somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নয়নতারা

০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে নয়নতারা পড়নের সূতির মোটা পাড়'ওয়ালা খসখসে কাপড় গলায় পেঁচিয়ে পুরানো শ্যাওলা জমা জীর্ণ আধভাঙা টিনের চালের আড়কাঠের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করলো।
ওইরকম সামান্য ভাঙা টিনের আড়কাঠ একজন পূর্ণ বয়স্ক তরুণীর ভারে ভেঙ্গে পরার কথা সত্ত্বেও পড়লো না এই কারনে যে, দীর্ঘকালের রোগে শোকে প্রয়োজনীয় আহার নিদ্রার অভাবে, তিন ভাগের এক ভাগেরও কম জৈবিক চাহিদা পুরণ হওয়ায় নয়নতারার শরীরে অবশিষ্ট কিছু ছিল নাাড় হাড্ডি ছাড়া।

ব্যাপারটা দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্য যাই হোক ওর মৃত্যু হল।
দুই মেয়ে রুনা আর ঝুমা সে সময় বাইরে খেলছিলো, নয়নতারার স্বামী আজিজ মিয়া রিক্সা চালাতে গিয়েছে সেই সকালে আর ফিরে নাই তখনো সে। 
নয়নতারার স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়েছে রাতে, প্রথমে তর্ক বিতর্ক, তারপর ভাতের প্লেট তরকারীর পাতিল আছাড় মেরে ভাঙ্গা এবং এক পর্যায়ে চুলের মুঠো ধরে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে ওকে পেটালো, শেষের মা'রটা পড়েছে নয়নতারার কান বরাবর, কানে ছিল তার ঠিক আগের দিন ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কেনা ইমিটেশনের ভারী দুল, এই রকম দুল নয়নতারা আরো এক জোড়া কিনে টিনের বাক্সে তুলে রেখেছে, সামনের মাসে বাপের বাড়ি যাবে যখন তখন ওই দুল কানে পড়বে বলে।

সেটা আর পড়া হলনা।  আজিজ মিয়া মারতে মারতে এক পর্যায়ে যখন দেখলো নয়নতারার কান কেটে রক্ত ঝরছে তখনো থামি থামি করে থামল না, পাছা বরাবর দুটা লাথি আর ঘাড়ে ধরে টেনে হিঁচড়ে ঘড় থেকে বের করে দিলো ওকে।
এই রকম মারধর নয়নতারা আগেও অনেক খেয়েছে, আজিজ মিয়ার মাথা থাকে গরম বাইরে থেকে আসলেই চুলের মুঠা ধরে দু'চারটা চর থাপ্পর দেয়া অভ্যাস হয়ে গেছে তার।

কিন্তু আজ সে যা করল তা এর আগে কখনো করে নাই, সে সারারাত ঘরের দরজাই খুলল না, নয়নতারার পরনের কাপড়ের আচল থেকে শুরু করে শেষ অবধি নানা রকম ছোট বড় আকারের ছেড়া, মাঘ মাসের ঘন শীতের মধ্যে ওর শরীর শীতে ব্যথায় অসাঢ় হয়ে যাচ্ছিলো। পুরো রাত কাটলো এই বুঝি তার স্বামী দরজা খুলবে আর তাকে ডেকে ভেতরে নিয়ে যাবে এই আশায়।

আজিজ মিয়ার মনে বিন্দু মাত্র দয়া হলনা, যখন সাদা কুয়াশা ঢাকা ভোরে আধো আধো আলো ফুটে উঠলো দুনিয়ায় তখনো দরজা খুলল না সে।
নয়নতারা সারারাত দরজার সামনে বসে শীতের প্রকোপে নির্ঘুম কাটানোর পর ভোরের দিকে শরীর মন অবসাদে ক্লান্তিতে কষ্টের শেষ সীমানায় হিম আবহাওয়ায় নানান দুঃস্বপ্ন দেখে কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকলো, বেশির ভাগ স্বপ্নই হচ্ছে ঠাণ্ডা বরফ পানিতে তলিয়ে যাওয়া স্বপ্ন।
তারও অনেকপর যখন সূর্য উঠি উঠি করছে সে সময় আজিজ মিয়া বীর দর্পে দরজা খুলে ওকে পা দিয়ে ডিঙ্গিয়ে বেরিয়ে গেল ঘড় থেকে, নয়নতারার উদ্দেশে কথা বলা দূরে থাক মানবিক মায়াটুকুও তার চেহারায় দেখা গেল না।

তখনি নয়ন তারা সারারাতের তীব্র শীতে ডুবে যাওয়া মৃত্যু নীল শরীর নিয়ে সংকল্প করলো মায়া মমতাহীন আজিজ মিয়ার ঘড় আর সে করবে না, কিন্তু সাথে সাথে এও বুঝলো ওর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তার বুড়ো বাপ, মা আর ভাইয়েরা,ভাইদের বউরা তাকে একদম আশ্রয় দিবে না।

