দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৯০ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে স্নাতক ডিগ্রীধারী বেকারের সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার। এই বিপুল পরিমাণ বেকারের কর্মসংস্থান করতে কি করা প্রয়োজন? চলুন, কিছু পরিকল্পনা করা যাক। সবার আগে কাজের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেভাবে দ্রুত এই বেকার জনগোষ্ঠীকে কাজে ঢুকানো যাবে –
১) দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন চাকরী সৃষ্টি করে,
২) নতুন ব্যবসা সৃষ্টি করে,
৩) শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী ট্রেডার হিসেবে,
৪) বিদেশে কর্মসংস্থান করে।
এর মাঝে বিদেশে কর্মসংস্থান করেই সবচেয়ে দ্রুত কর্মস্থান করা সম্ভব। যেসব দেশে বর্তমানে চাকরীর বাজারে কর্মী সংকট রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে –
কানাডাঃ এই দেশের স্বাস্থ্য, আইটি, নির্মানশিল্প এবং শিক্ষা খাতে কর্মী সংকট রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়াঃ এই দেশের মাইনিং, স্বাস্থ্য, ট্যুরিজম খাতে কর্মী সংকট দৃশ্যমান।
সিঙ্গাপুরঃ এই দেশের ফাইন্যান্স, টেকনোলোজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।
আরব আমিরাতঃ এই দেশে নির্মানশিল্প, ফাইন্যান্স, আবাসন খাতের আতিথেয়তা এবং উদ্ভাবন শিল্পে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।
জাপানঃ এই দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য এবং আইটি খাতে কর্মী সংকট রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়াঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং সেমিকন্ডাক্টর খাতে কর্মী সংকট রয়েছে।
নিউজিল্যান্ডঃ এই দেশে কৃষি, ট্যুরিজম এবং স্বাস্থ্য খাতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।
সুইডেনঃ স্বাস্থ্য, ক্লিন এনার্জি এবং আইটি শিল্পে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।
বিদেশে যেতে আগ্রহী বেকারদের স্কিলস নিরূপণে প্রথমেই জেলায় জেলায় লিস্ট তৈরী করতে হবে। এরপরে, এইসব দেশের জবপোর্টাল থেকে ঠিকানা যোগাড় করে চুক্তি করতে হবে। বেকাররা নিজেরাও আবেদন করতে পারেন।
আমার মনে হয়, এই ভাবে করতে পারলে, ১ বছরের মাঝে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অর্ধেকেরও কমে আনিয়ে নেওয়া সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