নারায়ণগঞ্জের ছেলে রায়হান কবির ২০১৪ সালে এইচএসসি পাশ করার পর যখন মালয়েশিয়ায় যায়, তখনো বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চালু হয়নি ।
তার অর্থ এই নয় যে দেশে সবাই তখন বুক ফুলাইয়া সরকারের সমালোচনা করত, সত্য কথা বলত ।
তখনো দেশে জেল, জুলুম, হামলা, মামলা, রিমান্ড ছিল । রায়হান কবির তখন ছোট ছিল - এই যা ।
হতে পারে সত্য, অসত্য গুলো তখন সেভাবে বুঝে উঠতে পারেনি; মালয়েশিয়ায় গিয়ে যেটা তার উপলব্ধিতে এসেছে ।
এখন সে 'অভিবাসী শ্রমিকরা পুলিশি নির্যাতনের পাশাপাশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন' এমন একটা অভিযোগ তুলে আলজাজিরাতে যে সাক্ষাৎকার দিয়ে ফেলেছে এবং সেই কথা গুলো মালয়েশিয়া সরকারের ইজ্জতে লেগেছে ।
কামলা কেন এত সাহস দেখাবে ?
অতএব, তাকে ধর । আইনের আওতায় আন । জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ভিসা বাতিল কর । তারপর কালো তালিকাভুক্ত করে তাকে চিরতরে দেশে পাঠিয়ে দে ।
আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অলরেডি চৌদ্দ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ । এই হলো, তৃতীয় বিশ্বের সব চেয়ে সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক দেশের মেজাজ ও বিচারিক নমুনা ।
যদিও রায়হান কবিরের পক্ষে ইতোমধ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং মালয়েশিয়ার দুজন আইনজীবী আইনি সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে ।
কিন্তু কেউ কেউ অভিযোগ করছে, বাংলাদেশ সরকার নাকি রায়হান কবিরের ব্যাপারে ততটা আন্তরিক না । হতে পারে এমন একটা স্পর্শ কাতর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের বিরাগভাজন হতে চাচ্ছে না ।
কারণ, আর যাই হোক, কিছু মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা তো হচ্ছে মালয়েশিয়াতে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৭