==
০১
==
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুড়ো বয়সে সামনের দিকে ঝুঁকে লিখতেন। একদিন হয়েছি কি, তাঁর এই ঝুঁকে পড়ে লেখা দেখে এক শুভাকাঙ্ক্ষী বললেন,
'আপনার এরকম করে লিখতে নিশ্চয় খুব কষ্ট হচ্ছে। বাজারে এমন চেয়ারও রয়েছে যা কিনে এনে আপনি হেলান দিয়ে শুয়ে আরাম করে লিখতে পারবেন। ও রকম একটা আনিয়ে নিচ্ছেন না কেন!'
রবী বাবু লোকটির দিকে কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রইলেন। এরপর জবাব দিলেন- 'তা তো পারিই! এমন উপুড় হয়ে না লিখলে লেখা যে বের হয় না! কলসির জল যখন কমতে কমতে তলায় এসে ঠেকে, তখন তা একটু উপুড় তো করতেই হয়!'
==
০২
==
হেকিম আজমল ছিলেন হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা। সেই হিসেবে, চিকিৎসক হিসেবে তাঁর খুব নাম-ডাক ছিলো। রোগী না দেখেই শুধু প্রশ্রাব দেখে রোগ নির্ণয় করতে পারতেন বলে আজমলের সুনাম অনেক দূরে গিয়ে পৌঁছে।
একবার হলো কি, এক ব্যক্তি হেকিম আজমলকে পরখ করে দেখার জন্যে নিজেরটা না পাঠিয়ে উটের প্রশ্রাব পাঠালো তাঁর কাছে। হেকিম প্রশ্রাব পরীক্ষা করে লিখলেন- ''এই প্রশ্রাবের মালিককে আরো বেশি বেশি খড় ও ভুষি খেতে হবে।''
==
০৩
==
দার্শনিক স্যার বার্ট্রান্ড রাসেল পৃথিবী কিভাবে সূর্যের চারপাশে ঘুরে তা নিয়ে একবার বক্তৃতা করছিলেন। এমন সময় এক বৃদ্ধা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, 'পৃথিবীটা গোল এটা কে বলেছে! ওটা তো চ্যাপ্টা। আর, এই চ্যাপ্টা পৃথিবীটা একটি কচ্ছপের পিঠের উপর বসানো।
বার্ট্রান্ড একগাল হেসে বললেন, ''ঠিক আছে, আপনার কথাই না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু, সেই কচ্ছপটা কিসের উপর দাঁড়িয়ে পৃথিবীটা বয়ে বেড়াচ্ছে, বলুন তো?'
বৃদ্ধাও কম যান না। তাঁর ফোকলা দাঁতে উত্তর, ''তোমার মাথায় এতো বুদ্ধি, তবু, এটাও জানো না? কচ্ছপটা দাঁড়িয়ে আছে আরেকটা কচ্ছপের নিচে, তার নিচে আরেকটা কচ্ছপ, তার নিচে আরেকটা। এভাবে একটা উপর আরেকটা দাঁড়িয়ে পৃথিবীটা ধরে রেখেছে!'
বুঝুন ঠেলা!
==
০৪
==
ইসলামের শেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ )-এর কাছে একবার এক বৃদ্ধা মহিলা এসে জিজ্ঞাসা করলো যে সে বেহেস্তে যেতে পারবে কি না।
মহানবী (সাঃ ) বললেন যে, বেহেস্তে কোন বৃদ্ধার জায়গা নেই।
তা শুনে সেই বয়স্ক মহিলা তো কেঁদে কেটে অস্থির।
শেষ পর্যন্ত মহানবী (সাঃ ) হেসে ফেলে বললেন, 'বেহেস্তে তো সবাই জোয়ান হয়ে প্রবেশ করবে।'
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৪