somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্ম মৃত্যু গাঁথা / সকাল অনন্ত

২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে কে আমি? হে স্বামী,কোথা হতে আমি এসেছি.কোথায় আমি যাবো? কোথা হতে এসেছি-এর উত্তর মেলে। মা বাবার অনন্ত ভালবাসার অনন্ত পিপাসায় আমার রূপের এ আদল মেলেছে। চোখের কান্না মুখের হাসি ফুটেছে। পৃথিবীর বিশালতায় অশেষ সৌন্দর্য্য দেখেছি। মা বাবার আদরের জোৎস্নায় বড় হয়েছি। জীবনে অঢেল অঢেল ভালবাসা পেয়েছি। তাদের দেয়া অনেক নামও মিলেছে। অনন্ত কান্নার সাগরে ভেসেছি। আমি কে চিনেছি। তোমরা কে জেনেছি। আমার মনু রূপ আমার কাছে উদঘাটিত হয়েছে। সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়েছি। মায়ের থেকে দূরত্ব অনুভব করেছি,মায়ের কান্না শুনেছি,নিজেও সরবে কিংবা নীরবে কেঁদেছি। এই দূরালয়ে এসে মা ও দেশকে নুতন করে বুঝেছি। উপলব্ধি করেছি অনেক সত্য, দেখেছি অনেক মিথ্যা। উদঘাটিত হয়েছে সত্য ও মিথ্যার মিশ্র খেলা, মেলা বয়ে দিয়েছে বেলা। মানুষের মমতা, সরলতা,মনের বিশালতা আমায় যেমন টেনেছে তেমনি তাদের কদর্য রূপ আমায় তাদের হতে দূরে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বাস শব্দটির উপর প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা দেয়। কিন্ত আবার নিজে নিজে সামলে উঠেছি এই ভেবে বিশ্বাস শব্দটি যদি হারিয়ে ফেলি আমার পথ চলা হবে বিঘ্নিত। কিছুটা বিশ্বাস নিয়ে এখনও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। বেড়েছে ধৈর্য্য বেড়েছে সহ্য। আগে যেমন কিছু ভাল না লাগলে প্রকাশ পেতো আমার কন্ঠে আমার সুদৃঢ় কঠোর ভঙ্গিমায়। এখন তাতে অনেকাংশে বিলুপ্তি ঘটেছে। এখন কিছু ভাল না লাগলে মনে মনেই প্রতিবাদিত হই। এই ভেবে ভাল লাগে এখনও আমি তেমন ভন্ড হয়ে উঠিনি। আমার জীবন এক মহাভারত। আমার মনে হয় মহাভারতকেও তা ছাড়িয়ে গেছে। মনে হয় প্রত্যেকেরই মহাভারত পড়া উচিত। মহা ভারত মানুষের মনে নতুন নতুন চিন্তার জন্ম দেয়।
চিন্তা ও অচিন্তনীয় ঘুম এই দুইকে পাশাপাশি নিয়েই আমি চলি। যতদিন আমি জেগে থাকবো আমার জন্ম পুনঃপুনঃ হতে থাকবে। আমি নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ হবো, দৃষ্টি প্রসারিত হবে, স্বপ্নালোক বিস্তারিত হবে কথা পরিমিত হবে। ভালবাসা সুনিপুনতায় রূপ নেবে। শিশুলোক হচ্ছে আমার স্বপ্নপুরী আর শিশুরা হচ্ছে আমার প্রিয় বন্ধু। ওদের ঘিরেই আমার নতুন নতুন জন্ম। ওরা আমার মধ্যে নতুন নতুন ভাষার জন্ম দেয়। সৃষ্টি করে অনন্ত ভাল লাগা। ওদের হাসি-কান্না-নড়াচড়া-তাকানো ইত্যাদি ইত্যাদি আমার মধ্যে ছন্দ সৃষ্টি করে। জাগে এক আবেগময় ভাবনা। ওদের অভিব্যক্তি নিয়ে ওদেরকে ঘিরেই আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অভিব্যক্তি। অনেক দিন আমার মধ্যে স্বপ্নের ঘাটতি ছিল। ওরা যেন কোথায় লুকিয়ে ছিল। ঠিক যেমনি করে মুক্তা লুকিয়ে থাকে ঝিনুকের মধ্যে।
