ছবি আমার তোলা
এখন এই যে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়াইলো, যারা বাসের নিয়মিত যাত্রী তাদের কয়জনের এই এবিলিটি আছে রোজ রোজ এতগুলা টাকা ভাড়া দেয়ার, যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারা তো আর বাসে চড়ে না, নিজেদের ভেহিকেলস ইউজ করতেছে।
গতবার যখন এই অবস্থা করেছিলো সরকার অর্থাৎ এক সীটে একজন যাত্রী শর্তে দুই সীটের ভাড়া একজন দিবে তখন আমি একদিন দেখলাম এক দিনমজুর মাটি কাটার কোদাল ঝাঁপি নিয়ে বাসে উঠতে চাইলো, সে নতুন বাজার বা তার আসে পাশে গিয়ে মজুরের কাজ করে সম্ভবত, তার কাছে উত্তরা থেকে নতুন বাজার চল্লিশ টাকা ভাড়া চাইলো হেলপার,
সে তার জীর্ণ শীর্ণ শরিল নিয়ে হেল্পারের সাথে ভাড়া নিয়ে দড় দাম করতে করতে বাসের সাথে সাথে দৌড়াইতে দৌড়াইতে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিলেন, তিনি দৈনিক মজুরের কাজ করে যদি সারা দিন বাবদ ৩০০ টাকা ও পান তবে ভাড়া বাবদ ৮০ টাকা চলে যাবে, বাকী তো দুপুরের খাওয়া আছেই, পরিবারের জন্য আর কি থাকবে তার।
কথায় আছে নির্যাতিতদের আরও নির্যাতন করাই মানব ধর্ম। যার আছে সে আরও পাইতে থাকে আর যার নাই তার উপর আরও আজাব।
আবার নতুন করে এক সীটে একজন বসার রুলস জারী হয়ে আরেক বিপদ হল আজ সকালে,
কয়েকশো মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এক সময় বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে, সে সময় অফিসগামী যাত্রীরা বাসে ওঠার সুযোগই পাচ্ছিলেন না, প্রায় সব বাসের দরজা বন্ধ, এক সীটে একজন তাদের হয়ে গিয়েছে বাসের দরজা খুলে কাজ কি, এই দিকে অফিস তো খোলা, যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা নগণ্য, আবার যে করোনার ভয়ে এই এক সীটে বসার নিয়ম করেছেন সরকার সেই করোনার মধ্যে ঠেসাঠেসি করে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বদলে করোনায় আক্রান্ত হবার কারখানা হয়ে আছে একেকটি সড়ক মহাসড়ক।
চাকরী তো করতে হবে দিগুণ ভাড়া দিয়েও তবু যেতে ইচ্ছুক অফিসগামী যাত্রীরা বাসে ওঠার সুযোগই পাচ্ছেনা, এটা কোন নাগরিক সুরক্ষা হল? চাকরী, জীবন, সব হারাতে হবে, নির্যাতিতদের আর নির্যাতন না করলে হয় না?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