শুধু নিজেদের ভালো বলে অন্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ গীবত গেয়ে বেড়াতে বেড়াতে নিজের মনে শান্তি নাই বলে অন্যদের শান্তি নষ্ট করতে বেশিরভাগ মানুষের বেশুমার ভালো লাগে।
এই কারনেই শত্রু হওয়ার জন্য কিংবা মুখরোচক গসিপের শিকার হবার জন্য কারো রোষানলে পড়বার দরকার হয়না! কোন দোষের ও দরকার হয় না।
ইচ্ছে হল চুলে বিলি কাটতে কাটতে অথবা অলস দুপুরে চাট করতে করতে অথবা রাত জেগে কনফারেন্স কল করে রং ঢঙ করতে করতে গসিপ করা যেতেই পারে, এতে তারা দোষের কিছু দেখেনা।
লাভের মধ্যে লাভ হইলো একটা মুখরোচক আড্ডা করে আরেকজনরে পঁচানি দেয়া গেলো, একটু প্রেমালাপ করা গেলো, নিজেকে জাহির করা গেলো, এইতো----
এই সকল গসিপ পাবলিকের শিকার হবার জন্য কিচ্ছু করতে হয়না। একমনে নিজের কাজ করলেও গসিপ , নিজেকে বাঁচিয়ে চললেও গসিপ, নিজের সম্পর্কে নোংরা অশ্রাব্য কথা না শুনে বধীর হয়ে থাকলেও গসিপ। সব কথায় তাল মিলিয়ে চললেও গসিপ, ডানে যান বামে যান যেই দিকে যাবেন সেইদিকেই গসিপ ।
প্রচলিত আছে মানুষ তিনটা কারনে অন্যের পেছনে লেগে থাকে কিংবা গসিপ করে, প্রথমত তারা সেই ব্যাক্তির অবস্থায় পৌছাতে পারে না, দ্বিতীয়ত তাদের ভালো কাজ করবার সাধ্য কিংবা গুন নেই, তৃতীয়ত তারা বেকার অলস এবং সমাজ আর দেশের জন্য বোঝা।
ছোটকালে সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছি সমস্যাগ্রস্থ জনগন বলতে দেশের বৃদ্ধ এবং শিশু যারা কর্মক্ষম নয় কিন্তু তাদের সংখ্যা প্রয়োজনের থেকে বেশি তাদের বোঝানো হয়।
কিন্তু আমি মনে করি সমস্যাগ্রস্থ জনগন হল যারা নিজে কাজ করে না এবং অন্যকে যে কোন ভালো কাজে উৎসাহের বদলে বাঁধা এবং নোংরা সমালোচনা করেন। অযথা বিবাদ তৈরি করে টাইম পাস এর উপকরন তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।
সৌদি আরবে চুরির দায়ে যেমন হাত পা কেটে দেয়া হয়, আমাদের দেশের গসিপ করবার জন্য সে রকম কোন আইন করা উচিৎ।