বাংলাদেশ আগামী বছর গুলোতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কিছু সময় অতিক্রম করবে।এদেশ এগিয়ে যাবে না আরো পিছিয়ে যাবে-তা নির্ভর করবে সামনের দিনগুলোতে এদেশের নীতিনির্ধারকগণ কি ধরনের নীতি অবলম্বন করবে তার উপর। ভারত আমেরিকা সহ বিশ্বের সব বাঘা বাঘা অর্থনীতির দেশের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারলে ও বাংলাদেশ নিজের গুরুত্ব এখনও উপলব্ধি করতে পারছেনা। আমার এ আলোচনায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করবো।
বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ । এদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি এবং মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল। সুতারাং সামনের দিনগুলোতে যদি বাংলাদেশের কিছু করতে হয় তবে এ দু' সেক্টরেই করতে হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে তীব্র খাদ্যসংকটের মোকাবেলা করছে। এর অবশ্য কিছু পজিটিভ দিক ও আছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা কিছু ভাল মূল্য পাচ্ছে।
যারা বলছেন ক্ষমতায় এলে দশ টাকা দামে চাল খাওয়াবেন তারা অন্তত,কৃষকদের ভাল রাখেত পারবেননা এটা নিশ্চিত। আমরা মনে করি দেশের সকল কৃষিপোযোগী জমির জরিপ করা দরকার। পাশাপাশি ওই জমিতে চাষ ব্যবস্থা ও করা দরকার। সরকারি খাস জমিতে চাষের ব্যবস্থা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে চাষ যার ফসল তার এ নীতি অবলম্বন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সেনাবাহীনিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক স্থানে বর্ষা মওসুমে জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়না। সে সব স্থানে বাঁধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে-জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য । ফসল তোলার মওসুমে সরকারী উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে ফসল কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কৃষক লোকসানের মুখোমুখি না হয়।
মৎস্য সম্পদ ও এ দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। সকল সরকারী জলমহাল এবং মৎস্যজীবিদের তালিকা তৈরী করে তাদেরকে একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় এনে সারাদেশে পরিকল্পিত মৎস্যচাষ নিশ্চিত করতে হবে।প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে এ প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। নদী বা সাগরে ঐ প্রতিষ্ঠানের লোকেরাই মাছ ধরবে। অন্য কেউ নয়।
আমরা মনে করি, এভাবে সারাদেশে মৎস্য চাষ এবং কৃষিকাজ নিশ্চিত করা গেলে এদেশ অনেক দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





