somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা ভাইরাসঃ ব্লগাররা কি ভাবছন ?

১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশে সংক্রমণ শুরু হলে ইহা মুলত ঘটবে বড় শহরে; একবার শহরে শুরু হলে, মানুষ পালাবে গ্রামে; কিন্তু ততক্ষণে অনেকে ভাইরাস নিয়েই গ্রামে যাবে; যা গ্রামের লোকদের জন্য হবে ভয়ংকর। ইহা ঘটার আগেই সম্ভব মতো গ্রামে চলে যাওয়া উচিত।
ঢাকার আসল অবস্হা ঢাকাবাসীরা জানেন; ঢাকাতে প্রচুর মানুষ আছেন, যাদের বাড়ী আছে গ্রামে, এবং পরিবারের অনেকেই কাজ করে না; এখুনি, এসব পরিবারের বেকার লোকদের সাময়িকভাবে গ্রামে চলে যেতে নোটীশ দেয়ার দরকার। --- চাঁদগাজী

কোরিয়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যেভাবে সফলতা দেখাচ্ছে, তাতে বিস্মিত হতে হয়। সর্বশেষ গতকাল ৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। অথচ প্রতিদিন ৫০০ এর অধিক হারে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ১৬২ জন। কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ভাইরাস যুদ্ধ জয়ের ঘোষণা আসবে।
যেদেশে পা রেখেই পকেটে কী আছে তার নিরাপত্তা নিয়ে কখনোই চিন্তার উদ্রেক হয়না, সেখানে আসলে করোনা ভাইরাসেও একটু উদ্বিগ্ন বোধ করিনি। এদের হাতে আছে অর্থ। আর আছে টেকনোলজি। আছে ডেডিকেশন। সেখানে ভাইরাস যুদ্ধে জয় লাভ সময়ের ব্যবধান মাত্র। আমরা সব পারবোনা, তবে কিছু শিক্ষা তাদের কাছ থেকে নিতে পারি। ---- সায়েমুজজ্জামান

প্রয়োজনে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামান। চীন সরকার যেভাবে কঠোরভাবে নিজেদের পাবলিককে নিয়ন্ত্রণ করেছে, সেইভাবে কঠোর হতে হবে। কেউ কথা শুনতে না চাইলে সোজা ডান্ডা, আর কোন কথা নাই। বৃহত্তর স্বার্থে দুই চারটা বেয়াদব নির্বোধকে পেটালে পাবলিক খুশিই হবে। -- মঞ্জুর চৌধুরী

নবাবজাদা হলো উচ্চস্তরের গালি অথবা কটু বাক্য। কাউকে হেনস্তা করার জন্য এই কটু বাক্য ব্যবহার করা হয়। উচ্চপদস্থ হয়ে এই কটু বাক্য ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।
এখন সকলকে সচেতন হতে হবে নাইলে কী হবে কেউ জানে না। সত্যি ভয় হচ্ছে। আমি টেক্সি চালাই, মানে কখন আক্রান্ত হব জানি না। আমি বুড়ো মানুষ এবং দুর্বল, আমার স্ত্রীও দুর্বল। এক ডাক্তারকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিলাম পৌঁছার পর জিজ্ঞেস করেছিলাম আক্রান্ত হলে কী হবে, আমিতো ভয়ে মরে যাচ্ছি। ডাক্তার বলেছিল, তেমন কিছু হবে না তবে দুই সপ্তা কষ্টভোগ করতে হবে, এই কষ্টভোগ উপভোগ্য নয়। জোয়ানরা এবং কর্মঠরা ঠিকে থাকবে, দূর্বল এবং বৃদ্ধদের জন্য আশঙ্কা বেশি।

মরতে হবে জেনেও মানুষ বাঁচতে শিখেছে, মৃত্যুর পর নিথর হবে জেনেও সম্পদ এবং শক্তির জন্য মরিয়া হয়েছে। করুণাময় করুণা করো, ভয়ে অন্তরাত্মা সন্ত্রস্ত হয়েছে। --- মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

