somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপারেশন রেড লাইট ( দ্বিতীয় পর্ব )

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাতঃ

৫ জন অস্ত্রধারী লোকের সাথে এইভাবে একা লড়তে যাবো নাকি !! ভেবে-চিন্তে একটু পিছিয়ে গিয়ে রেডিও তে মেসেজ দিলাম, " বাধন !! রাকিব !! কাম ইন !! কাম ইন !! আমাকে শুনতে পাচ্ছো ?? "
- ইয়েস স্যার শুনতে পাচ্ছি ।
- দ্রুত মতিঝিল আইডিয়ালের বিপরীতে চলে আসো ।
- ওকে স্যার ৫ মিনিট সময় লাগবে ।

৫ মিনিট !! আমার হাতে এখন ৫ মিনিট সময় আছে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার । মগজের স্টিয়ারিং গুলা বন বন করে চালু হয়ে গেছে ।

৫ মিনিটের মধ্যেই বাধন আর রাকিব এসে হাজির । ওদেরকে বললাম সামনের জায়গাটা কভার করতে আমি পিছন দিক দিয়ে ঢুকবো । সামনের জানালা আর দরজাতে পজিশন নিলো ওরা আর আমি পিছন দিক দিয়ে বিল্ডিং এর ভিতরে প্রবেশ করলাম । রুমটার ঠিক সামনে এসে এক মূহুর্ত দাঁড়িয়ে শেষ বারের মত নিজেকে প্রস্তুত করে নিলাম, দেখে নিলাম পিস্তলের সব ঠিক আছে নাকি ।

হটাত কথা শুনতে পেয়ে থেমে গেলাম আমি । ওরা সবাই বুশরাকে ঐ কাগজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে !! মানে কি !! বুশরাকে কেন ??
ওদের বারবার একটাই প্রশ্ন " কোথায় রেখেছো কাগজ ?? "
বুশরার একই উত্তর, " আমি কিছুই জানি না । "
ওরা কি করে সিউর যে বুশরাই কাগজ সরিয়েছে ।
ভাবনার নতুন জগত খুলে গেলো ।

হটাতই রেডিওতে বাধনের আওয়াজ " স্যার আমরা রেডি । "
- ওকে ।

এক লম্বা দম নিয়ে ভিতরে উদ্যত পিস্তল হাতে প্রবেশ করলাম আমি । " হ্যাণ্ডস আপ !! "
একটু চমকে উঠলো সবাই । পিস্তল বের করতে গেলো তারা । সাথে সাথেই একজনের হাতে গুলি করলাম । অন্যপাশ থেকে আরেকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লো । পিছন থেকে তাকে গুলি করেছে বাধন । মূহুর্তেই আমাদের আর তাদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয় । আমাদের দুই পাশ থেকে আক্রমণ সামলাতে না পেরে একে একে লুটিয়ে পড়ে আরো ৩ জন । এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে পিছু হটে তারা । যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে একজন বুশরাকে লক্ষ করে গুলি করে বসে ।এইটা আমার প্রত্যাশিত ছিলো না । গেটে দাঁড়ানো রাকিব কাকে ধরবে বুঝার আগেই হাতে গুলি খায় এরপরেও আটকাতে গেলে একজনের কারাতের মার খেয়ে কুপোকাত হয়ে পড়ে । বাধনকে বললাম " বুশরাকে দেখো । " বলেই দৌড় দিলাম দরজার দিকে । বের হয়ে দেখি একটা জিপে করে তিনজন চলে যাচ্ছে । দৌড়ে পারা যাবে না । তাই হাল ছেড়ে দিলাম ।

ভিতরে এসে দেখি রাকিবের অবস্থা তেমন গুরুতর কিছু নয় তবে বুশরার অবস্থা খারাপ । প্রায় চোখ বুজে এসেছে ওর । এই অবস্থাতে বলতে লাগলো " সেইন্ট-মার্টিনের প্রবাল । "
একটু পরেই কথা শেষ হয়ে গেলো ওর । বুঝলাম মারা গেছে আরেকজন ।

আটঃ

ওসি তাশফিককে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম যেনো লাশগুলা এসে নিয়ে যায় । দেখলাম মজিদ পালিয়ে গেছে । ইয়াসির ও চলে এসেছে । জানালো জালাল আর তার সঙ্গী ক্লাব থেকে বের হয়ে সোজা গাড়িতে করে উত্তরা চলে যায় । পরে ওইখান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় ।

