একটি বেসরকারি সংস্থায় তখন প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করতাম। কাজ ছিলো কৃষি শ্রমিকদের সংগঠিতকরণ এবং সচেতনতা তৈরি করা। কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে ভারতের অন্ধপ্রদেশের কৃষি শ্রমিক ও দলিত সম্প্রদায়ের অবস্থা ও তাদের সংগ্রামের ইতিহাস জানতে এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ভ্রমণ করি। দুইটি সংস্থা থেকে ৬ জন করে আমাদের দলে আমরা ছিলাম মোট ১২ জন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লীর ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে চেন্নাইয়ের কামরাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করি। দিল্লি থেকে বিমানে করে চেন্নাইয়ের পথে রাস্তার যে অপূর্ব দৃশ্য, তা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কখনো ভুলা সম্ভব হবে না। চারদিকে শুভ্র মেঘের ভেলা। কোথাও কোথাও আবার মেঘের পাহাড় বা টিলা। মেঘের পাহাড় এবং টিলাগুলো যে কি পরিমাণ সুন্দর আর মনোমুগ্ধকর, দেখলে কলিজাটা জুড়ে যায়। কোথাও কোথাও মেঘের ভেলা এতই মসৃণ ছিলো মনে হচ্ছিলো, এ বুঝি পৃথিবীর আরেক পৃষ্ঠ, যেখানকার ভুমি সফেদ ও শুভ্র! আবার কোথাও মেঘের ভেলা খুবই পাতলা, কোথাও আবার খুবই ঘন।
চেন্নাই বিমানবন্দর ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই (মাদ্রাজ) শহরে অবস্থিত। দিল্লী, মুম্বাই এবং ব্যঙ্গালুরোর পর যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে এটি ভারতের চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। চেন্নাই বিমানবন্দর ভারত মহাসাগর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমান যতই নিচে নামছিলো সাগরের জাহাজগুলোকে তখন একেবারে খেলনা নৌকার মতো মনে হচ্ছিলো। আরো নিচে নামলে চেন্নাই শহর দেখতে দেখতে হঠাৎ আমাদের বিমান কামরাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দিনটি ছিলো ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ এবং সময় ছিলো সন্ধ্যা ছয়টা। কামরাজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর আয়তনে খুব বড় নয়। আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের মতই। বিমানবন্দরের বাইরের গেটে এক ইউনিয়ন নেতা আমোদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর থেকে ৩ ঘন্টার জার্নি শেষে আমরা পৌঁছি অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায়। রাস্তায় কোনো এক হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে নেই। রাস্তায় আরেকটি দৃশ্য দেখে অবাক না হয়ে পারিনি। রাস্তার দুইপাশে অনেকগুলো গরু শুয়ে আছে। সারাটি রাস্তায় এই দৃশ্য উপভোগ করি। আমাদের জন্য বুক করা চিত্তুরের পৃথবি লজে ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে উঠে পড়ি । সারাদিন ভ্রমণের ক্লান্তি থাকায় রাত ১০ টার মধ্যে বিছানায় গা এলিয়ে দেই।
চিত্তোর শহরটি শহরটা অনেকটা ছিমছাম। নেই কোনো কোলাহল। আমাদের ঢাকা শহরের মতো মানুষের ঢল নেই। আমরা যে হোটেলে উঠি সেটা ছিলো শহরের এক প্রান্তে, সেজন্য মানুষের আনাগোনা ছিলো আরো কম।
পরদিন সকাল ৮ টার মধ্যে আমরা নাস্তার কাজ সেরে ফেলি। হোটেল থেকে সামান্য দূরে একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করি। এই এলাকায় নাস্তা হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে দোসা ও চাটনি। এটি শুধু অন্ধ্রপ্রদেশই নয়, পুরো দক্ষিণ ভারতে খুবই জনপ্রিয়। দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর চেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের খাবারগুলো সবচেয়ে মসলাদার ও ঝাঝাল। এই মসলার ব্যবহারের কারণেই অন্ধ্রপ্রদেশের খাবার অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়ে থাকে। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে হায়দ্রাবাদি খাবারের পরিচিতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিখ্যাত হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি।
আরেকটি বিষয় নজরে আসলো, এখানে যারাই নাস্তা করতে আসছে, নাস্তা করার সাথে সাথে চলে যাচ্ছে। একটি মিনিটও নষ্ট করার ফুরসত নেই কারোরই। আবার চায়ের স্টলগুলোতে দেখলাম একই অবস্থা। চা খাওয়ার সাথে সাথে সবাই যার যার কাজে চলে যাচ্ছে। কোনো প্রকার আড্ডা চোখে পড়েনি একটি চা স্টলেও।
সকাল ১০ টায় অন্ধ্রপ্রদেশ ব্যবসায়া ভ্রুতিধারুলা ইউনিয়নের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর আমাদের সাথে দেখা করে পুরো সফরের প্রোগ্রম সূচি বর্ণনা করেন। সেদিন কোনো প্রোগ্রাম না থাকায় আমরা যার যার মতো শহর পরিভ্রমন করি।
সেদিন ছিলো শুক্রবার। জুমার নামাজে ঘটে চমৎকার এক অভিজ্ঞতা। হোটেলের রিসিপসনিস্ট লোকটা ছিলো মুসলমান। তার বাইক ছিলো এবং তার সাথে জুমার নামাজ আদায় করতে আমাদের দলের আরেকজন চলে যায়। আমি আমার জুনিয়র এক কলিগসহ চলে যাই শীষাপিরান জামে মসজিদে। মসজিদে ঢুকার সময় বাংলাদেশের অভ্যাসমতো জুতো হাতে নিয়ে প্রবেশ করতে থাকি। যখন জুতো হাতে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করছিলাম, তখন সবাই কেমন করে আমার দিকে তাকাচ্ছিলো, মনে হচ্ছিলো যেন আমি চিড়িয়াখানা থেকে সদ্য বের হয়ে আসা আশ্চর্যজনক কোনো প্রাণী। তাদের এমন চাহনী উপেক্ষা করে মসজিদের ভেতরের দিকে হাটা দিলাম। কিন্তু না, সবার চোখ দেখি আমার দিকে নিবদ্ধ। এবার একজন আমার জুতোর দিকে ঈশারা করে বাইরে রেখে আসতে বললো। এতক্ষণে বোধোদয় হলো, আরে এটা যে বাংলাদেশ নয়, এবং এখানে যে বাংলাদেশের মতো বাইরে জুতো রেখে আসলে চুরি হবে না সেটা কী আর আমি জানতাম! অবশেষে জুতো বাইরে রেখে মসজিদে ঢুকে যথারীতি নামাজ আদায় করলাম।
নামাজ শেষে দুপুরের খাবার পালা। হোটেলে এসে দেখি আমার নামাজে দের হওয়ায় বাকীরা খেতে চলে গেছে। অগত্যা আমি একাই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সাউথ ইন্ডিয়ার একটা সমস্যা প্রকট, সেটা হলো ২-১ টি রেস্টুেরেন্ট ছাড়া সবগুেলা রেস্টুরেন্টের নিরামিষ এবং এরা খাবারে প্রচুর মশলা ব্যবহার করে। হরেক পদের মশলা। আমি একটি নিরামিষভোজী রেস্টওরেন্টে গিয়ে ঢুকলাম। ঢুকে দেখি দলের বাকীরাও একই হোটেলে খাচ্ছে। তবে কলাপাতায় করে খাবার খাওয়া এখানকার ঐতিহ্য। আর খাবারের সাথে রয়েছে বিভিন্ন পদের মশলা আর আলুর চিপস। তবে ওদের বিভিন্ন সব্জি মিক্স করে তৈরি সম্বার খুবই সুস্বাদু লেগেছে আমার কাছে। রাতের খাবারও একই হোটেলে সারি। এসব হোটেলে ওয়েটারা হিসেবে প্রচুর মেয়েও কাজ করে।
