somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ আগামী বছর গুলোতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কিছু সময় অতিক্রম করবে।এদেশ এগিয়ে যাবে না আরো পিছিয়ে যাবে-তা নির্ভর করবে সামনের দিনগুলোতে এদেশের নীতিনির্ধারকগণ কি ধরনের নীতি অবলম্বন করবে তার উপর। ভারত আমেরিকা সহ বিশ্বের সব বাঘা বাঘা অর্থনীতির দেশের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারলে ও বাংলাদেশ নিজের গুরুত্ব এখনও উপলব্ধি করতে পারছেনা। আমার এ আলোচনায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করবো।

বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ । এদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি এবং মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল। সুতারাং সামনের দিনগুলোতে যদি বাংলাদেশের কিছু করতে হয় তবে এ দু' সেক্টরেই করতে হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে তীব্র খাদ্যসংকটের মোকাবেলা করছে। এর অবশ্য কিছু পজিটিভ দিক ও আছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা কিছু ভাল মূল্য পাচ্ছে।

যারা বলছেন ক্ষমতায় এলে দশ টাকা দামে চাল খাওয়াবেন তারা অন্তত,কৃষকদের ভাল রাখেত পারবেননা এটা নিশ্চিত। আমরা মনে করি দেশের সকল কৃষিপোযোগী জমির জরিপ করা দরকার। পাশাপাশি ওই জমিতে চাষ ব্যবস্থা ও করা দরকার। সরকারি খাস জমিতে চাষের ব্যবস্থা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে চাষ যার ফসল তার এ নীতি অবলম্বন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সেনাবাহীনিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক স্থানে বর্ষা মওসুমে জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়না। সে সব স্থানে বাঁধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে-জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য । ফসল তোলার মওসুমে সরকারী উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে ফসল কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কৃষক লোকসানের মুখোমুখি না হয়।

মৎস্য সম্পদ ও এ দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। সকল সরকারী জলমহাল এবং মৎস্যজীবিদের তালিকা তৈরী করে তাদেরকে একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় এনে সারাদেশে পরিকল্পিত মৎস্যচাষ নিশ্চিত করতে হবে।প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে এ প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। নদী বা সাগরে ঐ প্রতিষ্ঠানের লোকেরাই মাছ ধরবে। অন্য কেউ নয়।

আমরা মনে করি, এভাবে সারাদেশে মৎস্য চাষ এবং কৃষিকাজ নিশ্চিত করা গেলে এদেশ অনেক দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×