ওকে বললাম, " এখন একটা ঘুম দিবো । " এরপরে ভাবতে বসবো ।
সকালে উঠেই যে খবরটা পেলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না ।

মেজর জেনারেল শাখাওয়াত জানালেন, " প্রতিরক্ষা সচিবের অপহরণকারীরা তার এবং তার মেয়ের জন্য মুক্তিপণ চেয়েছে আর সেটা হচ্ছে ঐ কাগজগুলো । "

আমি বললাম, " ওরা ভালো করেই জানে এইটা কখনো দেওয়া হবে না । "
- হ্যা আর এতদিন পরে কেন এই ডিমান্ড !!
- মনে হয় স্যার বুঝতে পারছি ।

অফিসে গিয়ে ইয়াসিরের রুমে গেলাম । জিজ্ঞেস করে, " ভেবে কি বের করলা ?? "
- অনেক কিছুই ।
- মুক্তিপণের খবর জানো ??
- হ্যা ।
- সরকার কি করবে বলে মনে হয় ??
- জীবনেও দিবে না ।
- হ্যা কিন্তু অভিনয় করতে পারে তো ।
- পারে তবে ওরা এত বোকা না ।
- তাও ঠিক । তা কি ভেবে বের করলা ??

" একটা ব্যাপার এতদিন পরে মুক্তিপণ চাওয়াটা !! মনে হচ্ছে কালকে রাতেই এমন কিছু ঘটে গেছে যে আজকেই ওদেরকে মুক্তিপণ চেতে হয়েছে । "
- মানে বুশরার মৃত্যু ??
- হ্যা ওরা নিশ্চিত ছিলো যে বুশরার কাছেই কাগজ আছে । আর বুশরাও আমাদেরকে সেটা বলে গেছে ।
- যদিও আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না ।
- হ্যা তবে বের করা যাবে আশা করি । তা জামাল কি বললো ?
- তেমন কিছুই জানেনা সে । টাকার লোভে খালি ইনফর্মেশন দিতো । তবে ঐ একটা কথা বললো যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে ।
- কি ??
- ভিতরের কেউ এইখানে জড়িত ।
- সেটা তো অবশ্যই ।

বাধন জিজ্ঞেস করলো, " আচ্ছা বুশরা কেন কাগজ সরালো ?? "
- মনে হয় ওর কোন কারণে সন্দেহ হয়েছিলো । তাই এই কাজ করেছে ।
- কিন্তু সরালো কিভাবে?
- মনে আছে ওকেই ঐ কাগজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো ।
- কিন্তু ও কাউকে না জানিয়ে কেন এই কাজ করলো ?? আর সরিয়ে দিয়েও কেনো কাউকে জানালো না ??
- সেইটা হয়তো চিরজীবনই রহস্য থেকে যাবে ।

হটাত একটা কথা মনে পড়লো আমার ।
" আচ্ছা ইয়াসির কালকে ওরা যখন গাড়িতে করে পালিয়ে যায় তখন আমি রেডিওতে চেক পোষ্ট গুলাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম । "
- হ্যা । তো ??
- আমার জানামতে ওইদিন রাজারবাগ চৌরাস্তার মোড়, আরামবাগ মোড়, আর পল্টন মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট ছিলো ।
- খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে সিউর হওয়ার জন্য ।
- যদি এইটা সিউর হয়ে নিতে পারো তাহলে ওদের যাওয়ার জায়গা দুইটা ।
- কোথায় ??
- কমলাপুর আর জসীমউদ্দিন রোড ।
- এখন কি করবে ??
- অপেক্ষা ।
- কেন ?
- মুক্তিপণের ফোন কোথা থেকে এসেছে সেটা ট্রেস করা শেষ হোক ।

