ডেইলি স্টারের এই নিউজে জানা যাচ্ছে এমরান সাহেব মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। মার্কিন দূতাবাসে পরিবারসহ আশ্রয় চেয়েছেন বরখাস্ত ডিএজি এমরান
তিনি নিজে মেসেজ পাঠিয়ে এই খবর প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে ........। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন যাবত অনবরত হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।'
রাষ্ট্রের একজন সাবেক গুরুত্বপূর্ণ আইন কর্মকর্তা হিসেবে ভাল টাকা ইনকাম করেছেন এবং তার একটা বড় অংশ সম্ভবত আমেরিকায় পাচার করেছেন। ডঃ ইউনুসের প্রতি আসলে উনার কোন টান ছিল না। তিনি আসলে পরিস্থিতির ফায়দা নিয়েছেন।
উকিলদের কখনো বিশ্বাস করবেন না। এরা নিজের স্বার্থে যে কোন নোংরামি করতে পারে ।
উকিলদের নিয়ে জোকস
১/একই দুর্ঘটনায় এক গ্রামের দুই ব্যক্তি মারা গেলেন। একজন এলাকার সুখ্যাত পরহেজগার ব্যক্তি সমীর অপরজন উকিল কাজল।
আমলনামা মোতাবেক দুজনই স্বর্গবাসী। ফেরেস্তা এসে দুজনকে নিয়ে গেল যার যার বিশ্রামের স্থান দেখাতে। ধার্মিককে দেওয়া হলো সাধারণ মানের সিঙ্গেল বেডের একটি ঘর যাতে ফ্যান ও লাইট আছে। কিন্তু উকিলকে দেওয়া হলো রীতিমতো ফাইভস্টার হোটেলের অতি আরামদায়ক স্যুইট।
ব্যবস্থা দেখে উকিলের সন্দেহ হলো। নিশ্চয়ই কোনো ফজলামো হচ্ছে তার সঙ্গে।
উকিল স্বর্গীয় দূতকে বললেন: মনে হচ্ছে কোথাও ভুল হয়েছে। এই স্যুইটটা সমীর সাহেবের হওয়ার কথা আর উনাকে যেটা দেওয়া হয়েছে...
ফেরেস্তা: না না! সবই ঠিক আছে।
স্বর্গে কোনো ভুল হয় না। এটা আপনারই।
উকিল: আমার হিসেব তো বলছে এই স্পেশাল স্যুইট আমার হতেই পারে না...
ফেরেস্তা: কিন্তু এখানে হয়েছে, মহাশয়। কারণ, আমরা এযাবত পরহেজগার লোক হাজার হাজার পেয়েছি- কিন্তু একজন উকিলকে এই প্রথম পেলাম এখানে...
দ্বিতীয় জোকস
২। অপরাধীদের কাছে জনপ্রিয় কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে কুখ্যাত এক আইনজীবী গ্রামে বেড়াতে গিয়ে বন্দুক নিয়ে পাখি শিকারে বের হলেন। তার গুলিতে আহত একটি পাখি উড়ে গিয়ে পড়লো পাশের খামারে। তিনি পাখিটিকে তুলে আনতে গেলেন। ওদিকে খামারের মালিক বৃদ্ধ কৃষক আহত পাখিটিকে তুলে ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ করছিলেন। তিনি আইনজীবীকে আটকালেন।
কৃষক: আপনি আইন ভেঙে পাখি শিকার করছেন!
আইনজীবী: বাজে কথা বলো না! তুমি জানো না আমি কে? আমার শিকার করা পাখিটি নিয়ে যেতে দাও।
কৃষক: এই পাখি আপনি পাবেন না। আর এটা আমার জমি এবং আমার বিনা অনুমতিতে আপনি এখানে ঢুকতে পারেন না।
আইনজীবী: আমি দেশের শীর্ষ আইনজীবী আর তুমি আমাকে আইন শেখাচ্ছো! লেখাপড়া জানা মানুষজন জানে কতো বড় বড় খুনিকে আমি নিরপরাধ প্রমাণ করেছি আর কতো লোককে খামোখাই জেলের ঘানি টানিয়েছি...
কৃষক: আপনি যেই হোন তাতে কিছু আসে যায় না। তবে আমরা আমাদের গ্রামে এ ধরনের সমস্যার সমাধান স্থানীয় কায়দায় করি।
আইনজীবী: কী সেই কায়দা, বল তাড়াতাড়ি!
কৃষক: যে দুজনের মধ্যে বিবাদ তারা একজন আরেকজনকে তিনটি করে উষ্টা মানে লাথি মারে। এভাবে চলতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের একজন পরাজয় স্বীকার করে নেয়। একে বলে ‘তিন উষ্টা’ পদ্ধতি। একেকজন পর পর তিনটি করে লাথি মারতে থাকে।
ধূর্ত আইনজীবী খুব দ্রুত হিসাব কষে বুঝলেন এই হাড় জিরজিরে বৃদ্ধ লাথির লড়াইয়ে বেশিক্ষণ টিকবে না তার সঙ্গে। ওদিকে দুজনের চেঁচামেচিতে আশপাশে বেশকিছু দর্শকও জড়ো হয়েছে। আইনজীবী মনে মনে হেসে নিয়ে বললেন: ওকে, তিন উষ্টা পদ্ধতিই সই। আমি রাজি।
কৃষক: তাহলে আমি শুরু করি।
আইনজীবী: সমস্যা নাই, আমি প্রস্তুত।
আইনজীবী শক্ত হয়ে দাঁড়ালেন কৃষকের সামনে। কৃষক আহত পাখিটিকে পাশের একজনের হাতে দিয়ে ঘুরেই আইনজীবীর উরুসন্ধিতে মারলেন কঠিন এক লাথি। বুড়ো হলেও কঠোর পরিশ্রমী চাষার পাগুলো তো লোহার মতো শক্ত। আইনজীবী চোখেমুখে অন্ধকার দেখলেন। কোমড় কুঁচকে বসে পড়লেন। ওদিকে কৃষক দ্বিতীয় লাথি চালালো তার পেট আর বুকের মাঝ বরাবর। আইনজীবী দুপুরে যেসব মোগলাই খাবার খেয়েছিলেন তা বেড়িছে আসলো বমি হয়ে। তিনি ফুটবলের মতো কুঁচকে পড়ে রইলেন মাটিতে। এবার কৃষক মারলেন তৃতীয় লাথি তার পশ্চাদ্দেশে। আইনজীবী সোজা দাঁড়িয়ে গেলেন।
তবে জীবনে অনেক কঠিন কেস লড়া পোড়খাওয়া আইনজীবীর মাথা পুরো ঠাণ্ডা রয়েছে। কারণ, তিনি জানেন এই লড়াইয়ে জয় তার অবধারিত। তিনি বুড়োর চেয়ে অনেক কঠিন আঘাত হানতে যাচ্ছেন এবার।
আইনজীবী: ওকে, বুড়ো হারামি কোথাকার! এবার আমার পালা। দাঁড়াও, দেখি এবার তোমার পায়ে কতো শক্তি আছে।
কৃষক: স্যার, আমি হার মানছি। এই নেন, আপনার জেতা পাখিটা নিয়ে যান!
এই জবাবে আইনজীবীর মাথা ঘুরতে লাগলো, বুকেও ব্যথা শুরু হলো। দ্রুতই তিনি জ্ঞান হারালেন।
জোকস দুইটি কালের কণ্ঠ থেকে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