একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সরাসরি ক্ষমতায় না থেকেও সে বিদেশি ছায়ার নিচে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা আঁকছে। ইতিহাস বলে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ সবচেয়ে ভয়ংকর হয়, কারণ তখন তার আর কিছু হারানোর থাকে না।
দিল্লির আশ্রয়ে পালানো শাসক
যে নারী বছরের পর বছর “সার্বভৌমত্ব” আর “স্বাধীনতা”র বুলি আওড়িয়েছে, সেই নারীই আজ ভারতের ছায়ায় আশ্রিত। এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় এটাই তার রাজনীতির আসল চেহারা।
ভারত সবসময় এমন শাসককেই নিরাপদ আশ্রয় দেয়, যারা নিজের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিদেশি স্বার্থ রক্ষা করে। শেখ হাসিনা সেই তালিকার সর্বশেষ নাম।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র, যত অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা সবকিছুর কেন্দ্র এখন দেশের বাইরে। কারণ দেশের ভেতরে সে আর দাঁড়াতে পারে না।
হাদির ওপর আঘাত: একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা
হাদির ওপর যে আঘাত এসেছে, তা কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ নয় এটি ছিল একটি রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা। বার্তাটি ছিল এমন:
“যারা কথা বলবে, তাদের পরিণতি এমনই হবে।”
কিন্তু এই বার্তাই ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে বড় ভুল প্রমাণ করেছে।
একজন হাদিকে আঘাত করা গেছে, কিন্তু হাদির কণ্ঠকে থামানো যায়নি। বরং সেই আঘাত হাজারো কণ্ঠকে জাগিয়ে দিয়েছে।
ভারতের হিসাব ভুল
ভারত ভেবেছিল একজনকে চুপ করালেই বাকিরা ভয় পাবে।
কিন্তু তারা ভুলে গেছে বাংলাদেশ ভয় দিয়ে শাসিত হওয়ার জাতি নয়।
আজ এই দেশে শুধু একজন হাদি নেই শত শত হাদি আছে। হাজারো মানুষ আছে, যারা ভয়কে অতিক্রম করে সত্য বলতে শিখে গেছে। হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যই প্রমাণ করেছে—ভারতের বুকেও এখন অস্বস্তি শুরু হয়েছে।
কারণ সত্য একবার উচ্চারিত হলে আর সীমান্ত মানে না।
ভেতরের শত্রুরা এখনো সক্রিয়
সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো আজও কিছু আওয়ামী লীগের লোক উল্লাস করে। তারা বলে, “ভালোই হয়েছে।” এরা রাজনীতিক নয়, এরা দালাল। এরা সেই শ্রেণি, যারা বিদেশি আশ্রয়প্রাপ্ত ষড়যন্ত্রকারীর পক্ষে দাঁড়িয়ে নিজের দেশকেই আঘাত করে।
এই দালালদের চিনে রাখাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
আগামীর বাংলাদেশ: সতর্ক ও প্রস্তুত
শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় নেই কিন্তু তার ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। তাই আগামীর বাংলাদেশকে হতে হবে সতর্ক, ঐক্যবদ্ধ ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন।
এই লড়াই আর কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয় এই লড়াই ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, বিদেশি আগ্রাসন এবং দালালি রাজনীতির বিরুদ্ধে।
শেষ কথা
আমরা দোয়া করি হাদি ভাই সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন।
কারণ এই লড়াইয়ে প্রতিটি কণ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ।
ইনশাআল্লাহ,
দিল্লির ছায়া থেকেও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে না।
বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরবে না।
সত্যই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