আমাদের বিভিন্ন চলমানতার প্রতিরূপই হচ্ছে অভিব্যক্তি। অভিব্যক্তি ছাড়া জীবন গৌন। প্রকৃতি অভিব্যক্তি ছাড়া মৌন। আমার এগিয়ে যাওয়া সে এক অনিন্দ্য ছন্দ ওদেরকে ঘিরেই। আমার কান্না হাসি আনন্দ দুঃখ হাঁটা চলা ভালবাসা অনন্ত আশা বৈচিত্র তামাশা সবই বিভিন্ন বিভিন্ন মাত্রায় ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে এগিয়ে যায় আমার বিশ্ব ব্রহ্মান্ড। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের খন্ড খন্ড দৃশ্য আমাদের বলা চলা লেখা দেখা শেখা এ এক অনন্ত দিক দর্শন। এই অনন্ত দিক দর্শন থেকেই আমার অভিব্যক্তি,আমার নতুন করে বেঁচে ওঠা আমার নতুন করে স্বপ্ন দেখা।
প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্নকে নিয়ে হাঁটা উচিত। স্বপ্নই মানুষকে সামনে এগুতে সাহায্য করে। স্বপ্নহীন মানুষ স্হবিরতায় রূপ নেয়। আমার মনে হয় সেই স্হবিরতার আরেক নাম মৃত্যু। মৃত্যু ছেলে বেলা হতে আমায় ভাবিয়েছে, আমার ডাইরীর পাতায় মৃত্যুর অবয়ব মেলে। চাক্ষুষ মৃত্যু দেখি আমার বয়স যখন পাঁচ কি ছয়। সেদিন ছিল ১৪ই আগষ্ট ১৯৬৯ কি ১৯৭০। স্কুলে গিয়েছি। যখন আমরা সারি সারি দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত পাক সার জামিন গাইছিলাম তখন আমার বাবার খালাতো ভাই আমাদের বুলু কাকা এসে হাজির। তিনি আমাদের ঝিকাতলায় অবস্হিত ১০৬/১ ধূপছায়ায়, দাদার বাড়িতে নিয়ে গেলেন। শুনতে পেলাম দাদির, বাবার, বড় ফুফুর চিৎকার কান্না। সাথে বড় কাকা,সেজো কাকা, ছোট কাকা, ছোট ফুফু,মা,বড় কাকির নীরব কান্না। আমার দাদা পাড়ি দিয়েছেন মৃত্যুলোকে। খুব সকালে বাবা নাইট ডিউটি সেরে দাদাকে দেখে গিয়েছিলেন। তখনও ভাবতে পারেন নি এই তার জীবিত বাবাকে শেষ দেখা। দাদার মৃত্যু আমায় প্রথম মৃত্যুর ছায়া দেখায়,ভাবায়। তবে খুব ছোট ছিলাম বলে হয়তো খুব গভীর ভাবনায় ভরেনি আমার মন। কিন্ত দাদার বাড়িতে গেলে দাদার খালি ঘর বিছানা দেখলে আমার মনে প্রশ্ন বোধক চিহ্ন দেখা দিতো এবং তখন থেকেই আমার মন মৃত্যু জিজ্ঞাসায় উৎসারিত হয়। এর পর হারুন মামা আমার বড় কাকির ছোট ভাই যিনি আমায় বড় ভালবাসতেন, সাইকেল চড়িয়ে এখানে সেখানে নিয়ে বেড়াতেন তার আত্নহত্যা আমাকে প্রচন্ড শোকে বিমূঢ় করে দেয়। তার আত্মহত্যার পিছনের নিগুঢ় কারণ নাইবা উল্লেখ করলাম,তবে এইটুকু লিখি ভালবাসা ও অভিমান,এই দুই-ই এর পিছনে কাজ করেছিল। তার মৃত্যু বিশ্লেষণ আমার ডায়েরীর পাতা ভরিয়ে দিয়েছিল। তবে যে মৃত্যু আমার মনের ভিতরকে নাড়িয়ে দিয়েছিল সেটা হচ্ছে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টে আমাদের জাতীয় পিতা ও তার পরিবারের নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ড। এই মৃত্যুতে মন কিছুতে সায় দেয় না। আমার মনও পাথর নিথর হয়েছে। ৩৪ বছর এই হত্যা কান্ডের বিচার হয়নি।কিন্ত আমার মন শুধু আমার মনকে কেন পুরো জাতির মনকে আশ্বস্ত করেছে ২০০৯ এর ১৯ শে নভেম্বরের বিচারের রায়। যারা এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। এ আমাদের এক পরম প্রাপ্তি। নতুন জন্ম।
