শ্যাওলা বাড়ীর সামনে অজস্র বৃক্ষের ছায়া......তার ফাঁকে উকিঁ দিচ্ছে ভেজা, ক্লান্ত উঠোন।
কী ভীষণ বিষন্ন দেখাচ্ছে পুরো জায়গাটাকে....।
স্হাণুর মত চেয়ে আছি বহুক্ষণ আমার ফেলে আসা শৈশবের দিকে।
এইখানে, এইজায়গায় ঘন পত্র-পল্লবের মাঝে এখনও লুকোচুরি খেলে আমার শৈশবের রোদ্দুর। এখনও স্পষ্ট শুনতে পাওয়া পায়ের শব্দ, আমার নিজের। সরু ঘাসেদের বুকে কান পাতলে শোনা যাবে আমার ছোট্ট পায়ের অস্হির পদচারণা, সঙ্গী হয় বুনো গাছগুলো আর সেই খরগোশটা। রোজ ঝিমঝিমে দুপুরে আমার বিচিত্র মনের স্ফূরণ গাছেদের কানে কানে। আমার বৃক্ষরাজ্যের প্রজা বলতে পোষা প্রানী আর নাম না জানা পাখিরা.......।
আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠে সবুজ পা দুটো, তারপর সময় তাকে কোথায় যে হারিয়ে ফেলে!
জানি, একদিন যান্ত্রিক নগর গিলে খাবে আমার আবাল্য সবুজ, অভিমানী কৈশোর।
আমিও হয়তো একদিন দুঃখ চেপে অন্তরীণ হবো মাতাল নগরের নৈমিষারন্যে.......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



