যারা আগে থেকেই বেকার ছিল, তাদের জন্যে একটা সুবিধা হলো নতুন করে আর বেকার হওয়ার কোন চান্স নাই
বরং করোনা শুরুর আগেই তারা যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করায় দীর্ঘ মেয়াদি একটা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্যে মানসিকভাবে তৈরী ছিল ।
এখন বিগত তিন-চার মাসে যারা চাকরী হারিয়েছে, ব্যবসা খুইয়েছে, দালালি, চামচামি, দু'নম্বরী করার পথটাও হারিয়েছে; তাদের জন্যে করোনা এবং বেকারত্ব এক লগে দু'টো যুদ্ধ ।
এবং দু'টোতেই নিশ্চিৎ পরাজিত হইয়া শেষমেষ অনেকেই ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হইছে ।
আর এসব নব্য বেকার ঢাকা ছাড়োনের ফলে শুরু হইছে আরেক শ্রেণির বেকার, বলা যায় আরেকটি যুদ্ধ
বাড়িওয়ালাদের ভাড়াটে না পাওয়ার যুদ্ধ ।
এতদিন যেসব বাড়িওয়ালা ভাড়াইট্টাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ছ্যাপ দিয়া গুইন্যা গুইন্যা টাকা নিত আর ঠ্যাং এর উপর ঠ্যাং তুলে দিয়া রাজার হালে চলত, তারা এবার গম থেকে ময়দা গুনা শুরু করেছে ।
এক হিসাবে বলতে গেলে আমরা এখন সবাই বেকার, আমাদের এই বেকার রাজত্বে ।
পুরানো কিছিমের চিন্তা-ভাবনা থেকে কেউ কেউ অবশ্য বলতে চাচ্ছে, দেশে আবার চুয়াত্তরের মতো একটা আকাল আসবে । কিন্তু সাতান্ন ধারার ভয়ে সেইটা কেউ খোলসা করে বলছে না ।
যদিও অর্থনীতিবিদ অমর্ত সেন-এর গবেষণায় এসেছিল, খাদ্যের অভাবে নয়, সুষ্ঠু বন্টনের অভাবেই চুয়াত্তরে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ।
এখনো অনেকে তাই মনে করে, দেশে খাদ্যের কোন অভাব নাই বা এত সহজে হবেও না; কিন্তু সুষ্ঠু বন্টনের অভাব আছে । দেশে চালচোর, তেলচোর, রিলিফচোর কমে নাই; বরং বেড়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২০