somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ও জীবন রে ,ও জীবন...

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বাড়িতে যাতায়াতের জন্য হানিফ এন্টারপ্রাইজে সাধারণত উঠি না। ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে বাজে গাড়ি হচ্ছে হানিফ। সাধারণত এসবি পরিবহনের যাতায়াত করা হয়। ১০.৩০ টার কোচ কল্যানপুর ছাড়লো এগারোটার পরে। সারা রাস্তা গেলো ধুঁকতে ধুঁকতে। শীতের রাত। প্রচন্ড কুয়াশা। যত রাস্তা অতিক্রম করছে কুয়াশা যেন আরো ঘন হচ্ছে। গাড়ির গতি বাড়ানোর কোন উপায় নেই।
টাঙ্গাইল পর্যন্ত শীত সহনীয় ছিল। সিরাজগঞ্জ হোটেলে শীতের কারণে আর নামতে ইচ্ছা হলো না। পাবনা দাশুরিয়াতে যখন পৌঁছলাম তখন মনে হলো অন্য জগতে আছি। এত্ত শীত। বুদ্ধি করে আনা বৌয়ের চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিলাম।
ভেড়ামারাতে নামলাম। দাঁতে দাঁতে বাড়ি খেয়ে ঠক ঠক শব্দ হচ্ছে। পুরো শরীর কাঁপছে। এই ব্যাপারটা ভুলেই গেছিলাম ঢাকাতে শীত কাটিয়ে।
শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়া এই শীতে টেকা মুশকিল।

বাস স্ট্যান্ড থেকে আমাদের বাড়ি যেতে বেশি সময় লাগে না। রিকশায় গেলে বড়োজোর ৬ মিনিট। রিকশায় বাড়ি ফিরছি। ঠান্ডা বাতাস যেন তীক্ষ্ণ বরফ কণা হয়ে শরীরে বিঁধছে।
আব্বা ঘুমাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে কথা বলছেন দুয়েকটা। কথা শুনে রেস্পন্স করছেন দেরিতে, আবার করছেনো না কখনো। রাতে নাকি একবার অস্পষ্ট স্বরে জানতে চেয়েছেন , সৌরভ কতদূর?
আমি আসবো সেটা ব্রেনসেলে সংরক্ষণ করেছেন। সেই ব্রেনসেল বারবার সিগন্যাল পাঠাচ্ছে।
আব্বা কে ডাকা হলো। আম্মা ডাকলেন। বললেন, সৌরভ এসেছে।
আব্বা শুনলেন , তাকিয়ে থাকলেন। তারপর ঠোঁটের কোন হাসি দেখা গেলো।
ভীষণ শীত সেই সাথে এক অদ্ভুত অনুভূতির মিশ্রণ আমাকে আর দাঁড়িয়ে থাকতে দিলো না। রুমে ঢুকে শুয়ে পড়লাম। লেপের নিচে ঢুকলাম।

ছোটবেলায় আব্বা আমাকে একটা ছোট্ট লেপ বানিয়ে দিয়েছিলেন। নানারঙের খোপ খোপ লেপের কাভার। ঘুমের সময় ওই লেপ ফেলে আব্বার লেপে ঢুকে পড়তাম।


গ্রামের দাওয়াত। দুপুরে অপ্রত্যাশিতভাবে দাওয়াত পেয়ে গেলাম। ইদানিং সবখানেই পোলাও রোস্টের চল দেখা যায়। কিন্তু এই দাওয়াতের মেন্যু দেখে মন ভরে গেলো। লবন দিয়ে প্লেট ধুলাম অনেকদিন পর।
এরপর সাদা ভাত , আলুঘন্ট , ঝাল গরুর গোশত , কালাইয়ের ডাল , শসা , দই।
অনেকদিন ধরেই ঠিক করেছি সব কিছু ঠিক থাকলে ভেড়ামারাতে ছেলের সুন্নতে খাৎনার আয়োজন করবো। ওর দাদারো ইচ্ছা।
এখানে মেন্যু থাকবে ,
১. সাদা ভাত
২. আলুঘন্ট
৩. মাছ ভাজা
৪. ঝাল মাংস গরু / খাসি
৫. কলাইয়ের ডাল
৬. সালাদ
৭. কুমারখালীর দই
৮. রসগোল্লা


