somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

•|• গল্পঃ " ভালবাসি তাই, স্বপ্ন দেখে যাই...!!! " •|•

০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ হিমুর ইউনিভার্সিটির প্রথম ক্লাস। স্বভাবসুলভ ভাবেই সঠিক সময় ক্লাসে পৌছায় হিমু। ক্লাসে ঢুকে মাঝের দিকের বেঞ্চে নিজের অবস্থান নেয়। খানিকটা চমকে উঠে আশেপাশের ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে। সবাই কমবেশি সাজগোজ করে এসেছে! পাশের রো তে বসা এক মেয়েকে দেখে তো তাজ্জব বনে যায়, একি! এই মেয়ে কি ক্লাসে এসেছে নাকি দাওয়াত খেতে এসেছে? ক্যাজুয়াল থাকতে পছন্দ করে তাই নিজের প্রিয় টি- শার্ট আর জিন্স পড়েই এসেছে হিমু।

একটাই ক্লাস হয়েছে, ক্লাস শেষ করে দোতলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকে। যখনি নীচ তলায় নামতে যাচ্ছে তখনি দেখল এক মেয়ে নীচ দিকে উপরে উঠে যাচ্ছে, হিমু কে পাশ কাটিয়ে যায়। এক মুহূর্ত দাড়িয়ে থেকে পেছন থেকে দেখে আবার আপন মনে চলতে থাকে। আর ভাবতে থাকে, মেয়েটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল মেয়েটির চুল।

খুব সাধারন এক তরুন হিমু। চুপচাপ, খানিকটা ইন্ট্রোভার্ট। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর দশটা ছেলের মতই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। তবে ওর যেই গুনটি আর সবার থেকে ওকে আলাদা করে সেটা হল খুব বেখেয়ালি।
বন্ধুবান্ধব বলতে স্কুলের দু'একজন বন্ধু আছে। সংখ্যায় খুব বেশিনা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ভেবেছিলো বেশ কিছু বন্ধু পাওয়া যাবে, আড্ডা দিয়ে সময় কাটাবে। বেশ কয়েকটা বন্ধুও মিলে যায় কয়েকদিন যেতে না যেতেই। আড্ডায় কথা যতটা না বলে তার চাইতে শুনতে বেশি পছন্দ করে, হঠাৎ হঠাৎ কথা বলে সবাইকে পেটে খিল ধরিয়ে দেয়।

এমনভাবেই আড্ডা চলছে একদিন বটতলায়। নাফিস, মিলি, রিয়াদ, হিমু আর নুসরাত। সবাই যখন আড্ডায় মশগুল তখন হিমু খেয়াল করলো এক মেয়ে ওদের দিকেই এগিয়ে আসছে। মিলি কে দেখেই থেমে যায় মেয়েটি।

-আরে মিলি তুই?
-পরী!! তুই এখানে??
-হ্যাঁ, আমি তো এখানেই ভর্তি হয়েছি
-বলিস কি? আমিও তো!
এর পরই মিলি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় পরীর সাথে। পরী ছিল মিলির কলেজ ফ্রেন্ড। আজই জানতে পারলো ওরা একই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। প্রথম দিনেই আড্ডাতে খুব জমিয়েছিল পরী। হিমু কেবল দেখছিলো, এই মেয়েকেই প্রথমদিন ফ্যাকাল্টির সিঁড়ি তে দেখেছিলো! আজ যেটা খেয়াল করলো হিমু সেটা হল মেয়েটা খুবই মিশুক আর হিমুর মতই খুব সাধারণ।

যতই দিন যেতে থাকে হিমুর সব কেমন যেন অচেনা লাগে, একটা ব্যাপার খেয়াল করে এখানে সবাই নিজ স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। ফ্রেন্ড সার্কেলেও শুরু হয়ে যায় স্বার্থ স্বার্থ খেলা। এসব দেখে খুবই খারাপ লাগে হিমুর। ভেবেছিলো ভালো কয়েকটা বন্ধু পেয়েছে। কিন্তু এসব দেখে কষ্ট পেতে হয় হিমু কে। হিমুর আরেকটি বিশেষ দিক হল হিমু খুব সংবেদনশীল মানুষ। কিন্তু সেটা কখনো প্রকাশ করেনা। তাই যে যা বলে বা করে চুপচাপ দেখে যায়। রিয়্যাক্ট কম করে, কিন্তু মনে মনে কষ্ট পায়, একটা সময়ে যে বা যার কারনে কষ্ট পায় তার থেকে আস্তে আস্তে দূরে চলে যায়। এসব কারনেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকে হিমু। কয়েক মাসের ব্যাবধানে ভালই দূরে সরিয়ে নেয় নিজেকে। দেখতে দেখতে দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখে। এমন একদিন দুপুরে একটা ফোন আসে, অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসায় ফোন ধরে প্রথমে কিছু না বলে চুপ করে থাকে, ওপাশ থেকেই প্রথম কথা আসে।

