গ্রামগুলোকে পরিবেশ দূষন থেকে রক্ষা করা খুবই দরকার। কয়েক দিন আগে, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে গিয়েছিলাম ছুটি কাটাতে। একদিন বিকালে পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটছি। হঠাৎ করেই পথে ফেলে দেওয়া কয়েকটি স্যানেটারী প্যাড পড়ে থাকতে দেখলাম। পথে যেতে যেতে বাজারের কাছে আসতেই পথের এক জায়গায় দেখতে পেলাম কয়েকটি ব্লেড। পথের শেষ মাথায় একটি সেলুন। মনে পড়ে গেলো, সেই গ্রামের একটি দোকানে চা পান করার কথা। আমাদের চা পান শেষে খালি কাপ থেকে দোকানী ফুটপাতে চা-পাতা ফেলে দিয়েছিলেন। সেই গ্রামের ফুটপাতগুলোতে কোমল পানীয়'র প্লাস্টিকের বোতলও চোখে পড়েছিলো।
এমন অবস্থা শুধু গ্রাম-গঞ্জেই পাওয়া যায় না, শহরেও হর-হামেশা ঘটে। বিভাগীয় শহরের বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন বা গ্রামগুলোতে সে রকম ব্যবস্থা মনে হয় এখনো গড়ে উঠেনি।
ঢাকাতে মাসে আনুমানিক ১্৩,৩৫,০০০ টন, চট্টগ্রামে আনুমানিক ৫১,০০০টন, রাজশাহীতে আনুমানিক ১২,০০০ টন, খুলনায় আনুমানিক ৩৬,০০০ টন, বরিশালে আনুমানিক ৬,০০০ টন, সিলেটে আনুমানিক ৭,৫০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। বাকি ৫৮ জেলার শহরগুলোতে মাসে গড়ে ২,৬১,০০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে।
শহরগুলোর ডাস্টবিনগুলোতে কত বর্জ্য জমা হয় তার হিসাব থাকলেও, গ্রামগুলোতে কতটুকু বর্জ্য উৎপাদিত হয় তার একটি সঠিক হিসাব থাকা দরকার। সেই সাথে দরকার সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। আর, তা করতে পারলে, বর্জ্যকেও দেশের সম্পদে পরিণত করে ফেলা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১