ব্লগে যে কেন ঢুকছি নিজেও বুঝতেছি, ঢুকতে যেয়ে দেখি সামুর পাসওয়ার্ড কাজ করতেছে না, পরে রিসেট করে ঢুকলাম। হেভি পিনিক উঠছে ব্লগে আজকে লিখবই। কথা হইল ভাষার মাস, অথচ টাইটেল এমন কিয়ারে, এইটা বুঝতে হলে বাকিটা পড়তে হবে।
একখান ইংলিশ লাইন কই- ডোন্ট মিট ইয়োর সুপারহিরোস। এক বড় ভাই কইছে লাইনটা। এখন আমার পিচ্ছিকালের কয়েকজন সুপারহিরোর নাম কই, যেমন মিশিও কাকু, ইয়ে মানে রিচার্ড ফাইনম্যান। এখন একটা একটা করে আসি, এদের ইদানীং সুডোসায়েন্টিস্ট লাগে আমার কাছে। ইয়ে মানে ফাইনম্যানরেও ইদানিং ভুজুং লাগে। এইটুক পড়েই আমার গুষ্টি উদ্ধার করা যাইতে পারে। কিন্তু কথা হইল বাকিটুক পইড়া হেরপর আরাম কইরা গাইল পাইরেন। সবার আগে শুরু করি মিশিও কাকুরে লইয়া।
মিশিও কাকু রে আমি প্রথম শুনি হইল বিগ থিংক এর একটা ইউটিউব ভিডিওতে। কাকায় ইউনিভার্স ইন এ নাটশেল নামের টাইটেলের একটা ভিডিও প্রায় ৫০ মিনিট বকর বকর করছে। যার সামারি হইল পিচ্ছিকালে বাসার গ্যারেজে লার্জ হাড্রন কলাইডারের মত এনার্জি রেডিয়েটর এর মত কিছু বানাইতে যেয়ে এলাকা উড়ায়ে দিছে। এবং সে পিচ্ছিকালের স্কুলের পড়ার টাইমে আইন্সটাইন মইরা গেছে এবং সে টিভিতে দেখছে আইন্সটাইন ইউনিফাইড থিওরি নিয়ে শেষ ত্রিশ বছর কাজ করে সল্ভ করতে পারে নাই, তারে ইন্সপায়ার করছে এই ফিজিসিস্ট হবার জন্য। এখন সে নিউইয়র্ক সিটি কলেজের প্রফেসর, আর তার কলিগ হইল বারী সায়েন্স ল্যাবের রাশেদুল বারী (ইয়ে মানে রাশেদুল বারীর ভাষ্যমতে সেও নাকি সিটি কলেজের প্রফেসর, এইজন্য কইলাম, এইটা সত্যি ভাবার পর থেকে সায়েন্স উপর বিশ্বাস হারায়ে ফেলতেছি, এই পোস্টটা এইজন্যি দিচ্ছি যাতে ঈমান আসে সায়েন্সে উপর)। কথা হইল কাকায় স্ট্রিং থিওরির ফাউইন্ডার, কাকায় কেমনে স্ট্রিং থিওরির ফাউইন্ডার বুঝার জন্য আমি গুগল স্কলারে কাকার নাম লিখে সার্চ দিচ্ছি, বিশ্বাস করবেন না রাসেল ভাই, কিচ্ছু খুজে পাই নাই, এই কাকু কেমনে স্ট্রিং থিওরির ফাউইন্ডার আমি বুঝি নাই। কাকু যেহেতু কইছে মাইনা নিলাম। এখন স্ট্রিং থিওরি নিয়ে পিচ্ছিকালে অনেক ট্যালেন্ট ট্যালেন্ট পোলাপানরে মারামারি করতেছে দেখি, মারামারির টপিক্সস এক্টাই ছিল- স্ট্রিং থিওরী তে কয়টা মাল্টিভার্স আছে? মানে ইউনিভার্স আছে? ১৭ টা নাকি ৭ টা নাকি ৯ টা এইটা লইয়া মারামারি করতে দেখছি, আর আমি বলদের মত বুঝতাম না ১৭ টা হইলেই কি ৭ টা হইলেই কি? আমি স্ট্রিং থিওরির যে কাকু ফাউন্ডার অয় যে কয় কয়েকটা ইউনিভার্স আছে এইটার তো একটা ম্যাথম্যাটিকাল থিওরি আছে এইটা খুজলাম, কিচ্ছু খুজে পাই নাই, কাকুরে নিয়ে গুগলে সার্চ দিলে সব ভুজুং জিনিসপত্র আসে। এখন কথা হইল বাংলাদেশের বিজ্ঞান পত্রিকা বা বিজ্ঞান ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপগুলো তে আমি পিচ্ছিকালে দেখতাম এইসব ভুজুং প্রশ্ন নিয়ে আলাপ চলে, এইগুলা যে ভুজুং তখন বুঝতাম না এখন বুঝি। এই কাকুর বই পড়ার জন্য সাস্টের জেরক্সের সবুজ ভাইয়ের দোকানে ২০ টাকা দিয়ে কফি খাইতাম আধা ঘন্টা ধরে। "আমি কিতার মইধ্যে টাহা ঢালছি" এতদিন। কাকুর একটা ইন্টারভিউ দেখলাম সেখানে কাকু কইতাছে তার এক ছাত্র নাকি ম্যাথম্যাটিকালি দেখাইছে সে ঘুমাইছে