এই মুহূর্তে প্রবাসীরা অত্যন্ত জরুরী কাজকর্ম ছাড়া দেশে না যাওয়াই উত্তম। প্রবাসীরা নবাবজাদা কারণ তারা বিদেশ হতে দেশে টাকা পাঠায়। মন্ত্রীর মত লোকেরা দেশ হতে বিদেশে টাকা পাচার করে। জনগণের সম্পদ ও ভোট চুরি করে বড় বড় কথা বলে। যে ইটালি প্রবাসী পুরা মাতৃভূমিকে গালি দিয়েছে সে চোখে কালো চশমা পরা পাপিয়া ,সাদিয়া ,ডি সি ,জিকে শামিম পর্যায়র লোক। দেশের আয়ের দুইটা বড় খাত হলো প্রবাসীদের আয় আর পোশাক খাত। আশকোনায় যেভাবে প্রবাসীদের গণ বিছানা করে ক্যাম্পে রাখে এমন করে ,কোন নেতার ঘরের চাকরও থাকে না । এখন প্রবাসীদের উচিত দেশের সম্পদ পাচারকারীদের বিদেশে কুত্তার মত আচারন করা। আর টাকা পাঠানো বন্ধ করা। তারপর দেখা যাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচারকারী বড় বড় চোর হাতে কোটি টাকার ঘড়ি কি করে পরে। ---- নেওয়াজ আলি

মনে হচ্ছে আমাদের মন্ত্রীরা ভারতের ফলোয়ার। তারা আগে করলে আমরা করতে পারি।
সর্বোপরি মনে হচ্ছে আল্লাহ রক্ষা না করলে ভায়াবহ ভাবে এই ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পরতে পারে।
সরকারের পদক্ষেপ শুধু কথায়, কাজের কাজ কিছুই না। -- খাঁজা বাবা

হোম কোয়ারেন্টিন আমাদের দেশে সুফল বয়ে আনার চেয়ে ভাইরাসটাকে পরিবার, প্রতিবেশি আত্মীয় স্বজনদের কাছে খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশে। কারণ হোম কোয়ারেন্টিন বলে যাদের কে রাখা হয়েছে তারা যে কি কোয়ারেন্টিনে আছে তা ইতিমধ্যেই বোঝা হয়ে গেছে। আমাদের এখন প্রধান সমস্যা দুটো বলে মনে করি এক করোনা ভাইরাস দুই গুজব। কখন কি ভাইরাল হচ্ছে বোঝা দায়। আর এসব বিশ্বাসও করছে মানুষ।

তাই সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। উন্নত বিশ্ব যেখানে নাকানি চুবানি খাচ্ছে সেখানে আমরা যে তলিয়ে যাব না এমন ভাবাটা অমুলক নয়। --- এম এ হানিফ

বিদেশ থেকে আসা যে কারোর মাধ্যমেই এদেশে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রকমভাবে ছড়িয়ে পরার আশংকা রয়েছে। কারণ আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতই নাজুক যে ঢাল নাই তলোয়াড় নাই দশা। ফলে একবার শুরু হয়ে গেলে আর ঠেকাতে পারাটা খুব কঠিন হবে। তাছাড়া সরকারিভাবে সবসময় এখানে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার একটা রেওয়াজ প্রচলিত। সাধারণ একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন মারা গেলে সরকারিভাবে ২/৩ জনের বেশি স্বীকার করা হয় না। সেখানে করোনা একবার ছড়িয়ে গেলে সেটা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঢেকে রাখার কৌশল নেওয়া হবে। সেটাই একেবারে স্বাভাবিক। --- রেজা ঘটক