কোন উপহার প্রযোজ্য নয়। সবাই আসবে ছেলেকে শুভকামনা জানাতে , দোয়া করতে , হাসিমুখে।
সেই অনুষ্ঠানে সকল ব্লগার কে আমন্ত্রণ জানাবো। রাতে ফ্লোরিং করে শোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাড়ির অনুষ্ঠান গুলোতে আত্মীয়স্বজনরা কয়েদিন আগে থেকেই আসতে থাকতো। উৎসব শুরু হতো অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে থেকেই। মেঝেতে খড় বিছিয়ে , কাঁথা চাদর পেতে বিছানা করা হতো। আমার বিছানায় জায়গা থাকার পরেও মেঝেতেই শুয়ে পড়তাম।

কয়েকজন ব্লগার নিশ্চয় আমন্ত্রণে আসবেন ।

নাজমা ফুফু এসেছে। নাজমা ফুফু একসময় একটা আমাদের বাড়িতে থাকতো ,কাজ করতো। নাজমা ফুফু অনেকদিন আমাদের বাড়িতে ছিল। বিয়ের আগে বাড়ি চলে যায়। নাজমা ফুফু আমাদের এখানে ভালোই ছিলেন। এখন থেকে যেতে চায়নি। পরিবারের চাপে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের জন্য আব্বা আম্মা বেশ কিছু টাকা দিয়ে ছিলেন। নাজমা ফুফুকে আমার বোনেরা পড়াতে বসাতেন সন্ধ্যার পরে।
আম্মা বলতেন , "ভালো মত পড়। ক্লাস সিক্সে আমার স্কুলে ভর্তি করি দিবো।"
নাজমা ফুফু বলতেন , "না দাদী ! আমার দ্বারা হবি নানে। আমার মাথা নাই।"
মাথা নাই সেটা আমার বোনেরাও বুঝতে পেরেছিলো। সন্ধ্যায় লোডশেডিং হলে সবচেয়ে বেশি কিছু হতো নাজমা ফুফু।

বিয়ের ১৩ মাসের ছেলেকে নিয়ে একবার নাজমা আপা আমাদের বাড়িতে চলে আসেন। আমাদের তখন নতুন পাকা বাড়ির কিছু অংশ বাস যোগ্য হয়েছে।
নাজমা ফুফু এসেই কান্না শুরু করলো। স্বামী মারে , বনিবনা হয় না।
আম্মা ধমক দিয়ে বললেন , কাঁদিস না। এখানেই থাক।
নাজমা ফুফু ছিলেন ছয়মাস। ছয়মাস পরে ওর স্বামী এসে আব্বার হাতে পায়ে ধরে ফুফু কে নিয়ে যায়।
নাজমা ফুফুর সেই ছেলেটা এখন বিদেশে থাকে। নিজ খরচে নাজমা ফুফু ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে। ছেলে এখন বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়। নাজমা ফুফু ঢাকাতে ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে। বাড়িতে স্বামী ছোট্ট দোকান চালায়।

নাজমা ফুফু এসেছিলো মেয়ে কে নিয়ে। আব্বার জন্য নিজের টাকায় ফল কিনে এনেছিল। আব্বাকে দেখে নাজমা ফুফু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন।
নাজমা ফুফুর মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে। বিনা বেতনে পড়ে , প্রাইভেট পড়ে যার যার কাছে তারাও টাকা নেয় না। আব্বা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের এক কোনায় পিকু চা কফির দোকান দিয়েছে। পিকুর দোকানে গেলাম সন্ধ্যায়। কিছুক্ষন আগে ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। স্টেশন মোটামুটি ফাঁকা। স্থানীয় আড্ডাবাজ ছাড়া স্টেশনে তেমন লোক নেই। পিকুর দোকানে বিক্রি চলছে। চা কফি খাচ্ছে , ক্যারামবোর্ড খেলছে।
প্ল্যাটফর্মে পিকুর দোকানের এক পাশে সিমেন্টের বেঞ্চিতে একটা মেয়েকে বসে থাকতে দেখলাম। পুরো প্ল্যাটফর্মে একটাই মেয়ে। মেয়েটা চুপচাপ বসে আছে। হয়তো অপেক্ষা।