আমার বন্ধু কাশফিয়ার বাবার আকস্মিক মৃত্যুও আমার মনকে প্রচন্ড ধাক্কা দিয়েছিল। মনে আছে অঝরে কেদেঁছিলাম সেদিন। মনে মনে প্রার্থনা করেছিলাম,”হে ঈশ্বর আমাদের পরিবারের সবাই যেন এক সাথে মারা যাই তাহলে কেউ কারোর জন্যে কষ্ট পাবোনা” । ১৯৮৪ সালে আমার বন্ধু ঝুমকি রোজার ঈদের রাতের আগে রাঙ্গাঁমাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুলোকে পতিত হয়। ও বন্ধুদের সাথে আনন্দবিহারে গিয়েছিল। কিন্ত বিনিময়ে মৃত্যু ওকে নিয়ে গিয়ে আত্নীয় বন্ধুদের শোকে বিহ্ববলিত করে। আনন্দ পরিণত হয় শোকে। ১৯৮৯ এর ১লা আগষ্ট দাদি ক্যান্সারে মারা যান। এই মৃত্যু আমি কিছুটা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করি। ১৯৯১ সালে আমাদের আরেক বন্ধু এ্যাপি ঘুমের ঔষধ খেয়ে চিরন্তন ঘুমিয়ে পড়ে। টিএসসিতে ওর সাথে আমার শেষ দেখা। আমি আর অপরাহ্ণ বসে গল্প করছিলাম। ও দেখা হতেই বললো,“ ডিসেম্বরে বিয়ে, আসিস”। সাথে ছিল ওর হবু বর। প্রশ্ন জাগে ওতো ওর পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করেছিল তবে কেন এই ভাবে মৃত্যুকে কাছে টানা। পাত্রটিকে কম বেশী সবাই জানেন চেনেন। নামটি নাই বা উল্লেখ করলাম। ১৯৯৪ সালে ৪ঠা জুলাই,আমি তখন ডেট্রয়টে ছোট কাকার বাড়িতে, পেলাম বড় কাকার মৃত্যু সংবাদ। বাংলাদেশে থাকাকালীনই দেখে এসেছিলাম তার অসুস্হ্যতা। তাই দাদির মৃত্যুর মতই এই মৃত্যুও স্বাভাবিক ঠেকলো। ১৯৯৫ সালে ৩০শে আগষ্ট । এই দিনটিকে আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। দিনটি ছিল সড়ক দুর্ঘটনায় আমার বাবার অকাল মৃত্যু। আমার জন্মদিন ২৮শে আগষ্টের দুইদিন পরেই এই ঘটনা ঘটেছিল। আমি জন্ম দিনের বিকেল বেলায় তাঁর জন্যে কেক ও অন্যান্য খাবার বানিয়ে দিয়ে এসেছিলাম। বাবা খুব খুশী হয়েছিলেন। ২৯শে আগষ্ট বাবা অপরাহ্ণ’র হাতে আমার জন্মদিনের কার্ড পাঠিয়ছিল।তাঁর ইচ্ছে ছিল আমায় একটি ঘড়ি উপহার দেবার। কিন্ত সেই আশা পূর্ণ হয়নি। ২৯শে আগষ্টেই হয়েছিল তাঁর সাথে আমার শেষ কথা। ৩০শে আগষ্ট দুপুর তিনটায় আমার ছোট ভাই সমরুর ফোন। তখন ওর সাথে আমার মান অভিমান চলছিল। আমার এই ভাইটি বড় অভিমানী। ও অভিমান ঝেড়ে মুছে বললো “আব্বু অফিসে নেই। আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম।আব্বু বলেছিল আমি আসার পর আব্বুর একটি জরুরী কাজ আছে সেখানে যাবে।কিন্ত আমি অফিসে ফিরে দেখি আব্বু নেই। আমি যখন ফিরছিলাম তখন বাস থেকে দেখলাম আব্বুর মতো একজনকে কেসট্যানো মেট্রোর সামনে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। তোমরা কি একটু ৯১১ এ ফোন করে দেখবে?” সাথে সাথে আমি ৯১১এ ফোন করলাম। ওরা বললো-না ওরা এমন কোন ব্যাক্তির খোঁজ এখন পর্যন্ত পায়নি। সন্ধ্যে ছয় কি সাতটায় আবার ওর ফোন। আমাদের ট্যাক্সি নিয়ে অফিসে চলে যেতে বললো। ওখানে পৌঁছাতেই ও ড্রাইভারকে জ্যাঁ-তালো হাসপাতালে যেতে বললো। দেখি ও ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আমি তখন পর্যন্ত জানিনা আমার জন্যে কি দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। হাসপাতালে যেতেই আমাদের একটি রুমে নেয়া হলো। দেখলাম সাদা চাদরে ঢাকা একটি মানুষের শরীর। তৎক্ষনাৎ বুঝে ফেললাম আমার বাবা আর নেই। চাদর সরিয়ে বাবার মুখ দেখলাম।