হাজী ক্যাম্পের গনরুমকে কোন সংজ্ঞায় কোয়ারেন্টিন বলা যায় তা একমাত্র এদেশের কর্তা ব্যক্তিরাই ভাল বলতে পারবে। এই অবস্থায় বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে না ফেরাটাই বিচক্ষনতার পরিচয় হবে। আমাদের দেশে যদি করোনা ব্যপকহারে ছড়িয়ে পড়ে , তবে বিনা চিকিৎসায় প্রান যাবে প্রচুর মানুষের। প্রবাসি বাংলাদেশীরা যে যেখানেই থাকুক না কেন সেই দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবা করোনায় আক্রান্ত হলে পাবে। কিন্ত করোনা ভাইরাস শরীরে বয়ে নিয়ে নিজ দেশে ফিরলে নিজেরো সঠিক চিকিৎসা পাবার সুযোগ নাই সেই সাথে দেশের মানুষকেও বিপদেগ্রস্ত করা হবে। --- ঢাবিয়ান

এদিকে আমাদের দেশের কি অবস্থা? সরকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে কতোটা সচেতন? দেশে প্রতিনিয়ত বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলছি। তাদের অবস্থা, সেইসঙ্গে দেশের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছি। এসবের ফলে যে চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠছে তা কিন্তু মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না।
আমাদের ঘন জন-বসতি, দুর্বল ইনফ্রা-স্টাকচার এবং ততোধিক দূর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জনগনের অসচেতনতা, সিন্ডিকেটেড অসাধু ব্যবসায়ী সমাজ ইত্যোকার বিষয়গুলো মাথায় রেখে সরকারী তোড়জোড় আরো জোড়ালো হওয়া উচিত; নয় কি? কিন্তু হচ্ছে কি? আমি সবসময়েই আশাবাদী হতে চাই। আশাকরি সরকার বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে। কারন, একবার যদি ইটালী, কিংবা এমনকি বৃটেনের অবস্থাও আল্লাহ না করুন, দেশে হয়েই যায়, সেটা সামলানোর মতো প্রয়োজনীয় শক্তিশালী অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, প্রশিক্ষিত লোকবল কিংবা অর্থ প্রাচুর্য…..যাই বলেন না কেন, দেশে নাই; সে আমাদের মন্ত্রীরা যতোই বড় বড় কথা বলে রাজা উজীর মারুক না কেন! --- ভুয়া মফিজ

সরকারের সীমাবদ্ধতা আছে। আছে দুর্বল বিরোধী দলের উপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার এবং শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে নতজানু মণোভাব প্রদর্শনের ইতিহাস। করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে ইতালী জার্মানী স্পেনের মত দেশ হিমশিম খাচ্ছে - সেখানে বাংলাদেশের অথর্ব সরকার আর কিইবা করতে পারে? তাই কিছু না করে সব ছেড়ে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেছে। --- রাশিয়া

৪র্থ শিল্পবিপ্লব, ৭ জি নেটওয়ার্ক, হ্যান ত্যান ভবিষ্যত, সব কিছু ভাইরাসের কাছে হেরে ভূত। অকেজো আগামী। ভুল আশা। ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান। --- রাজীব নুর

বাংলাদেশে কি পরিমান করোনা আক্রান্ত রোগী আছে তা কখনো জানা যাবে না। যদিও বাংলাদেশ পাক ভারতের বাচ্চাদেশ তবে একই সাথে বাংলাদেশ চীনের মামাতো ফুফাতো ভাই। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য না সরকার দিয়েছে, না সাংবাদিক, না জনগণ - সব উম্মাদ।

ইটালি ফেরত এক আহাম্মক ঢাকা বিমানবন্দরে নোংরা গালাগাল করে পরিবেশ দূষিত করে দিয়েছে তার ডাষ্টবিনের মতো মুখ দিয়ে অনবরত করোনা ভাইরাস নির্গত হচ্ছিলো। --- ঠাকুরমাহমুদ

কোরোনা ভাইরাসের তাপমাত্রা বিষয়ক তথ্যটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। কোথায় কোন সঠিক তথ্য পাচ্ছি না।
ইন্দোনেশিয়ায় তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রী সে. ওখানেও কোরোনা হামলা করেছে। সিঙ্গাপুর ৩২ ডিগ্রী সে. নতুন করে আরও ১৪ জন আক্রান্ত।
খুব খারাপ কিছুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। --- স্বপ্নবাজ সৌরভ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×