ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯
বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন
দেশটি ছিল অটোমান খেলাফতের
অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল
বৃটেন বিরোধী জোটে৷ তখন যুদ্ধ
জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭
সালে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড
বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই
ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র
হবে বলে আশ্বাস দেন৷
যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত৷ যেহেতু আরবরা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু
ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই
তারা ধরে নেয়৷ কিন্তু এর
মাঝে যে মহা ধোকাটি লুকিয়ে ছিল
তা তারা বুঝতে পারেনি৷ বৃটিশ
শাসনের শুরু থেকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের
প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির
উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস
তৈরি করতে সক্ষম হন
ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান ৷ ফলে আনন্দিত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন
কি ধরনের পুরস্কার তিনি চান৷
উত্তর ছিল অর্থ নয় আমার স্বজাতির
জন্য এক টুকরো ভূমি আর
তা হবে ফিলিস্তিন৷
ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য
মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় বৃটেন৷
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর বৃটেন
স্বাধীনতা দেয়ার
অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০
বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে৷ মূলত এই সময়টিই
ফিলিস্তিনকে আরব শূন্য করার জন্য
ভালোভাবে কাজে লাগায়
ইহুদি বলয় দ্বারা প্রভাবিত ইঙ্গ- মার্কিন শক্তি৷ [১১]
আরবদের উচ্ছেদকরণ ও ইসরায়েল
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বৃটিশরা:-
একদিকে ইহুদিদের জন্য
খুলে দেয় ফিলিস্তিনের দরজা,
অন্যদিকে বৃটিশ বাহিনীর সহযোগিতায়
ইহুদিরা ফিলিস্তিনদের বিতাড়িত
করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার
জন্য গড়ে তোলে অনেক প্রশিক্ষিত
গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন৷ তার
মধ্যে তিনটি প্রধান সংগঠন ছিল হাগানাহ , ইরগুন ও স্ট্যার্ন গ্যাং যারা হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ আর
ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির মাধ্যমে নিরীহ
ফিলিস্তিনদের বাধ্য করে নিজ
মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে৷
সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর গণহত্যার
কথা যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত
হচ্ছিল তখন পরিস্থিতকে নিজেদের
অনুকূলে আনার জন্য গুপ্ত সংগঠন
হাগানাহ বেছে নেয় আত্মহনন
পন্থা৷ ১৯৪০ সালে এসএস প্যাটৃয়া নামক একটি জাহাজকে হাইফা বন্দরে তারা উড়িয়ে দিয়ে ২৭৬ জন
ইহুদিকে হত্যা করে৷ ১৯৪২
সালে আরেকটি জাহাজকে উড়িয়ে ৭৬৯
জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ উভয়
জাহাজে করে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে আসছিল
আর বৃটিশরা সামরিক কৌশলগত কারণে জাহাজ
দুটিকে ফিলিস্তিনের
বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছিল না৷
হাগানাহ এভাবে ইহুদিদের
হত্যা করে বিশ্ব
জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করলো৷
পাশাপাশি ইহুদিদের বসতি স্থাপন
ও আরবদের উচ্ছেদকরণ
চলতে থাকে খুব দ্রুত৷ এর ফলে ২০
লাখ বসতির মধ্যে বহিরাগত
ইহুদির সংখ্যা দাড়ালো ৫ লাখ ৪০ হাজার৷ এ সময়ই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন
চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ হয়
তাতে ৩৩টি রাষ্ট্র পক্ষে,
১৩টি বিরুদ্ধে এবং ১০টি ভোট
দানে বিরত থাকে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার এক-
চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল
ভূমির ৫৭% আর ফিলিস্তিনরা পেল
৪৩% তবে প্রস্তাবিত
ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম
সীমানা ছিল অনির্ধারিত ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা সীমানা বাড়াতে পারে৷
ফলে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা চূড়ান্ত হলেও উপেক্ষিত থেকে যায়
ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের মাধ্যমে পাস হয়ে যায় একটি অবৈধ
ও অযৌক্তিক প্রস্তাব৷ প্রহসনের
নাটকে জিতে গিয়ে ইহুদিরা হয়ে ওঠে আরো হিংস্র৷
তারা হত্যা সন্ত্রাসের
পাশাপাশি ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ
করার উদ্দেশে রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুত্ লাইন কাটা,
বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড
নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল
এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতন
করে মৃত্যু
বিভীষিকা সৃষ্টি করতে লাগলো৷ ফলে লাখ লাখ আরব বাধ্য হলো দেশ
ত্যাগ করতে৷ এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২টা এক মিনিটে ইসরায়েল রাষ্ট্র
ঘোষণা করলো ইহুদিরা৷ ১০
মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র
স্বীকৃতি দিল, অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন-বৃটেন
আলোচিত ব্লগ
তোমাকে লিখলাম প্রিয়
আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন