somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেখানে আকাশ মাটি ছুঁয়েছে (গল্প)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেল। ভোর রাতের এ সময়ে আমার তেমন ঘুম ভাঙে না। কী জানি একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। আবছা আবছা মনে পড়ছে; জঙ্গল, ফুল, ছোট সাদা বাড়ি। স্বপ্নে নাকি কোন রঙ দেখা যায় না। আমার মাথায় বোধহয় কোন সমস্যা আছে। আমি সবসময়ই রঙিন স্বপ্ন দেখি। এই তো - ঘন নীল ফুল, তার পাশে হলুদ ছোট্ট একটা ফুল, পিছনে সবুজ জঙ্গল।

বিছানার পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে ঢক ঢক করে পুরোটা খেয়ে ফেললাম। তেষ্টা পেয়েছিল খুব। ঘড়িতে দেখি ৪টা বাজে। মনে হচ্ছে আর ঘুম আসবে না। বিছানা থেকে নামার সময় জোরালো ক্যাঁচর-ম্যাচর শব্দ করে খাট তার দুর্বলতার কথা জানিয়ে দিল। খাট টা বদলানো দরকার। যখন প্রথম রাজশাহীতে চাকরী নিয়ে আসি তখন ভেবেছিলাম অল্প কয়েকদিন থাকব, সস্তা কিছু খাট-টেবিল কিনে কয়দিন চালিয়ে নিই। ২৯০০ টাকায় খাট, টেবিল, চেয়ার, আলনা পুরো প্যাকেজ কিনেছিলাম! সব কেরোসিন কাঠের। দোকানদার আশ্বাস দিয়েছিল, 'ভাই, নিয়া যান, জন্মেও ঘুণ ধরব না।' ঘুণ ধরেনি সত্যি কিন্তু কাঠগুলো খুব দুর্বল, বড়ই ক্যাঁচর-ম্যাচর করে। অবশ্য দাম হিসেবে যথেষ্ট সার্ভিস দিয়েছে। অল্প কয়দিন, অল্প কয়দিন করে তো বছরখানেক হয়ে গেল। আমার যাবার ডাক আর আসে না। আসবে বলেও আর মনে হচ্ছে না।

এই কাঠের নাম কেরোসিন কাঠ কেন কে জানে! কেরোসিন নামে কোন গাছ থাকার কথা না। কোন গাছ থেকে কেরোসিন তেল পাওয়া তো সম্ভব না!

একটু শীত শীত লাগছে। টিশার্টের উপর একটা শার্ট চাপিয়ে নিলাম। তারপর চেয়ারটা নিয়ে বারান্দায় আসলাম। এখানে কোন বাল্ব নেই। আজকে সকাল হওয়াটা দেখা যাক। অনেকদিন দেখা হয়নি।

ভার্সিটিতে পরীক্ষার সময় রাতে দশটা-এগারটায় ঘুমিয়ে ভোর তিনটা-চারটায় উঠতাম। ওই সময় পড়তে ভালো লাগতো। তখন সকাল হওয়াটা দেখতে পেতাম। সূর্যের কোমল রূপটা দেখতে খুব ভালো লাগতো। চারপাশ খুব শান্ত। কিছু নামাজী ছেলে নামাজ পড়তে হলের মসজিদে যেত। আমিও দু-একবার গিয়েছি। একটু হাঁটাহাঁটি করতাম আর ভাবতাম এত সুন্দর সকালটা মিস করা উচিত না। এরপর থেকে পরীক্ষার পরেও ভোরে উঠে সকাল হওয়াটা দেখব। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে নি। পরীক্ষা শেষ, ভোরে উঠাও শেষ। আর কেন জানি পরীক্ষার সময় সকাল দেখতে বেশি ভালো লাগে। বোধহয় এই অজুহাতে পড়াশোনায় কিছুক্ষণ ফাঁকি দেওয়া যায়, তাই।

পড়াশোনা, পড়াশোনা করে লাইফ হেল করে ফেললাম। তবে খুব ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। আমাদের ডিপার্টমেন্টে নাকি আগে কেউ এত ভাল করে নি ( আমি দাবি করছি না। আমার কাছে কোন প্রমান নেই)। ভার্সিটির শেষ পরীক্ষা শেষে হেডস্যার তাঁর রুমে ডেকে বললেন, 'হাসান, তুমি আগামীকালই তোমার CV দিয়ে যাবে। আমি চাই তুমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ডিপার্টমেন্টে জয়েন কর। আপাতত পার্টটাইম, পরে সুযোগমতো সার্কুলার দিয়ে পার্মানেন্ট করে নেব।'