পিকু গরম কফি নিয়ে এলো। এককাপ কফি আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে আরেক কাপ কফি নিয়ে এগিয়ে গেলো একাকী অপেক্ষারত মেয়ের দিকে। বুঝলাম মেয়েটা প্রতিদিন সন্ধ্যায় কফি খেতে আসে। মেয়েটা পিকুর বৌ।

কফির দাম ৩০ টাকা। পিকু নিলো ৫০ টাকা। বললো , ৩০ টাকা কফির দাম আর ২০ টাকা আমার। পিকু ওমনি আছে।
ফিরে আসার সময় বললাম , কোন একদিন জোসনা রাতে ঢাকার ট্রেন থেকে তোর কফির দোকানে আবার নামবো।
পিকু বললো , সমস্যা নাই ! আমার দোকান ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।

প্ল্যাটফর্ম ধরে বাড়ি ফিরছি । ভাবলাম জোসনা নামাতে সবসময় পূর্ণিমার দরকার হয় না। সিগন্যাল পরে গেল। হুইসেল বাজিয়ে কিছুক্ষন পর হাজির হবে অন্তঃনগর ট্রেন। তাড়াহুড়ো , ব্যস্ততা। অন্তঃনগর ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্মে বেশিক্ষন থামে না।


আমাদের খড়ি রাখার ঘরটা হচ্ছে কুকুর - বিড়ালের লেবার রুম।
রাজ্যের কুকুর বিড়াল এখানে ছানা প্রসব করে। একটা মা কুকুর ৬ টা ছানার জন্ম দিয়েছে। মা কুকুর তার ছানা নিয়ে খড়ির ঘরের নিচে আস্তানা করেছে আর বাইরে বাপ কুকুর পায়চারি করছে , লেজ নাড়াচ্ছে , পাহারা দিচ্ছে।
আমাকে দেখে বাপ কুকুর পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়লো। মনে হলো বাপ হবার আনন্দ প্ৰকাশ করছে। মা কুকুর কে দেখা গেলো বেশ রুগ্ন। আড়ংয়ের দুধ কিনে এনে খাওয়ালাম। চুকচুক করে খেলো। বাপ কুকুর সেই দুধের দিকে মুখও বাড়ালো না। এর আগেও অনেক দেখেছি। মা কুকুরের খাবারে বাপ কুকুর মুখ বাড়ায় না। খেতে দেয় , দূর থেকে দেখে।

আমার লাগানো ১১টা পেঁপে গাছের মধ্যে ৫টা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। ৩টা ফল দিচ্ছে। ৬ টা আমের চারার মধ্যে বেঁচে আছে মাত্র দুটো। খেয়ে ফেলে রাখা খিরসাপাতি আমের আঁটি থেকে দুটো গাছ বড় হয়ে গেছে দুই বছরে।
তেজপাতা গাছ পাতা ছাড়িয়েছে। এলাচ গাছে ফলন আসবে দেড় বছর পরে। নতুন নারিকেল কাছে কুড়ি দেখা দিচ্ছে। পুকুরে পরিষ্কার করে মাছ ছাড়া হয়েছে এবার । বানে লাউয়ের পাতাগুলো লকলক করছে।
কুল বরই গাছে পাখিদের আনাগোনা। হটাৎ চোখ আটকে গেলো। বসন্তবৌরী নামের অদ্ভুত সুন্দর পাখিটা ডালে চুপচাপ বসে আছে।
আচমকা চোখটা ভিজে উঠলো।

সকালের সোনালী রোদ ধীরে ধীরে বাড়ছে। আর কয়েকদিন পর এই রোদে কুকুরের ছানাগুলোকে তার বাপ খেলা শিখাবে। আলতো রোদে হাঁটা শেখাবে। ঘেউ ঘেউ ডাক শিখাবে। গা ঘেঁষবে বাপের ছানারা।


