"মূল্য বাড়িয়ে অর্থ পাচার করা হয় আবার কর ফাকি দিতে মূল্য কমিয়ে আমদানি করা হয়"
সবই চলে ব্যবসায়ী বান্ধব সরকারের আমলে । মূল্য দিতে হয় জনগণকে। অন্যদিকে সরকারই যখন মূল্য বাড়িয়ে তেল,ডিজেল,অকটেন বিক্রি করে তখন তাদের আর ব্যবসায়ীদের ধরার উপায় থাকে না । আগে সংসদে থাকতো জনগণের নেতারা আর এখন সংসদ থাকে ব্যবসায়ীদের নেতারা । তাই দ্রব্যমূল্য যতোই বাড়ুক না কেন , জনগণের কিছু বলার থাকেনা । হয় মুখ বুঝে সহ্য করো না হয় দেশ ছেড়ে ভাগো । অথচ এই গুটি কয়েক দুনীতিবাজ,অর্থ লিপ্সু ব্যবসায়ীকে ধরা কয়েক ঘন্টার ব্যাপার মাত্র । এদের সহায়তা করে আমলা বাবারা । কিন্তু কে যাবে ধরতে ? কার ঘাড়ে কয়টা মাথা ? ধরতে গেলেই তো রেলের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের মতো কয়েক ঘন্টার নোটিশে কিংবা দুদকে'র কর্মকর্তার মতো আউট করে দেওয়া হবে । তার চেয়ে টাউটদের মধ্যে মুখে বুঝে থাকাই স্রেয় তাতে বাল বাচ্চা অন্তত না খেয়ে থাকবে না । জনগনও মুখে কুলোপ এটে থাকে, দেখেও দেখে না, বলেও বলে না । শুধু সোশাল মিডিয়ায় আস্ফালন করে বেড়ায় ।
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের চেয়ে প্রায় পৌনে চারগুণ বেশি অর্থ জমা রেখেছে বাংলাদেশ ! সংবাদটি পড়ে রীতি মতো অবাক হলাম । এটা তাহলে ঋণ হলো কি করে ? এতো শেয়ালের কাছে মুরগী বন্ধক রাখার মতো ঘটনা । এর চেয়ে কি অভ্যন্তরীণ খাত থেকে এই অর্থ নেওয়া যেতো না ? যেতো, যদি না অতি পণ্ডিত চাটুকার,পলিসি মেকারদের পরিকল্পনায় অভ্যন্তরীণ খাতগুলো বন্ধ করে দেওয়া না হতো ।
এখনো সময় আছে , ব্যাংকিং খাতে সুদের মাত্রা পুন:নির্ধারণ করা হোক । সঞ্চয়পত্র বিনা শর্তে বিক্রি করা হোক । সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের টাকা বৈধ ঘোষুন করা হোক । তাহলে দেখবেন, টাকা উপচে পরছে । অর্থ পাচার কমে আসবে। ঋণের গ্রহণের মতো আইএমএফ ও বেশি ভালো না । ঋণ গ্রহন করলে তা পরিশোধ করতে হবে । রিজার্ভ থেকে ৭.২ মিলিয়ন গায়েবের কথা তারাই প্রকাশ করেছিলো । সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন । তা না হলে . আইএমএফ এর শর্তের চাপে দেশের জনগন ভর্তা হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৪