নয়নতারা অনেককাল এই জগতে অনেকের বোঝা হয়ে বেঁচে বেঁচে নিজেকে মৃত্যুর মতই বাঁচিয়ে রেখেছে, ওকে যে যার মত অপমান অপদস্ত করেছে, সেই সুযোগ আর কাউকে দেবেনা। বিশেষ করে, আজিজ মিয়ার মত নিষ্ঠুর মানুষকে তো নয়ই, তখনি নয়নতারা ঠিক করলো মরে যাবে, দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর; মেয়ে দুটি বাইরে খেলতে যাওয়ার পর; একাকী ঘরে নয়নতারা আত্মহত্যা করলো।

ঐদিন সন্ধার একটু পর যখন অন্ধকার ঘনিয়ে এলো তখন নয়নতারার দুই মেয়ে রুনা আর ঝুমা খেলা শেষ করে ঘরে ফিরে দেখে ঘড় অন্ধকার, ওদের মা এর কোন সারা শব্দ নেই হারিকেন ও জ্বালানো হয়নি, আশেপাশের সব বাড়িতে কারেন্ট থাকলেও ওদের বাড়িতে নেই। এত টাকা খরচ করার সাধ্য কি আর আজিজ মিয়ার আছে! ওরা ভাবল ওদের মা বোধহয় পাশের কোন বাড়িতে গেছে, ৬ বছর বয়সের মেয়ে রুনা হারিকেন জ্বালাতে গেল, এটা রুনা মাঝে মাঝে করে, মা বাড়িতে না থাকলে ওই হারিকেন জ্বালায়, কেরোসিন না থাকলে দৌড়ে গিয়ে ইদ্রিস চাচার দোকান থেকে কেরোসিন নিয়ে এসে তারপর হারিকেন জ্বালায়।

রুনা হারিকেন জ্বালালেও দুই এক মিনিট জ্বলেই তা ধপ করে নিভে যায়। ভাগ্যিস নিভে গেছে! তা না হলে দেখতে পেত ওদের পুরো পৃথিবী ওলটপালট করে দেয়া সব চাইতে নির্মম মর্মান্তিক দৃশ্য।

ওরা অন্ধকারে মা মা করে কিছুক্ষন ডাকাডাকি করে ইদ্রিস চাচার দোকানে গেল কেরোসিন তেল আনতে। ইদ্রিস চাচার দোকানে আজ অনেক ভিড়, হাত জুড়াচ্ছে না, এর ওর বাজার দিতে দিতে এতই ব্যস্ত হয়ে রইল যে ওদের দিকে কিছুতেই চোখ পড়লো না। কিংবা চোখ না পড়ার ভান করে রইলো, ওরা ছোট হলেও ওরা জানে ওদের বাবার কাছে দোকানদার অনেক টাকা পাওনা, ওরা দীর্ঘ অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যাবে! যাবে! এমন সময় দেখলো ওদের বাবা রিক্সা নিয়ে বাড়ি ফিরছে।

আজিজ মিয়া সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে, খেয়ে কিছুক্ষন বিস্রাম নিয়ে আবার রিক্সা নিয়ে বের হয়, তার আজ দিনের রোজগার ভাল হয়েছে, মন বিষাদে ছিল বলে টের পায়নি কি পরিশ্রমই না করে যাচ্ছে সে, দুপুরে কিছুই খাওয়া হয়নি, শুধু কয়েকবার যেখানে কল দেখেছে, দাঁড়িয়ে পানি খেয়ে নিয়েছে আর বলতে গেলে সারাদিন নয়নতারার কথা মনে পড়েছে।