হেডস্যারের রুম থেকে বের হয়েই দিলাম একটা লাফ। প্রচণ্ড জোরে চিৎকার দিতে ইচ্ছা করছিল। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালাম। এত ভালো লাগছিল! আমার আজীবন স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হব। আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে বাড়ি থেকে আসি তখন আমার হাইস্কুল শিক্ষক বাবা বলেছিলেন, 'ভালো করে পড়াশোনা করবে। তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারলে খুব খুশী হব।' বাবাকে ফোন দিয়ে খুশির ব্যাপারটা জানালাম।

এর কিছু দিন পর ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং এর নিচে এক ছোট ভাই (হেডস্যারের থিসিস স্টুডেন্ট) উত্তেজিত হয়ে বলল,
'ভাই শুনছেন, রিফাত ভাই টিচার হইছে। পার্টটাইম'।
'কোন রিফাত ভাই? ০৫ এর?' আমার খুব খারাপ আশঙ্কা হল।
'হ ভাই'।
'ও কিভাবে টিচার হবে! ওর তো রেজাল্ট খুব খারাপ!'
'ওনার CGPA ৩.১০!"
'তুই খবর ঠিক জানিস?'
'হ ভাই, গতকাল রাতে হেডস্যার কইছে।'

আমি ওর কাছ থেকে সরে আসলাম। আমার খুব কান্না পাচ্ছিল। ওর উত্তেজিত হয়ে আমাকে বলার কারন বুঝতে পারছি। টিচার একজনই হয়েছে, আমি হই নি। ওরাও আশা করছিল আমি ওদের টিচার হয়ে জয়েন করব। আমার তখনও বিশ্বাস হচ্ছিল না। হেডস্যারের সাথে দেখা করলাম। স্যার অনেক কথা বললেন, কিন্তু এ ব্যাপারে একটা কথাও বললেন না। আমি যা বোঝার বুঝে নিলাম। হেডস্যারের রুম থেকে বের হওয়ার পর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। ভাগ্যিস কেউ দেখে নি।এতবড় ধাড়ী ছেলে কান্নাকাটি করছে, নিশ্চয় খুব বাজে দেখাচ্ছিল। কিন্তু কী করব! আমি যে অনেক বেশি আশা করেছিলাম।



সূর্য ওঠা শুরু করেছে। কোমল লালচে-কমলা আভা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। এখন আর দুঃখের কথা ভাবব না। সুন্দর কিছু ভাবি। 'সুন্দর' কথাটা ভাবলেই আমার নীলার মুখ মনে পড়ে। একটা মানুষ এতো সুন্দর হয় কি করে! আমি এ জীবনে সুন্দর যা কিছু দেখেছি, হোক সে মানুষ, ফুল, নদী বা অন্য কিছু, সব থেকে সুন্দর হল নীলা। অসম্ভব সুন্দর এবং অসম্ভব নিষ্ঠুর। আমার ধারনা নিষ্ঠুরতার কারণে ওকে আরও বেশি সুন্দর আর দুষ্প্রাপ্য লাগে। কোন এক কারণে ও আমাকে পছন্দ করে। আমি এখনও কারণটা জানি না। নিষ্ঠুরতার একটা উদাহরণ দেই, আমি যখন ওকে আমার শিক্ষকতা বিষয়ক দুঃখের কথা জানালাম (সে কিন্তু তখন আমার প্রেমিকা), ওর প্রথম কথা হল, 'এসব টিচার-ফিচার হয়ে কি হবে। কয়টাকাই বা বেতন। তুই অন্য কিছু দ্যাখ।' আমার আহত দৃষ্টি দেখে বলল, 'এত ছিঁচকাঁদুনে ভাব করতেছিস কেন? আমার একটু কাজ আছে, ভাবীর সাথে মার্কেটে যাব। তুই থাক, আমি গেলাম।'