পরদিন সকালে আমরা সকালের নাস্তা সেরে ঠিক নয়টার ইউনিয়ন হেড অফিসে পৌছি। দুই রুমের ছিমছাম অফিস। নেই কোনো চাকচিক্য। অন্ধ্রপ্রদেশ ব্যবসায়া ভ্রুতিধারুলা ইউনিয়নের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর প্রগুরি চেন্নাইয়া সংক্ষেপে আমাদের অন্ধ্রপ্রেদশ এবং তেলেঙ্গানা প্রদেশের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন, সেই সাথে দুই প্রদেশের ভাঙনের ইতিহাস বিবৃত করেন। এরপর তিনি আমাদের সারা দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন।
তিনি আমাদের জানান, বর্তমানে ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ৬ লাখ ২০ হাজার এবং এর মধ্যে ৫৮ শতাংশ নারী। কৃষি, মৎস্য, বর্গাচাষী, প্রান্তিক কৃষক, নির্মাণ শ্রমিক এবং মেষপালকদের নিয়ে গ্রাম পর্যায়ে ৪০২৬টি ব্লক লেবেল ইউনিয়ন রয়েছে। ইউনিয়ন ৬০০ মন্ডল (উপজেলা) এবং ১৩টি জেলায় বিস্তৃত অন্ধ্রপ্রদেশে এবং তেলেঙ্গানার ১০ জেলায় বিস্তৃত। বেশির ভাগ সদস্য গ্রামীণ শ্রমিক যারা দলিত এবং আদিবাসী। এগুলো পুরো স্বাধীন ইউনিয়ন। সদস্য ফি বছরে ৫০ রূপী। এখানকার সংগ্রাম এবং যুদ্ধ মূলত জমিকে কেন্দ্র করে। একসময় কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ খরচে গ্রাম অঞ্চলে চলে যেতেন। তারা গ্রামের শ্রমিকদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতেন।
আমরা সদাম মন্ডলের (উপজেলা) মিট্টাপল্লী নামক একটি গ্রাম পরিদর্শন করি। সেখানে প্রায় ৫০ জন কৃষি শ্রমিক জড়ো হয়, যাদের প্রায় সবাই ছিলো মহিলা। শ্রমিকরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে গিয়ে বলে, তারা ২০ বছর থেকে কাজ করছে। ২০০৫ সালে তারা কাজ শুরু করে। পার্শ্ববর্তী গ্রামের কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা তাদের আন্দোলন শুরু করে। সরকারি খাস জমি জমিদাররা অবৈধভাবে দখল করে রাখে। কিন্তু এসব জমির মূল দাবিদার ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক, তাই তারা বিদ্রোহ শুরু করে। তারা টানা ৩ মাস এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। তারা পদযাত্রা শুরু করে, প্রতিদিন তারা সরকারি অফিসে যেতে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর তারা জমির ব্যবহারের অধিকার আদায় করে।
সেই গ্রামে ৫০ পরিবারের বসবাস। প্রত্যেক পরিবার ১ একর করে জমির মালিকানা পায়। তারা শুধু জমি ব্যবহার এবং তাতে ভবন নির্মাণ করতে পারবে কিন্তু কখনো বিক্রি করতে পারবে না। সরকার ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পেও তাদের অন্তর্ভূক্ত করে। এই অধিকার আদায় করতে গিয়ে জমিদারদের দ্বারা অনেক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। হারাতে হয়েছে অনেক গবাদি পশু ও সম্পদ।
আমরা গ্রাম পরিদর্শনের পর মিট্টাপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করি। বিদ্যালয়ে মাত্র ২১ জন ছাত্র-ছাত্রী। প্রত্যেক স্কুলে ২ জন শিক্ষক থাকে, কিন্তু এই স্কুলে ছাত্র কম থাকার কারণে মাত্র ১ জন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হয়। দুপুরে সকল ছা্ত্রের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা আছে।