-কিরে হিমু কেমন আছিস?
-ভালো আছি। কে বলছেন?
-বল তো কে?
-পরী?
-হুম, ঠিক ধরেছিস, কিন্তু তোর কি হয়েছে? দূরে দূরে থাকিস কেন?
-কিছুনা, এমনিই নিজেকে নিয়ে একটু আপসেট! বাদ দে আমার কথা, তুই কেমন আছিস? হঠাৎ আননউন নাম্বার থেকে ফোন দিলি?
-ভালই আছি, নাম্বার চেঞ্জ করেছি তাই ভাবলাম তোকে নাম্বার দেই আর কেমন আছিস সেটাও জানা হল!
-থ্যাংকস তোকে!

পরীর হঠাৎ ফোন পেয়ে কিছুটা অবাক হয় হিমু। চিন্তা করে যাক তাও কেউ একজন খোঁজ নিয়েছে, আনন্দ পায় মনে মনে। মনে পড়ে যায় সেই প্রথম দিনে সিঁড়িতে দেখা মুখটি। আনমনেই হেসে ফেলে।

বিকেলে ফেবুতে লগইন করেও অবাক হয় হিমু। পরী ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে, সাথে ইনবক্সে ১ টা মেসেজ-
‘’আজই ফেসবুকে নিজ একাউন্ট খুললাম আর খুলেই তোকে প্রথম রিকোয়েস্ট পাঠালাম। অ্যাক্সেপ্ট করবি তো?!’’
হিমু অ্যাক্সেপ্ট করেই রিপ্লাই দেয়
‘’সন্দেহ ছিল নাকি কোন?’’
পুরানো সার্কেলের একজন বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হচ্ছে ভেবে ভালো লাগে হিমুর। ইচ্ছে করে আবারো যদি পুরনো সার্কেল টা ফিরে পেতে। কিন্তু সেটা মনে হয় এখন আর সম্ভব না, বাকিদের মাঝেও নাকি কি সব ঝামেলা হয়েছে আর এখন অনেকটা সময়ও পার হয়ে গিয়েছে।

একদিন ক্যাম্পাসে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় পরীর সাথে। অনেক কথা হয় সেদিন। কেন হিমু দূরে চলে যায়, কি কারনে সার্কেলে সবার ঝামেলা হয় এসব খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে। এছাড়া আরও টুকটাক কথাবার্তা হয় ওদের মাঝে।
এভাবেই আস্তে আস্তে পরীর সাথে যোগাযোগ বাড়তে থাকে। সামনা সামনি যতটা না কথা হতো তার চাইতে মোবাইলে বা ফেসবুকেই বেশি হতো। একদিন বিকেলে ফেসবুকে পরীকে নক করে হিমু।

-কিরে কেমন আছিস?
-ভালো
-বিকাল বেলা বাসায় বসে কি করিস?
-ভেরেন্ডা ভাজি।
-বাইরে যা ঘুরে আয়।
-যেতে তো ইচ্ছে করে কিন্তু একা যেতে মন চায় না, তোর বাসা এতো দূরে কেন? আমার বাসার কাছে হলে ভালো হতো! একসাথে বিকালে বাইরে যেতে পারতাম।
-একটু দূর হলেও আসতে কিন্তু বেশি সময় লাগেনা, তুই রেডি হয়ে থাক আমি এক ঘণ্টার মধ্যে আসবো!
ফেসবুক থেকে সাইন আউট করেই ঘণ্টার মধ্যেই পরীর বাসায় পৌঁছায় হিমু। তারপর রিক্সায় করে দুজনে ঘুরে বেড়ায়। এভাবেই ওদের দূরত্ব কমতে থাকে, সময় পেলেই দুজনে ঘুরে বেড়ায়, আড্ডা দেয়। একদিন বিকেলে পরী হিমুকে ফোন করে।

-দোস্ত, সিনেপ্লেক্সে নতুন মুভি আসছে দেখবি?
-কি মুভি? নাম বল।
-পি.এস আই লাভ ইউ! দেখতে যাবি?
-ওকে যাব, তাহলে চল আগামীকাল যাই, শুক্রবার আছে। দেখে আসি!
-আচ্ছা, তাহলে সেই কথাই রইলো।
শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে হিমু কেমন যেন আনন্দ অনুভব করে, ভাবতে থাকে অনেক না হোক তাও একটা ভালো বন্ধু পাওয়া গেলো। দুপুরে পরীকে বাসা থেকে পিক করে নিয়ে চলে যায় সিনেপ্লেক্সে। মুভি দেখে বের হয় একটা রেসটুরেন্টে খায়। তারপর পরীকে বাসায় পৌঁছে দেয় রিকশায় করে, যেতে যেতে অনেক কথা হয়। মুভি দেখা নিয়ে খানিকটা উত্তেজনায় থাকে দুজনেই।