খুব অভিমান হয়েছিল। ভেবেছিলাম অনেক হয়েছে। এই প্রেম-প্রেম খেলার আর কোন মানে হয় না। কিন্তু ও সামনে আসলেই আবার ওর প্রেমে পড়ে যেতাম। একদম সত্যি। আমি সারাদিনে অসংখ্যবার ওর প্রেমে পড়তাম। একদিন সন্ধ্যার দিকে ওকে বললাম,
'আজ সারাদিনে অন্তঃত একশ বার তোর প্রেমে পড়েছি।'
'তোর পায়ে কি গ্রীপ বলতে কিছু নাই? যেখানে-সেখানে পড়ে যাস।'
যেখানে-সেখানে তো না, শুধু তোর উপর পড়ি।'
'খবরদার, কোন ফাজলামি করবি না এখন।'

এমনিতে মেয়ে হিসাবে অতটা খারাপ ছিল না। ওর কিছু খুব দুর্বল বিষয় ছিল। কখনো একটা কথাও বলত না সে ব্যাপারে। আমি কিছু বুঝতে পারতাম। ওর উপর মায়া হত খুব। আমার ধারণা এই দুর্বল ব্যাপারগুলো ঢেকে রাখতেই নিষ্ঠুরতা। শিক্ষকতা বিষয়ক ঘটনার কিছুদিন পর একদিন হঠাৎ নীলা বলল,
'আমি ঠিক করেছি তোকে বিয়ে করব। তুই কি রাজী আছিস?'
'মানে!!!' আমার মাথা আসলেই একটা চক্কর দিয়ে উঠল।
'মানে হল, তুই কি আমাকে বিয়ে করতে রাজী আছিস?'
'আমি রাজী (আমি তো সবসময়ই রাজী ছিলাম!) কিন্তু এখন বিয়ে করব কিভাবে! আমি বেকার, তুই বেকার। তোরে খাওয়াবো কি?'
'আমার খাওয়া নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না। বিয়ে করব গোপনে। আমরা যেরকম ছিলাম সেরকমই থাকব। শুধু বিয়েটা করে রাখব।'
'হঠাৎ বিয়ে নিয়ে খেপলি কেন?'
'আমি ভেবেচিন্তে দেখলাম, পাত্র হিসাবে তুই নেহায়েত খারাপ না। তাই আর দেরী না করার সিদ্ধান্ত।'

এবং আমারা বিয়ে করে ফেললাম। আমি আজও জানি না ও হঠাৎ কী মনে করে আমাকে বিয়ে করেছিল। শিল্পপতির মেয়ে, অসাধারণ সুন্দরী; ওর পাত্রের অভাব হওয়ার প্রশ্নই আসে না। সত্যি বলতে কি, এতদিন আমার প্রেমিকা থাকলেও আমি নিজেকে এটা বিশ্বাস করাতে পারতাম না যে, আমারা একদিন বিয়ে করব।

বিয়ের পর আমি ওর কাছ থেকে কিছু ভালবাসা পেয়েছিলাম। কাজী অফিস থেকে বেরিয়ে রিকশায় উঠে বলল,
'আজ থেকে আমি তোমাকে তুমি করে বলব।'
আমি একটু চমকে গেলাম। এত কোমল গলায় ওর কথা এর আগে কখনো শুনতে পাই নি।
'বলবি.....মানে.., বলবে'
'তুমি কখনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।'
'যাব না'
'পুরো বাক্য বল।'
'আমি কখনও তোমাকে ছেড়ে যাবে না।'
'প্রমিস?'
'প্রমিস।'
তারপর চুপ করে থাকল। ওকে এত শান্ত, এত কোমল আমি আগে কখনো দেখিনি।

সেদিন আমাদের বাসরঘর হয় নি। তার কিছু দিন পর যখন রাজশাহীতে চাকরী নিয়ে আসি তখন ও বাসায় ম্যানেজ করে আমার এখানে তিন দিন ছিল। স্বপ্নের মতো তিন দিন! আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের তিন দিন। এই তিন দিনে আমি যত ওর সঙ্গ পেয়েছিলাম গত তিন বছরেও আমি তত পাইনি। আমার প্রতি ওর ভালবাসাটা বুঝতে পেরেছিলাম। এই এক রুমে আমাদের সুখের সংসার তৈরী হয়েছিল। আমরা একসাথে বাজার করেছি, একসাথে রান্না করেছি, একসাথে ঘুমতে গেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওর মুখটা দেখতে পেলে বুকের মধ্যে খুব শান্তি লাগত। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মনে হত।