এরপর দুপুরের খাবার। সেই ঐতিহ্যবাহী ভাত আর সম্বার। সবাই মিলে মাটিতে চটের উপর বসে কলাপাতায় করে সম্বার দিয়ে ভাত খাওয়া। দলের অনেকেরই সম্বারে রুচি হচ্ছিলো না। কিন্তু এভাবে সবাই মাটিতে বসে কলাপাতায় করে সম্বার দিয়ে ভাত খেতে আমার কি যে ভালো লেগেছিলো, ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।
মিটিংয়ের পর আমরা শস্যক্ষেত্রে যাই, যেখানে কৃষি শ্রমিকরা সরকারি খাস জমি চাষ করে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর তারা এই জমি ব্যবহারের সুযোগ পায় এবং চাষাবাদ করে। কোনোপ্রকার ঘুষ প্রদান এবং অন্য কোনো লবিং ছাড়াই তারা জমির এই বন্দোবস্ত পায়। সরকার তাদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, সেচ ব্যবস্থা এবং পানি, সার, বীজ, শস্যের চারা ইত্যাদি সরবরাহ করে। তাদের রয়েছে নিজস্ব বীজ ব্যাংক। এই অধিকার তারা এমনি এমনি পায়নি। দীর্ঘ সংগ্রাম আর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলে তারা এই অধিকার আদায় করে। সরকার এই জমির প্রকৃত মালিক এবং কৃষি শ্রমিকরা শুধু ব্যবহারকারী এবং শস্য উৎপাদনকারী মাত্র। এই জমি বিক্রির তাদের কোনো অধিকার নেই। এই জমির বণ্টন হয় সম্পদের উপর ভিত্তি করে। যে যত বেশি সম্পদহীন তার অগ্রাধিকার সর্বাগ্রে এবং সে বেশি জমি পায়।
এই সফলতা একদিনে আসেনি। প্রথমদিকে জমিদাররা তাদের হুমকি প্রদান করতো। এই হুমকি ছিলো হত্যার হুমকি, মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমিক ইত্যাদি। কিন্তু শ্রমিকরা ছিলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যখনই তারা কোনো জমিদার থেকে জমি উদ্ধার করতে যেত, পার্শ্ববর্তী ব্লকের সাহায্য নিয়ে তারা জমির চারপাশে জড়ো হতো এবং মানববন্ধন করতো। জমিদাররা জমিতে এসে অনেক মানুষে দেখে প্রতিহত করার সাহস না পেয়ে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে খবর দিতো। কিন্তু শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ আন্দােলেনর মুখে পুলিশের কিছু করার সাহস হতো না। এই সফলতার মূলে রয়েছে সদস্যদের নিজস্বতা, প্রতিশ্রুতি, অর্থলিপ্সা না থাকা, সকলের স্বেচ্ছাসেবীতা এবং দীর্ঘ সংগ্রাম ইত্যাদি।
শস্যক্ষেত্রে গিয়ে তো অবাক হতে হলে। জমিগুলোর কিছু অংশ পাথুরে। মেশিন দিয়ে সেই পাথরগুলো ভেঙ্গে বালুতে পরিণত করা হচ্ছে। তারপর সেচ দিয়ে সেই জমি চাষের উপযোগী করা হচ্ছে। সেখানে বাদাম, মরিচ, টমটোসহ নানা প্রজাতির ফসল ফলানো হচ্ছে। তাদের সাথে আমাদের দেশের তুলনা করে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। জমিতে উর্বরতা নেই, আশে-পাশে পানি নেই, পাথূরে জমি। তারপরও তারা সেটোকে উৎপাদনের উপযোগী করে সোনার ফসল ফলাচ্ছেন। আর আমাদের দেশে আমরা লক্ষ লক্ষ হেক্টর উর্বর জমি/সোনার মাটি আনাবাদী করে রেখে সারা বছর টু-টু করে ঘুরে বেড়াই।
বিকালে একটি জল প্রপাত দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু বৃষ্টি এবং এদিকে দেরি হয়ে যাওয়ায় সেখানে যাওয়া ছিলো ঝুকিপূর্ণ। কেননা, সেখান থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে গেলে রাস্তায় বুনো হাতির আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
(আগামী পর্বে থাকবে তিরুপাতির বালাজি মন্দিরের কথা)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২৮