পৃথিবীতে, ঘুম থেকে উঠছে মঙ্গলে এর সম্ভাবনা কত? সে নাকি একটা ভ্যালু পাইছে, সিটি কলেজে কাকুর নাম লিখে সার্চ দিছিলাম, কিচ্ছু খুজে পাই নাই। এইসব ভুগি চুগি রিসার্চ কি জন্য যে করে? কাকু ইদানীং বেশ জোরেশোরে ভয়েস তুলছে কেন পার্টিকেল ফিজিক্সে ফান্ড দেয়া হচ্ছে না, আমাদের আরেকটা কলাইডার লাগবে ইউনিভার্সের মিস্টিরি সলভ করতে। অকে ভালো প্রস্তাব, তো কলাইডারের সাইজ কত? পুরা মিল্কি গ্যালাক্সি সাইজের কলাইডার হইলে নাকি ইউনিভার্সের মিস্ট্রি সল্ভ করা যাবে। সায়েন্টিস্ট মানুষ ভেড়ামি করে বেড়ায় তাইলে তো আর মানা যায়। আর বাংলাদেশের টিন এজগুলো আর কলা ভবনের বিজ্ঞান থেকে বের হওয়া পত্রিকাগুলো এইসব ভুগিচুগি নিয়ে মারামারি করে, তারপর প্যারাডক্সিকালের মত কিছু বলদ বাজারে বের হয়ে এইগুলোর কাউন্টার এটাক দেয়।
এইবার আসি ইদানীং ফাইনম্যানরে কেন ভুজুং লাগে? প্রথমে ফাইনম্যান হইতাছে গুড ন্যারেটর, ক্যালটেকে আন্ডারগ্রেডের কোর্স নেয়ার আগ পর্যন্ত বিশাল বড় সায়েন্টিস্ট ছিল। কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডায়নামিক্স এর বিশাল বড় বেস সে নিজে দাড় করায়ে ফেলছে। কিন্তু ইদানীং তারে ভুজুং লাগে ন্যানোটেকনলজির জন্য আর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর জন্য। প্রথমত ন্যানোটেকনোলজির উপর ফাইনম্যানের এক্টাই কাজ আছে সেইটা হইল- প্লেন্টি অব রুম ইন লিটল স্পেস নামে একটা ভাষণ দেয়া। যেইটা একটা বিখ্যাত আর্টিকেল, এইখানে ন্যানো নিয়ে উনার থট বলা আছে, ইটস ফাইন থট দেয়া যাইতেই পারে, এখন এই থটের উপরেই বিশাল বড় সায়েন্স দাড়ায়ে গেছে। কিন্তু আমার খচখচানি হইল এরে যখন ন্যানোটেকের বিশাল হেডা ভাবা হয়, আমার কথা হইল হেতি হইল কোয়ান্টামের একটা ফিল্ডের বিশাল কামেল পাব্লিক, উনার থট প্রসেস অসাধারন, এইকারনে এই ন্যানো নিয়ে থট দিছে। কিন্তু হেতিরে হেডা কেন ভাবমু আমি ন্যানোটেকের আমার মাথায় আসে? একই কাহিনি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, চল্লিশ বছর আগে এমআইটতে ভাষণ দিছিল- ন্যাচাররে বুঝতে হইলে কোয়ান্টাম সিমুলেশন লাগব কারন ন্যাচার কোয়ান্টাম মাইনা চলে। এই ভাষন দিয়েই তো "ভালো মানুষ" টা খালাস, এর পরে কাম যা করার সব তো ভাজিরানি, শর, ডেভিড ডয়েচ, আর চার্লস বেনেট করছে। আন্ডারগ্রেডদের পড়ানোর পর থেকে ফাইনম্যান যা করছে সব হইল ভুজুং। কিন্তু কেন জানি এরে এই দুইটা ফিল্ডে বিশাল হেডা ভাবে। আননেসেসারি সুপার হিরো ভাবে এই দুই ফিল্ডে।
তো এই ব্লগ লিখলাম যেই কারনে সেইটা হইল নিচের ছবিটার কারনে। হালারপুতেরা এখনো ৬৯ এর উতপাদক যে ২৩ আর ৩ এইটা বাইর করতে পারস না, আর কোন এক কমিক্সের মুভির মধ্যে কেমনে কোয়ান্টাম আছে এইটা লইয়া সেমিনার এরেঞ্জ করস, এইটা দেইখা মেজাজ যা খারাপ হইছে না, শিকাগো কোয়ান্টাম এক্সচেঞ্জ হইল কোয়ান্টামের একটা প্রমিনেন্ট গ্রুপ এরা যদি এই লেভেলের ছাগলামি করে তাইলে কেমনে হবে? আর এই পোস্টের সামারি হইল মিডিয়াতে যারা বেশি সায়েন্স নিয়ে আলাপ দেয়, এডি এক্টাও সায়েন্টিস্ট না, কথা শেষ, সব সুডো। ভাবতে অবাক লাগে আমিওএইসব ভুজুঙ্গের মধ্যে আছি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৮