রিক্সা চালাতে চালাতে ভেবেছে এত শীতের রাতে সারারাত নয়নতারাকে বাইরে ফেলে রাখা উচিৎ হয়নি, শত হলেও মানুষ তো! আহা!! কেন এত মাথা গরম তার!! খুব অনুতপ্ত মন নিয়ে ফিরতে ফিরতে দেখে তার বাচ্চা দুইটা দোকানের সামনে দাঁড়ানো, (দেখছ কাণ্ড এই শীতের রাইতেও মাইয়াগো পড়নে কোন শীতের কাপড় পড়ায়ে দেয় নাই নয়নতারা!! বাচ্চা দুইটা শীতের মধ্যে কেমন ঠক ঠক করে কাঁপতেছে! ঠিকই আছে ওরে গতরাইতে জুতার বারি দিছি ঐ মেয়ে লোকটা কোন কাজেরই না) ভাবনা ভেঙ্গে বাচ্চা দুইটার সাথে কথা বলে ওঠে আজিজ মিয়া- কিরে আমার আম্মাজানেরা এইখানে ঘুরপাক করে ক্যান?
- বাবা কেরোসিন নিতে আইছি।
- ক্যান কেরোসিন কি শেষ হইয়া গেছে? তোমাগো পাঠাইলো ক্যান? ঐ কাজের বেটি ঘরে নাই?
রুনা ঝুমা বুঝলো ওদের বাবা এখনো ওর মা'র উপর রাগ। ওরা জানে গতকালের ঘটনা, ওদের বাবা যখন নয়নতারা কে মারছিল ওরা সব টের পেয়েছে, কিন্তু ভয়ে কথা বলেনি চুপ করে ঘুমের ভান করে ছিল। মেয়েদের চুপ করে থাকতে দেখে আজিজ মিয়া বলে
- আইচ্ছা আমি লইতাছি, বলে ইদ্রিস মিয়ার দোকানের দিকে যায়,
- ভাই দেহেন দিহি আমার কয় টেহা হইলো?
- টেহা কত হইল দেইখা লাভ কি যদি দিতে না পারো?
- আইজ দিতে পারমু ভাই টাকা গুনে অর্ধেক এর বেশি শোধ করে দিয়ে এক হালি ডিম আর ১ কেজি চাল আর আধা কেজি কেরোসিন কিনে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিল ওরা।

অন্ধকার আর নিস্তব্দতায় ডুবে আছে ইদ্রিস মিয়ার বাড়িটা।কী যেন ফিস ফিস করে বলে এদিকে এসো না এদিকে একদম পা দিও না। সে কথা ওদের কানে পৌঁছায় না, ওরা এগিয়ে যায় অথবা এগিয়ে যেতে বাধ্য হয় নির্মম বাস্তবতায়।
উঠোনে পা দিতেই আজিজ মিয়া খেয়াল করে ওর হাতে কেরোসিনের বোতলটা নেই, মনে পড়তেই রুনা কে বলে আম্মাজান আর একটু তোমার দোকানে যাওন লাগবো, কেরোসিনের বোতল ভুলে থুইয়া চইল্লা আসছি আমরা। রুনা রওয়ানা দিতেই ঝুমাও ওর সাথে সাথে যায়। আজিজ মিয়া বাঁধা দেয় না, ঘরে আলো নাই এর মধ্যে থেকে করবেই বা কি।
নয়নতারার কথা মনেপড়ে, কোথাও টু শব্দটাও নাই!
সারাদিনের তীব্র অপরাধবোধ থেকে আজিজ মিয়ার অবচেতন মন ঠিক ওই মুহূর্ত থেকে দেখতে শুরু করে অতি প্রাকৃতিক সব ব্যাপার।দরজার দিকে চোখ পড়তেই দেখে সেখানে একটা কালো ছায়া দাঁড়িয়ে। চোখের ভুল!? না! ওটা নয়নতারা! কিন্তু ওকে এমন ছায়া ছায়া লাগছে কেন!! ভাবতে ভাবতে দরজার কাছে পৌঁছে যায়। মিলিয়ে যায় ছায়া, আর সঙ্গে সঙ্গে ভেতর থেকে শব্দটা শুনতে পায় ও, কান্নার শব্দ, টেনে টেনে উঁউঁউঁউঁউঁউঁউঁউঁ করে দীর্ঘ কান্নার শব্দ।
কিছুক্ষন থেমে থেমে আবার শুরু করে, মাঝে মাঝে গোঁঙায়।কোন সন্দেহ নেই এটা নয়নতারা, তাছাড়া নয়নতারা ছাড়া ঘরে আছেই বা কে!!
ভেতরে ঢোকে আজিজ মিয়া।দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার কারনে অন্ধকার ততক্ষনে চোখে সয়ে এসেছে, পাশের বাড়ির কারেন্টের আলো ও কিছুটা ভেতরে এসেছে, সেই আবছা আলোতে আজিজ মিয়া দেখে টিনের চালের মাঝ বরাবর কিছু একটা ঝুলে আছে বিছানার উপর। বুকের ভেতর চিন চিন ব্যথা করে, জলদি নামাতে গিয়ে দেখে, কঠিন ঠাণ্ডা বরফের একটা খণ্ড, আজিজ মিয়ার চিন্তা শক্তি বিলুপ্ত প্রায়! বুকের চিন চিন ব্যথা বেড়েই চলেছে… আধো অন্ধকারেই গলার বাঁধন খুলতে চেষ্টা করে সে, এবং সে সময় উপলব্ধি করে আজিজ মিয়ার গলাটা যেন পেঁচিয়ে ধরছে নয়নতারা, টেনে টেনে ফিস ফিস করে বলে উঠে, আপনে আইছেএএএএএএন!! এত দেরিইইইইইইই হইলোওওওওও!! আহহহহহ!!! দীর্ঘশ্বাসসসসসসস!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×