বাসায় ফিরে ঘুমাতে যাওয়ার সময় হিমুর কেমন যেন লাগতে থাকে, মনে হয় কোথাও যেন ১ টা শূন্যতা। পরীকে ফোন করে, দু একটা কথা বলে রেখে দেয়। এরপর থেকে পরীর সাথে কথা বলার সময় কি যেন হয় হিমুর। তাই এস.এম.এস দেয়া হয় বেশি, কিন্তু এস.এম.এস এর শেষে দুজনই একটা কথা লিখে সেটা হল ‘’পি.এস.আই লাভ ইউ’’
দু'দিন পর একদিন পরী হিমু কে জিজ্ঞাস করে

-কিরে তোর কি হয়েছে? কেমন যেন একটু চেঞ্জে লাগছে তোকে!
-না তেমন কিছুনা।
-কিছু তো হয়েছে, মুভি দেখার পর থেকে কেমন যেন হয়েছিস!
-হিমু বলে, আরে বাদ দে, ঠিক হয়ে যাবে।
-পরী তারপরও বলতে থাকে দোস্ত, আমরা যেই মুভি দেখেছিলাম সেটা একটা খুব রোমান্টিক মুভি ছিল, সেটা দেখে কি কিছু হয়েছে?
পরীর এমন প্রশ্নে একটু যেন অপ্রস্তুত হয়ে যায় হিমু, কি বলবে বুঝতে পারে না, চুপ করে থাকে। তাই পরী নিজেই বলে
-তুই কি আমাকে নিয়ে কিছু ভাবছিস?
-হ্যাঁ, মুভি দেখার পর থেকে আমি তোর প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করছি।
-আমি বুঝেছিলাম এমন কিছু হয়েছে তোর।
-কিভাবে বুঝলি? তোরও কি এমন হয়েছে?
-হা একটু হয়েছিলো আবার চলেও গিয়েছে, একসাথে রোম্যান্টিক মুভি দেখেছি তাই বোধহয় এমন হয়েছে, পরী বলে আমারটা ঠিক হয়ে গেছে। ভাবনার কিছু নাই তোর টাও ঠিক হয়ে যাবে।
- হিমু দীর্ঘশ্বাসের সাথে জবাব দেয় হ্যা, ঠিক হয়ে যাবে। মুভির প্রভাব আর কতদিনই বা থাকবে বল।

আবারো আগের মত সময় কাটাতে থাকে ওরা, এখন ফোন ফেসবুকের পাশাপাশি একসাথে সময় কাটানো হয় আগের চেয়ে বেশি। এভাবে অনেকটা সময় পার করে দেখতে দেখতে ৩য় বর্ষে উঠে যায় ওরা। ক্যাম্পাসে বা বাইরে বন্ধু বলতে হিমু পরীকেই বুঝত, সব কিছু শেয়ার করতো। পরীও যে হিমু কে ভালো বন্ধু মনে করতো তা বুঝত হিমু নিজেও। কিন্তু হিমু মনে মনে অনেক কিছু কল্পনা করে ফেলে পরী কে নিয়ে, সেই যে মুভি দেখেছিলো তখন থেকে। ভেবেছিলো মুভি দেখার প্রভাব টা কেটে যাবে কিন্তু হিমুর সেটা হয়নি, থেকে যায়। হিমু ভালবেসে ফেলে পরীকে, কিন্তু বলতে পারেনা। সবসময় পরীর কথা মনে হয়। খুব কষ্ট হয় মাঝে মাঝে হিমুর। ভালবাসে কিন্তু বলতে পারেনা। নিজেকে অসহায় লাগে। বন্দি মনে হয়! হিমু ভাবে হয়ত ভালো লাগার কথা বললে যদি পরী না করে দেয় তবে বন্ধুত্ব টাও থাকবে না।

অনেক চিন্তা করেও নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেনা হিমু, তাই মনে মনে ঠিক করে ফেলে বলেই দিবে মনের সকল কথা । আর ১ সপ্তাহ পরেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে, তাই ভাবেছে সেই দিনই বলবে।