মনে হলো নির্বিগ্নে ঘুমাচ্ছে আমার বাবা। কপালে হাত রাখলাম। ঠান্ডা নিথর শরীর। এই পৃথিবীতে যে মানুষটি আমায় সবচেয়ে বেশী ভালবাসতো, ভালবাসার উষ্ণতায় ভরিয়ে রাখতো, যার কাছে আমার সমস্ত আবদার পেখম মেলতো সেই মানুষটি আমার চাক্ষুষ জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। সে এখন আমার স্বপ্নলোকের বাসিন্দা। বাবার বলা-“ডোন্ট কুইট”-এই বাক্যকে সাথে করে আমি হাঁটছি। ভবিষৎও হাঁটবো।
শুভ জন্মদিন মা (আজ ২১শে নভেম্বর)। কেমন আছো তুমি তোমার স্বর্গ লোকে স্বপ্নলোকে।তুমি সারা জীবন ঈশ্বরকে ডেকেছ ,সারাদিন সারাজীবন বাইবেল বুকে নিয়ে হেঁটে গেছো।তুমি আমাদের বাইবেল পড়িয়ে শুনাতে। বাইবেল পড়তে পড়তে তোমার দুচোবেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তো বাইবেল পড়া শেষে সব সময় পৃথিবীর সব মানুষের জন্যে প্রাথনা করতে তুমি।এমন কি শত্রু রা ও তোমার প্রাথনা থেকে বাদ পড়িনি ।বলতে -পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়। বাবার সাথ নিশ্চয় তোমার দেখা হয়েছে ,তোমার আজকের এই দিনে বাবা তোমাকে কি উপহার দিলো? হাত তুলবো? জানি। কিশি।
তোমার চন্দ্রমুখী কপালে মমতাময় কিশি। নিথর নিঃশব্দ আলিঙ্গন সকল উপহার। তুমি তো আমার অর্ন্তলোকের অন্তমনি। বুকের মাঝে স্বর্ণখনি। তুমি আমার অশ্রুকনা,বুকের মাঝে স্বপ্নবোনা। তুমি আমায় দিয়েছ কথা অনন্ত ভাষা শিক্ষা। দিক্ষা। মা আমি তোমার অর্ন্তজলী যাত্রায় সঙ্গী হইনি। ধূপের গন্ধে সুগন্ধী করিনি তোমায় আমি। শ্বেত পাথরে বাঁধাইনি তোমার সুষমামন্ডিত শরীর। সুরমা দিয়ে দেইনি চোখে। পায়ে মাখিয়ে দেইনি আলতা। যদিও আমি ছিলাম না তোমার পাশে,শুনেছি লোকমুখেঅনন্ত শান্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো তোমার চোখে মুখে। তোমার ও বাবার মৃত্যুতে আমার নতুন করে মৃত্যুর সাথে পরিচয় ঘটলো। আমি প্রচন্ড একলা হয়ে গেলাম। নিঃশ্ব হয়ে গেলাম। প্রতিক্ষণ তোমার ও বাবার কথা মনে হয়। তোমাদের স্বপ্ন দেখি। নজরুলের কবিতা মনে হয়-“ যেদিন আমি হারিয়ে যাবো বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যা তারায় আমার খবর পুছবে,বুঝবে সেদিন বুঝবে”।
মানুষ মারা গেলে নাকি আকাশের তারা হয়ে যায়। আমিও আকাশের তারা দেখে মা বাবাকে খুঁজি। এরপর আমি অনেক মৃত্যু দেখি। অনেক প্রিয় মুখ খসে পড়েছে জীবন থেকে। মৃত্যুর অসংখ্যতায় এর স্বাভাবিকতা খুঁজে পাই এখন। জীবনের সবকিছুর মধ্যে মৃত্যুই সত্যি। এর থাবা সবাইকে স্পর্শ করবেই। জন্ম যেমন দেয় আনন্দ , মুত্যু তেমন দেয় কষ্ট, কান্না।একাকিত্ব। এক বুক দীর্ঘঃশ্বাস। মৃত্যু মানুষকে ভুবন লোকে অদেখা করে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×