কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই, চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ভারত বাংলাদেশকে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিল। অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দিল। ফাঁকে বাংলাদেশ এখন আরও বেশি সাহসী এবং স্বাবলম্বী। চীন, রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে। বাংলাদেশ অক্সিজেন উৎপাদনেও স্বয়ং সম্পূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি ক্যাপাসিটি মোতাবেক আল্লাহর রহমতে আমাদের কোনো অক্সিজেন সংকট হবে না। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। আমরা মূলত বিদেশীদের প্রশংসা করতে পছন্দ করি। দাসত্ব অনেকের মজ্জাগত। বিদেশের কোনো নেতা ট্রেনে দাঁড়িয়ে গেলে আমরা আবেগে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলি। একবারো ভাবিনা, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে ২১ বছর তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। তখন কেন এমন মেট্রোরেল হয়নি? আমরা নিজের জাতির পিতার ছবি হৃদয়ে, বুকে/ পিঠে না নিয়ে দূর দূর দেশের চে, মাও, লেনিনকে খুব "লালন" করি। আদতে আমরা কি নিজে থেকেই পালিয়ে বেড়াই না। ভারতের টাটা বলতে কয়েকদিন ধরে আমাদের কেউ কেউ অজ্ঞান। আমাদের দেশের আবুল খায়ের গ্রুপ কিংবা এমন আরও কেউ যে থাকতে পারে যারা টনের পর টন অক্সিজেন মানুষকে ফ্রি দিয়ে দিতে প্রস্তুত। পরের চামচামি, দাসত্ব, প্রশংসা আমাদের এত ভালো লাগে কেন? নিজেদের নেতাকে আমরা হত্যা করি, নিজের দেশ নিয়ে হাসাহাসি করতে আমাদের ভাল লাগে। নিজের দেশের ব্যাংক লুট করে পরের দেশের ব্যাংক এ জমা রাখতে আমাদের ভালো লাগে। কেমন একটা আত্মঘাতী জাতি আমরা। কই মোদীবাবা তো অক্সিজেন দিল না, টাকা নিয়েও টিকা দিল না। কোত্থেকে দেবে? ভারত নিজেই আজ ধুঁকছে। আমরা এমনটি চাইনা। তাই তো দেখি, বাংলাদেশ ভারতকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দিয়ে হেল্প করতে প্রস্তুত। এরপরেও তোমরা বিদেশের পা চেটেই যাবা। নিজের দেশের কিছুই তোমাদের ভাল লাগবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৭