হিমু হুট হাট কবিতা লিখে থাকে। আর আরেকটা কাজ খুব শখের বসে করে থাকে হিমু সেটা হল নিজ হাতে কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক এসব দিয়ে ছবির ফ্রেম, ল্যাম্প শেড, শো-পিস বানানোর একটা আলাদা গুনও আছে ওর মধ্যে। এসব করে বন্ধুদের বা কাছে আত্মীয়দের উপহার দিয়ে আনন্দ পায় সে, তাই পরীর জন্য একটা ল্যাম্প শেড আর দুটো ছবির ফ্রেম বানিয়ে ফেলে নিজ হাতে এক সপ্তাহের মাঝেই।


ভ্যালেন্টাইনস ডে তে প্রপোজ করার জন্য আলাদা প্ল্যান করে হিমু, পরী ভার্সিটির আবাসিক হলেই থাকে এখন, ভার্সিটিতে একটা ঘাট বাধানো লেক আছে। হিমু ঠিক করে সেই লেকের ধারে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাত ১২.০১ মিনিটেই প্রেম নিবেদন করবে পরী কে। তাই হিমু পরীর হোস্টেলের এক ফ্রেন্ড শিমু কে বলে ম্যানেজ করে। শিমুর বাসা আবার হোস্টেলের কাছেই। তাই শিমুকে বলে বাসায় থাকতে আর রাতে যেন পরী কে হল থেকে বের করতে পারে এই বলে যে, শিমুর হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ছে।

যেই কথা সেই কাজ শিমু পরীকে রাত ১২ টার কিছু আগে ফোন করে অসুস্থতার কথা বলে হোস্টেল থেকে বের করে লেকের পাড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু লেকের ধারে গিয়েই পরী অবাক হয়ে যায়। হাতে দুটো চন্দ্রমল্লিকা ফুল আর সামনে ১ টা কেক নিয়ে বসে আছে হিমু। পরী গোলাপ পছন্দ করেনা তবে চন্দ্রমল্লিকা খুবই পছন্দ পরীর তাই চন্দ্রমল্লিকা হাতে চারপাশে ২২ টা মোমবাতি জ্বেলে, জীবনের ২২ তম বসন্তের দ্বিতীয় দিনে পরী কে বলে
-পরী, আমি তোকে ভালবাসি!

এর উত্তরে কিছুই বলেনা পরী, শুধু ফিক করে হেসে দেয়। কি আছে সেই হাসিতে সেটা বুঝে উঠতে পারেনা হিমু। সেটা হিমু এই মুহূর্তে বুঝতেও চায়না। পরিচিত এক রিক্সাওয়ালা মামাকে অনেক বলে কয়ে রাজি করিয়েছিলো রাতে পরীকে নিয়ে রিক্সায় করে ঘুরবে বলে। রিক্সায় ঘুরতে ঘুরতে আলতো করে হিমুর কাঁধে মাথা রাখে পরী এবং কথা শুনতে থাকে খুব মনোযোগ দিয়ে। এমনি সময়ে হঠাৎ করে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে ওদের পৃথিবী ঘিরে।

পেছন থেকে ট্রাকের ধাক্কায় ওরা ছিটকে পড়ে পাশের খাদে। রাস্তার পাশে গাছের সাথে প্রচন্ড জোড়ে আঘাত পায় এবং তার ফলে ব্রেইন ইনজুরি হয় পরীর। আর সেই যাত্রায় বেঁচে যায় হিমু। বিছানায় শয্যারত পরীর পাশে দাঁড়ায় হিমু এবং একটি মিরাকেলের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে। একদিন পরী সুস্থ হয়ে যাবে আবারও হিমুর কাঁধে মাথা রেখে ঘুরে বেড়াবে। আর তাইতো আজও হিমু নিজ মনে বলে উঠে ভালবাসি তাই, স্বপ্ন দেখে যাই...!!!


অ.টঃ এটি একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা। আমেরিকান আইডলের শিল্পী Chris Medina এর জীবনে এমনটাই হয়েছিল। নিজের Fiance এর কঠিন সময়েও তার পাশে ছিল সে এবং এক মুহূর্তের জন্যও তাকে ছেড়ে যায়নি। এ থেকে বোঝা যায় পৃথিবীতে এখনও সত্যিকারের ভালবাসা বলে কিছু রয়েছে। Fiance কে নিয়ে করা গানটির মিউজিক ভিডিওতে তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া পুরো কাহিনীটা তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ভিডিও লিন্ক দেয়া হলো আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন।




•|• এই লেখাটি আমার হাবিজাবী লেখার একনিষ্ঠ পাঠক এবং আমার খুব কাছের একটা বন্ধু ব্লগার শুক তারাকে উৎসর্গ করা হল •|•
৪৩টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×