করোনা নিয়ে আমার কিছু বলা উচিত না কারণ আমি মেডিকাল এক্সপার্ট না। কিন্তু কিছু জিনিস নিয়ে আমি লিখতে চাই। এই লেখাটা পড়ে হয়ত মনে হবে আমি দাড়ি টুপি পড়া লোকদের উপর বিরক্ত। আমি আসলেও বিরক্ত। আমাদের দেশের এই সম্প্রদায়টা ধর্মীয় সংবেদনশীলতা পুঁজি করে যা ইচ্ছে তাই করে। এই অসভ্য গুলো জানেও না কারও দরজায় কিভাবে নক পর্যন্ত করতে হয়। গতকাল দুপুর বারোটার দিকে আমার সাথে এমন একটা ঘটনা ঘটছে যে আমি খুব খোলাখুলি ভাবে বলতে পারছি না। শুধু এইটুকু বলতে পারি যার সাথে ঘটেছে সে বিশাল বড় দাড়ি রেখে একটা ভাব ধরে যে আমি ভদ্র একটা লোক, কিন্তু এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না। নামাজ পড়ে না সেইটা না হয় মানলাম কিন্তু কেউ কোন অনিয়ম করলে বলে আমরা মুসলমান আমদের এসব করা উচিত না। কিন্তু নিজেই নিয়ম মানে না।
কথা হচ্ছে করোনা নিয়ে লেখা কথায় হুজুর আসল কেন। কারণ মসজিদে ৫ বার নামাজ পড়তে যেতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে মসজিদের অজুখানা আর টয়লেট খুবই অপরিচ্ছন্ন মনে হয়। আমি পারতপক্ষে মসজিদে অজু করি না। দেশে যেভাবে বিদেশ ফেরত লোক আসতেছে, এরা জেইভাবে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করছে না। ঘোরাঘুরি করছে। স্প্রেড হলে কি হারে ছড়াবে সেইটা নিয়ে আমি খুবই শঙ্কিত। আর হাতপাগল ওয়াজিন তো আছেই। কোরিয়ায় করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী হচ্ছে এক পেশেন্ট যিনি দুইবার চার্চে গেছেন এবং একটা রেস্টুরেন্টে গেছেন। আমি তো খুবই ভয়ে আছি জুম্মার নামাজ নিয়ে। আমি আমার এই শঙ্কার কথা আমার এক কলিগ কে বললাম- উনি বললেন আমাদের যাওয়ার জায়গা ঐ একটাই মসজিদ। আমি বুখারি শরিফের একটা হাদিস বলি- তোমরা মহামারি আক্রান্ত স্থানে যেয়ো না এবং তুমি অবস্থানকালে মহামারি হলে সে স্থান ত্যাগ কর না। আমি আরিফ আজাদ উনারও একটা পোস্ট দেখলাম সরকার যদি সব পাবলিক গেদারিং বন্ধ করে তার মধ্যে যদি মসজিদ থাকে টা মানা উচিত।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি সব উপশনালয় ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ছড়ানর সবচেয়ে পারফেক্ট জায়গা। ব্যপ্তাইজড করানোর সময় যেই পানি ব্যবহার করা হয় সেইটা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আমার মধ্যে যতটা সন্দেহ থাকে, নামজে মসজিদে সেজদা দেয়ার পর আমি বাসায় এসে মুখ ধুই। কত মানুষ যে ঐ জায়গাটা পা মাড়ায়ে গেছে আল্লাহ জানে।
ইরানে যখন করোনা হল তখন বলল যে চিনে করোনা হইছে কারণ আল্লাহর গজব পড়ছে। এখন যে কাবা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেল। একটা জিনিস সব সময় মাথায় রাখবেন- লোকালয়ে আগুন লাগলে মিনারও রক্ষা পায় না। আমরা যে প্রকৃতির কাছে কত অসহায় সেইটা করোনা বুঝায়ে দিচ্ছে। আর এইখানে যে কোন ধর্ম নাই- সবাই এক প্রকৃতির সন্তান হারে হারে যদি এখন টের না পান বুঝতে হবে আপনি এখনো কুয়োর ব্যাঙ। প্রকৃতির কাছে সব সমান। তার কাছে কোন ধর্ম নাই। দেশের যে ওয়াজিনগুলো কত মিথ্যুক আর ভণ্ড কথার ফ্লো শুনলেই বুঝা যায়। বলল করোনা স্বপ্নে আসছে বাংলাদেশে নাকি আসবে না। আর এই বাসায় অবস্থানটা কে ইয়া নফসি ইয়া নফসির সময়। কেয়ামতের আলামত।
আসলে করোনা নিয়ে লিখতে যেয়ে শুধু এই ধর্ম নিয়ে লেখা একপাক্ষিক মনে হতে পারে। কিন্তু এই হুজুররা যে ম্যানিপুলেট করে আমাদের বলার বাইরে। সব কিছু ইহুদি নাসারা নিয়ে আসে, এখন কাবা বন্ধ করার পর এই গল্প বন্ধ হল, এখন মসজিদে নামাজের, দুরুদের ব্যবস্থা করতেছে। এখন আবার দেখতেছি স্কুল- কলেজের পোলাপান দল বেধে কক্সবাজার যাচ্ছে। সামাল দিতে পারবে তো বাংলাদেশ!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৮