বনদুর্গার গান মূলত গাছের সাথে সখীত্ব স্থাপন এবং গাছেতে প্রাণসঞ্চার করা। অর্থাৎ গাছকে জাগানো। এ গানের কোথাও এক নাম গ্রহণ ছাড়া পৌরাণিক দুর্গার আদর্শ বা কথা নেই। এটি সম্পূর্ণ লৌকিক। কল্পিত কাহিনী মতে- বনদুর্গা বনে ঘুমিয়ে থাকে, পূজার উপকরণ উচ্ছাসের গন্ধ পেয়ে সে জেগে ওঠে-
আগোত ঝাপ বা শেওড়া গুড়িতে মুরলী
ঘুমের ঘুমুলী শেওড়া কে তোরে জাগাইল?
খৈ চিড়ার বাসে গো আপনি জাগিলাম।
আগোত ঝাপ বা শেওড়া গুড়িতে মুরলী
ঘুমের ঘুমুলী শেওড়া কে তোরে জাগাইল?
ভোগ নৈবেদ্যের বাসে গো আপনি জাগিলাম।
ঘুমকাতুরে ও ঘুমন্ত বনদুর্গা পুঁজার ভোগ উপকরণ এবং মন ও বিশ্বাসে জেগে ওঠে। তারপর বনদুর্গার সঙ্গে সই পাতানোর গান- সখীত্ব স্বীকার করে সধবা নারীর অনুরূপ পরস্পরকে শাঁখা-সিঁদুর প্রদান প্রভৃতি হয়ে থাকে-
আজি কি আনন্দ সই গো মধুপুর যাইতে
শাড়ি বদল করুইন তারা দুই সইয়ে।
আজি কি আনন্দ সই গো মধুপুর যাইতে
শঙ্খ বদল করুইন তারা দুই সইয়ে।
আজি কি আনন্দ সই গো মধুপুর যাইতে
সিঁদুর বদল করুইন তারা দুই সইয়ে।
সৌজন্য: হযরত আলী দেবল।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০০৭ দুপুর ১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



