somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেখক লেখক ভাব, লেখার অভাব

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শিরোনামটা দেয়ার পেছনে একটা চালাকি আছে।চালাকি মানে বেকুব মানুষের চালাকি। শিরোনাম যদি হতো -
আজকে আমার সামহোয়ারইন ব্লগে চতুর্থ বর্ষপূর্তি।
তাহলে বিস্তারিত লিখতে গিয়ে যদি লেখক খায়রুল আহসানের মতো পরিসংখ্যান করতে যেতাম তো,
থাক! আপনারাও এই গরিবের পোস্টের সংখ্যার দিকে তাকাতে যাবেন না।নিজের পোস্টের সংখ্যা দেখে আমি নিজেই লাজে মরি মরি অবস্থা।
এইবার শিরোনামের ব্যাপারে বলি।
ক্লাস সিক্সে সিলেটের মৌলভীবাজারে ছিলাম। আমাদের স্কুলের পাশে কোন বয়েজ স্কুল ছিল না যেন, কিছু বিল্ডিং ছিল। ছেলেরা সেখান থেকে আমাদের ক্লাস সিক্সের বারান্দায় উঁকি মারতো। আমরা ছোট মানুষ, ছোট বলতে সত্যিই ছোট। এখনকার ছোটদের মতো না।
তো বড় ক্লাসের কিছু মেয়ে তাদের বারান্দা,স্কুলের মাঠ, অন্য আরও বারান্দা বাদ দিয়ে আমাদের বারান্দায় টিফিন পিরিয়ডে আসত। এবং টিফিনের পুরোটা সময়ই তারা সেখানেই কাটাতো। কিন্তু যতক্ষণই থাকত, উফ্! অসহ্য! ভাল্লাগছেনা, চল চলে যাই, ছেলেগুলি কি অসভ্য! এইসব যখন করত তখন আমাদের ক্লাসের কয়েকটা মিনকা শয়তান জোরে জোরে বলতো নায়িকা নায়িকা ভাব নায়কের অভাব।
আর আমার কথা বলি, আমি সারাবছরই একটা লেখক লেখক ভাব নিয়ে চলি।ভাবসাব দেখলে মনে হয়, না জানি কত বড় লেখক!(ভাবের চোটে যদি দু’একটা লেখা বের হয়,তো ক্ষতি কি?) আল্লাহর রহমতে সবকিছু ভোলার ব্যারাম থাকাতে মানুষের মনেও ভ্রান্ত ধারণা হয় ।
আজকে সামুতে লগ ইন করার পর যখন দেখলাম,
সামুতে আজ আমার চতুর্থ বর্ষ পূর্তি। তখনই মনে হলো তাহলে তো আমার একটা পোস্ট দেয়া দরকার। এই উসিলায় পোস্টের সংখ্যাও একটা বাড়লো।
তারপর পোস্টের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে নিজের প্রতি নিজের একটা বাক্যই মনে মনে উচ্চারিত হলো। সেটা হলো-
লেখক লেখক ভাব, লেখার অভাব।
গেলো শিরোনামের কথা। এখন অন্য কথায় আসি।
আমার নিয়মিত পোস্ট করা হয় না।কারণ আমার অনেক লেখাই সমাপ্তি পর্যন্ত যায় না। কিন্তু সামুতে আমি সেরকম একটিভ না হলেও সামু আমার অনেক আপন।সব ব্লগার আপু, ভাইয়ারা আমি সত্যিই আপনাদের খুব ভালবাসি। আপনাদের মন্তব্য আমাকে লেখার অনুপ্রেরনা যোগায়।ভুলগুলি শোধরানোর সুযোগ করে দেয়। অনেক কিছু শিখি। আপনাদের লেখা পড়ে আনন্দ পাই, কষ্ট পাই, চার দেয়ালের মধ্যে থেকেও বিশ্ব ভ্রমণের আনন্দ পাই।
সামুতে যে প্রথম পোস্ট টা দিয়েছিলাম, হংস মিথুন? আমার মনে আছে আমি খুবই বিপর্যস্থ ছিলাম।ডুবন্ত মানুষ খড় কুটা ধরে হলেও বাঁচতে চায়। আমার তখন কোন স্থায়ী ঠিকানা ছিলোনা। কোন স্বপ্ন ছিলোনা। তখন কোথায় যাব, কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ছোটবেলায় একবার আমার আপুনি শিখিয়ে দিয়েছিলো, বেশি মন খারাপ হলে একটা কাগজে বা খাতায় লিখে তারপর সেটা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে দিবি। আমি লিখতাম ঠিকই।কিন্তু ছিঁড়তাম না।কেমন যেন মায়া লাগতো ।তাই রেখে দিতাম। পরে বান্ধবীরা সবাই নিয়ে নিয়ে পড়তো, আর বলতো সারমিন তুই লেখক হবি নাকিরে?
তাই মন খারাপের দিন গুলোতেও আমার সঙ্গী বলতে ঐ কাগজ কলমই ছিলো। হংস মিথুন লিখে কোথায় লেখা দেবো কোথায় লেখা দেব খোঁজ করতেই কয়েকজন সামহোয়ারইন ব্লগ দেখিয়ে দিলো।
প্রথম পোস্ট টা খুব ভয়ে ভয়ে দিয়েছিলাম(এখনও ভয়ে ভয়ে দিই)।
কিন্তু মন্তব্য পড়ে সব ভয় কেটে গিয়েছিলো।আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম।এখনও যখন সামুতে ঢুকি সব দূঃখ, কষ্ট ভুলে যাই।
আরও অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু বেশি লিখতে গেলে আজকে আর পোস্ট দেয়া হবে না। তাই ইতি টানলাম।
সামু পরিবারের জন্যে অনেক ভালবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৫
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×