#ধর্ষণ #এবার_তোরা_পশু_হ
১৯৭১ সালের পাক হানাদার দের নীচ কাজ গুলোর মধ্যে এটি ছিল জঘন্যতম নীচ কাজ। এই পৃথিবীতে খারাপ কাজের ক্রম অনুসারে এর চেয়ে নিন্দনীয় এবং কাপুরুষ মনা কাজ দ্বিতীয়টি আছে বলে কারো জানা নাই।
অথচ বীর বাংলাদেশীগণ নিজেদের বীরত্ব দেখাতে এই কাজ করা ছাড়া আর কোন উপায় খুঁজে পায় না। একজন পুরুষের ব্যক্তিত্ব ততই উজ্জ্বল হয় তিনি যত ভালো ভাবে একজন নারীকে সম্মান করতে পারেন। কিন্তু বীর বাংলাদেশীদের দেশে পুরুষ দের বীরত্ব মানেই নারীর প্রতি কে কত টুকুন হিংস্র হতে পারছেন সেটাই।
বিবাহ বহির্ভূত সকল শারীরিক সম্পর্কই কাপুরুষ পাকিদের অনুসারী গণ করতে পারে। কোন বাংলাদেশী রক্তে বলিয়ান পুরুষ কখনো এ ধরণের অনৈতিক কাজে অগ্রসর হয় না। আর বিবাহ বহির্ভূত যৌন হেনেস্তা কিংবা ধর্ষণ তাহলে কত নিম্ন মানের এক খানা কাজ হতে পারে? সেই নিম্ন মানের কাজ খানাই আজ যেন বাংলাদেশের অগ্রগতির পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কারন প্রতি বছর আর কোন সেক্টরে অগ্রগতি থাকুক কিংবা না থাকুক এই সেক্টরে বাংলাদেশীদের কুখ্যাতি দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
কোন পশুও কখনো এই কাজ করে না। মানুষ তো বিবেক সম্পন্ন জীব। অথচ এই বিবেক সম্পন্ন জীব নিজেকে পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট প্রমাণ করে পাশবিক আনন্দ পায়।
আসুন মানুষ না হতে পারি অন্তত পশু হওয়ার একটি প্রচেষ্টা করি। এতে করে অন্তত একটি জাতির সম্মানের, শ্রদ্ধার, ভালোবাসার প্রতীক নারীগণ নিরাপদে থাকতে পারবেন।
তাই সকল ধর্ষক (মিউচুয়াল কিংবা পাশবিক) মনা পুরুষদের বলব কষ্ট করে পশু হও। মানুষ হওয়া যেহেতু খুব কষ্টের আর তোমাদের নিকট খুব অসম্মানের তাহলে অনেক কম কষ্টে একটু পশু হও।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৮