আইনত এখনও নীলা আমার স্ত্রী। তবে আর বেশি দিনের জন্য না। মাসখানেক আগে নীলা জানিয়ে দিয়েছে, ও আর এই রিলেশনটা রাখতে চায় না। ডিভোর্স দিতে চায়। আমি যেন কোন ঝামেলা না করি। সে হিসাবে বোধহয় আর মাসদুয়েক নীলা আমার স্ত্রী।



সূর্য পুরোপুরি উঠে গেছে। দোতলায় ফাহমিদের সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে। চার-পাঁচ বছর এর অসম্ভব দুরন্ত একটা বাচ্চা। ইদানীং আমার সাথে একটু খাতির হয়েছে। ওকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বড় হয়ে কি হবে, তাহলে গম্ভীর মুখে বলে, বাসের ড্রাইভার হবে! পল্টু নামে তার একটা হেল্পার থাকবে যে তাকে 'ওস্তাদ' বলে ডাকবে আর বলবে, 'ওস্তাদ, ডাইনে পেলাস্টিক'! আর ও প্যাঁ পোঁ হর্ন বাজিয়ে অনেক জোরে বাস চালাবে। ইদানীং অবশ্য ওকে সিনেমাজগতে আগ্রহী হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে এবং মনে হচ্চে অচিরেই বলিউডের রণবীর কাপুর বাস ড্রাইভার এর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে।

সকালটা বেশ ভালো লাগছে। একটা নতুন দিনের শুরুটা খারাপ হল না। একটু তাড়াহুড়া করতে হবে। ফয়সাল ভাই আজ তাড়াতাড়ি অফিস যেতে বলেছে। একটা আর্কিটেক্চারাল ফার্মে জুনিয়র আর্কিটেক্ট হিসেবে বছরখানেক চাকরী করছি। আপাতত এটাই আমার রুটি-রুজির অবলম্বন। ফয়সাল ভাই যদিও আমার বস এবং বেশ সিনিয়র তবু আমার ভার্সিটির বড় ভাই হিসাবে সম্পর্কটা একটু আন্তরিক।

অফিসে এসে ফয়সাল ভাইয়ের দেওয়া কাগজপত্রগুলো দেখে খুব মেজাজ খারাপ হল। গতকাল সাবমিট করা আমার ডিজাইনে কিছু কারেকশন করতে বলেছে। অনুসরণীয় ডিজাইন হিসেবে কিছু ফালতু চলতি বিল্ডিং এর ছবি দিয়েছে। আসল ডিজাইনটা আমার অনেক পছন্দ ছিল। কিন্তু এই ব্যাটা ডিজাইনটা স্রেফ খুন করতে চায়।

'ভাই, এই ব্যাটা কি আলু-পটলের ব্যবসা করে?'
'না, রড-সিমেন্টের' ফয়সাল ভাই হেসে ফেলে।
'তা রড-সিমেন্ট নিয়ে থাকলেই তো পারত। রুচি বলতে কিছু নাই। একটা সুন্দর জিনিস যে অসুন্দর হয়ে যাবে তা বোঝার এতটুকু বুদ্ধি নাই।'
'ও নিয়ে মাথা ঘামিও না। আমরা প্রফেশনাল ডিজাইনার। সো, ক্লায়েন্টের খুশীই আমাদের খুশী। আর তোমার আগের ডিজাইনটা আমার পছন্দ হয়েছে। ওটা নিয়ে আমার একটা আইডিয়া আছে। ফাইনাল হলে তোমাকে জানাবো।

বিকেলের দিকে জানতে পারলাম আমাদের ঢাকা ব্র্যাঞ্চের এক ক্লায়েন্ট আমার আগের ডিজাইনটা পছন্দ করেছে। আমাকে ঢাকা যেতে হবে। আমার চোখ জ্বালা করে উঠল। ঢাকা! এই শহর নিয়ে ভার্সিটি লাইফসহ আরো অনেক স্মৃতিই আছে। কিন্তু এখন ঢাকা শুনলেই মনে হয়, যে শহরে নীলা থাকে!

(চলবে)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×