুবি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে । তার নতুন রাক্ষস স্বামী তাকে মৃতদেহের ভোজ উৎসবে আমন্ত্রণ জানালে সে আরও বেশি ভয় পেয়ে যায় । সে বারবার বমি করতে থাকে ।
রাক্ষসটি তখন রেগে গিয়ে প্রতিজ্ঞা করে যে, যতক্ষণ রাজকন্যা মানুষের মাংস খেতে আপত্তি করবে ততক্ষণ সে তাকে জোর করে শুকরের মাংস খাওয়াবে ।
রাক্ষসটি শিকারে গেলে এক বৃদ্ধা রাজকুমারীর তীব্র হাহাকার শুনতে পায় । রাজকুমারীকে উদ্ধার করতে তিনি জাদুবিদ্যায় পারদর্শী তার সাত ছেলেকে পাঠান রাক্ষসের ঘরে ।
ইতোমধ্যে রাক্ষসটিও ফিরে আসে ।
বৃদ্ধার সাত ছেলে প্রথমে রাক্ষসটির চোখের মনিতে আঘাত করে । তারপর তার দেহ থেকে মাথা ছিন্নভিন্ন করে অবশেষে সেই নিষ্ঠুর রাক্ষসটিকে পরাজিত করে দেয় ।
তারা রাজকন্যাকে তার বাবার কাছে নিয়ে আসে । বিস্ময়ে অভিভূত রাজা রাজকন্যাকে নিরাপদে রাজপ্রাসাদে ফিরে আসতে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




