এক একটা দিনের গতিবিধি দেখতে দেখতে আমি এখন সময় ক্লান্ত। সূর্যের উদয় কিংবা অস্ত দুটোই আমাকে বিষাদাচ্ছাদিত করে তবু জানি এর কোনো শেষ নেই। এই সূর্যটা একই রকম থাকবে, কারো বেদনা কিংবা আনন্দে অভিব্যক্তি নেই। মানুষের অতি তুচ্ছ দুঃখ-বেদনায় কিছুই হারায়নি কখনো তার, কোনোকিছুর পরিবর্তন ঘটে নি। এরপরও সূর্য ডোবে অসীম ক্লান্তিতে......
খুব মন খারাপের সন্ধ্যেগুলো যখন কুয়াশার মত কিছু অস্পষ্ট আবেগের নিজস্ব সম্পত্তি হয়ে যায় ঠিক তখনই মৃত ঘাস ফড়িংটার আত্মা আসে কাছে। শরীরবিহীন, আকারহীন ফড়িংটা তার নরোম ডানায় করে নিয়ে আসে অনেক পুরোনো ইচ্ছেদের, যাদের প্রাণ ক্ষয়ে গিয়েছিল বুনো ইটের কলরবে, অনেকটা নিঃশব্দে। কোথায় যেন চলে গিয়েছে তপ্ত দিনের নীল নীল সন্ধ্যেরা, অনেক খুঁজেও তাদের পাওয়া যায় নি পথ থেকে পথে। দেয়ালে দেয়ালে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত চাপা সুর তাড়িয়ে বেড়ায় শহরের সবখানে......কোথায় গেলে পাওয়া যাবে মুক্তি? কোথায় অবশিষ্ট আছে শান্তির আস্বাদ? মৃত ফড়িংয়ের আত্মা ডানা ঝাপটিয়ে সুখ খোঁজে ভুল জায়গায়, ভুল সময়ে.........
তবুও বিসর্জন খালি হাতে ফেরে নি কখনো। নিয়ে গেছে কেড়ে অবশিষ্ট প্রাণটুকু..........
অনেক যুগ পরে যখন শরীরী অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়বে...তখন অদৃশ্য কোনো দৃষ্টি চেয়ে থাকবে, অপেক্ষা করবে নতুন সময়ের জন্য......নতুন সূর্যের জন্যে.......
আলো আধাঁরির খেলায় অনেকটুকু হারিয়ে যেতে যেতে আবার নতুন করে ফিরে পাব প্রাণ.....হোক না মূল্যহীন...অতিক্ষুদ্র...তবুওতো প্রাণ! দৃষ্টিসীমার শেষ খুঁজে না পেয়ে দুই ডানা শূন্যে ছড়িয়ে আলোর দিকে উড়ে গিয়ে পথ হারাবো.............

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