সবাই ভালো আছে। শুধু আব্বা ভালো নেই। শুয়ে আছেন। নড়তে পারেন না। কথা বলেন না। বোঝাতে পারেন না।
আমি আব্বার মাথার কাছে এসে দাঁড়াই। কপালে হাত বোলাই। বলি , "আব্বা ছোটবেলার সেই পাখিটা আজ আমি দেখেছি। যেই পাখিটা তুমি দেখতে ডেকেছিলে , আমি রাগে গেছিলাম না। ওই পাখিটা আজ আমি দেখেছি।
জানো , পাখিটার জন্য আমার কোন কষ্ট ছিল না। কষ্টটা ছিল আমি গেছিলাম না বলে। কষ্টটা ছিল আমার এই কষ্টটা তোমাকে বলতে পেরেছিলাম না বলে। "
আব্বা কিছুই বললেন না । চোখ বন্ধ করে থাকলেন। শুনেছেন হয়তো।

ঢাকায় ফিরবো। আব্বার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। আব্বা ঘুমাচ্ছেন। আম্মা আব্বাকে ডাকলেন , সৌরভ চলে যাচ্ছে।
আব্বা অস্পষ্ট স্বরে কিছুক্ষন পর বললেন , যাও।
তোমার দাদু ভাইয়ের জন্য মুরগির মাংস রান্না করে দিসি। তুমি আর তোমার দাদুভাই যেমন রান্না খেতা তেমন মাংস।

আব্বার থুতনি কেঁপে কেঁপে উঠলো। হালকা ফুঁপিয়ে উঠলেন। তার চোখের কোণে পানি জমতে দেখলাম।

করোনাকালে চাকুরীহীন অবস্থায় দুইবছর বাড়িতে ছিলাম। মাঝরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠতাম। রুম থেকে বাইরে এসে দেখতাম আব্বা লাঠি ভর হেঁটে বাথরুমে যাচ্ছেন।
আমাকে দেখে বলতেন , "ঘুম হচ্ছে না? সব ঠিক হয়ে যাবে।"
তখন মনে হতো জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে আমার।
কিন্তু এখন ভাবি -শৈশবের পর সবচেয়ে ভালো কাটানো সময় ছিল ওই দুই বছর।
আমার ছেলেটা দাদা পেলো। দারুন একটা শৈশব স্মৃতিজমা করলো।
আব্বা নাতির জন্য নিয়মিত পাবদা মাছ কিনতেন। সেইমাছ শুধু আমার আমার ছেলে আর আব্বা খেতেন। আমরা চলে আসার পর আব্বা আর পাবদা মাছ কেনেনি। পাবদা মাছ আব্বার খুব পছন্দের মাছ। পাবদা মাছওয়ালা হাঁক দিয়ে যায় কিন্তু নিয়মিত পাবদা মাছ কেনা মানুষটা আর মাছওয়ালা কে থামান না।

ঢাকা ফিরছি। আব্বা কোচ স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসেননি। আগে নিয়মিত আসতেন। কোচ ছাড়ার সময় অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতেন। ভেড়ামারা থেকে বাস ছাড়লো। একে একে পরিচিত সবকিছু পিছনে ফেলে যাচ্ছি। আমার হাতে মোবাইল। এক ঘন্টা পর পর কতদূর এলাম বা কতদূর পৌঁছলাম এটা জানতে আব্বা আর ফোন দিবেন না। কোন কারণেই হয়তো আর ফোন দেবেন না কখনো ।
ঢাকাতে আমার ছেলে অপেক্ষা করছে। বাবা , বাবা করছে।
কি অদ্ভুত এক জীবন সুতোর গল্প ! যে জীবন সুতো বাবা ছেলে বাবাকে আটকে রেখেছে।

সামনে ভেড়ামারার শেষ প্রান্ত। ফকির লালন শার প্রতিকৃতি দেখা যাচ্ছে। সামনেই টোলপ্লাজা , তারপর লালন শাহ সেতু।
কুষ্টিয়া লালন বাউলের দেশ। বাংলার কোন এক প্রান্তরে , কোন এক পথে , কোন এক বাউল হাঁটতে হাঁটতে গেয়ে চলেছিল - জীবন ,জীবনের মায়া , জীবনকে ভালোবাসার গান।

ও জীবন রে , ও জীবন ছাড়িয়া না যাইস মোরে
তুই জীবন ছাড়িয়া গেলে আদর করবে কে জীবন রে ..





ছবি: দাদা, দাদী, বড়ফুফুর কবরস্থান।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×