মহামারীতে তারা কি পিকনিক করতে এসেছে? তারা হোম কোয়ারেন্টিন মানেনা না। দেশে তাদের অনেক কাজ। আধা কেজি চমচম কিনে পাশের বাড়িতে দেখা করতে হবে।হুন্ডা চালিয়ে বাজারে যেতে হবে। বিকট হর্ণে জানিয়ে দিতে হবে আমি বিদেশ ফেরত। কফিল ঘটক কে ডাকতে হবে মেয়ে খুঁজতে। কনে দেখতে যেতে হবে। বিয়ে করতে যেতে হবে। তারা বিদেশ ফেরত , তাদের অনেক কাজ। অকাজের ঢেঁকি হচ্ছে এই দেশের মানুষ। কম নাই কাজ নাই , পাছা ভরা ভয়।
পরিবারের জন্য তাদের ভালোবাসার অন্ত নেই। সবাই কে জড়িয়ে ধরতে হবে , কোলাকুলি করতে হবে। অনেকদিন পর বৌ কে পেয়েছি , কি আছে জীবনে।
এতো ভয় পেলে কি চলে। একদিন তো মরতেই হবে।
বন্ধুদের জন্য কয়েক প্যাকেট দামি সিগারেট আনা হয়েছে। এই দেশের মানুষ এই সিগারেট পাবে কোই ? সিগারেট গুলো বিলি করতে হবে। সিগারেটের সুবাদে বন্ধুরা কয়েকদিন পিছু পিছু ঘুরবে। একসাথে বসে টানতে হবে। সিগারেটের পাছা কয়েকজন একসাথে টানার সাথে আলাদা আমেজ আছে। একসাথে না টানলে কিসের বন্ধুত্ব ?
প্রবাসীরা দেশে এসে অনেক ব্যস্ত। ছেলের হাত ধরে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হবে।বাজারে নিয়ে যেতে হবে , মেলায় নিয়ে যেতে হবে। মসজিদে হাজিরা দিতে হবে। পবিবার নিয়ে সৈকতে যেতে হবে , ভ্রমনে বেরোতে হবে।
মহামারীতে তারা দেশে এসেছে পিকনিক করতে। হাজার হাজার প্রবাসীরা কোথায় আছে, কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কেউ জানে না !কোন হিসাব নেই। অদৃশ্য ভাইরাস খালি চোখে দেখা যায়না। আর দৃশ্যমান প্রবাসীরা দিব্যি অদৃশ্য হয়ে গেল ? দৃশ্যমান প্রবাসীরা অদৃশ্য ভাইরাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সম্ভবত এটাই দেশের নিয়তি !
আর এই বালের দেশ কিসের 'হোম কোয়ারেন্টিন' ? গোনার টাইম আছে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