নয়ঃ

হন্তদন্ত হয়ে রুমে প্রবেশ করলো বিথি । চেহারায় উত্তেজনার ছাপ ।
" স্যার কমিউনিকেশনের ইঞ্জিনিয়াররা ফোন কল ট্রেস করে ফেলেছে । আপনার অনুমান সঠিক । ওরা জসীমউদ্দিনেই আছে । "
- আমি তো বলেছিলাম ওরা কমলাপুর অথবা জসীমউদ্দিনে গেছে ।
- হ্যা । আর ফোন কল যেহেতু জসীমউদ্দিন থেকে এসেছে তাহলে তো ওরা ওইখানেই আছে ।
- তুমি সিউর ??
একটু থমকে গেলো এইবার বিথি । একটু ইতস্তত করে বললো, " তাই তো হবে । "
এইবার ইয়াসির বললো, " কাহিনী কি ?? এতবার জিজ্ঞেস করছো কেন ?? "
- তোমার কি মনে হয় ওরা জসীমউদ্দিনেই আছে ??
- হ্যা । ফোন কল ওইখান থেকে আসছে তাহলে ওইখানেই আছে ।
- এতই সোজা মনে করছো !!
- মানে ??
- না ধর তুমি কাউকে কিডন্যাপ করে রাখলা । কেউ তোমার লোকেশন জানেনা । এখন মুক্তিপণ চাইতে গিয়ে তুমি কি তোমার লোকেশন থেকে কল করবা ?? কারণ কল দিলে আজ হোক কাল হোক তোমার লোকেশন ট্রেস হবেই ।
- কি বলতে চাও ??
- বলতে চাই তুমি যেমন এই বোকামি করবা না তেমনি মজিদও এই কাজ করবে না । ভুলে যেও না ও কোন সাধারণ লোক না । পাক-ল্যান্ডের সিক্রেট সার্ভিসের একজন চৌকস অফিসার ।
- হুম । তাহলে বলতে চাও ওরা জসীমউদ্দিনে নেই ??
- হ্যা । ওদের একমাত্র সম্ভাব্য থাকার জায়গা কমলাপুর ।
- তাহলে জসীমউদ্দিন থেকে ফোন করলো কেনো ?? অন্য জায়গা থেকেও করতে পারতো ??
- উহু !! সিআইডি আর র‍্যাবের যে কর্মকর্তারা খুন হয়েছে ওই জায়গাটা জসীমউদ্দিনের খুব কাছে । ওদের সাথে যেখানে আমাদের এনকাউন্টার হলো ওই জায়গাটা থেকে জসীমউদ্দিন অনেক কাছে । আর জসীমউদ্দিন এলাকাটা অনেক বড় আর ঘনবসতিপূর্ণ । ওরা জানে ওইখান থেকে ফোন আসছে জানতে পারলে আমরা ওইখানে ওদের চষে বেড়াবো আর ওদের খুঁজতে গেলে অনেক সময় নষ্ট হবে । এই জিনিসটাই ওদের দরকার ।
- তাও ঐখানে একবার তদন্ত করা উচিত না ??
- অবশ্যই । ওদেরকে দেখানোর জন্য করবো ।
- যে ফোন নাম্বার থেকে আসছে ওইটার ব্যাপারে কি ??
- ঐ ব্যাপারে আগ্রহ নেই আমার । দেখো গিয়ে কোন ফ্লেক্সি-লোডের দোকানের নাম্বার দিয়ে কল করেছে । তবে মোবাইল মালিকের সাথে কথা বললে নতুন কিছু জানা গেলেও যেতে পারে । ঐ এলাকাতে গেলে কথা বলে দেখতে হবে । মালিকের পরিচয় বের করে রাখো ।
- আচ্ছা এখন তাহলে কি জসীমউদ্দিন যাচ্ছি ??
- হ্যা ।

প্রায় ঘন্টাখানেক পরে আমরা জসীমউদ্দিন পৌঁছে গেলাম । ইয়াসির বললো, " আচ্ছা ওরা কমলাপুর দিয়ে অন্য কোথাও বের হয়নি তো ?? "
- না প্রত্যেকটা এক্সিস্ট পয়েন্টে পুলিশ ছিলো । আর কমলাপুর জায়গাটা এমনিতেও সুবিধার না । ঐধরণের জায়গাতে ওদের থাকার সুবিধা হবে ।
- হুম । যার ফোন থেকে ফোন এসেছে ওর নাম রাসেল । তোমার অনুমানই ঠিক । ঐ ফ্লেক্সি-লোডের দোকান চালায় ।
- কথা বলেছো ??
- হ্যা ।
- কি বললো ??
- চেহারার বর্ণনা যা দিলো মনে হচ্ছে ওই রাতে মজিদের যে সঙ্গী ছিলো ক্লাবে সেই এসেছিলো ।
- ওকে । আর কিছু ??
- না তবে যখন ঐখানে ছিলাম তখন এক পিচ্চি ছিলো । নাম সবুজ ।
- ও কি করেছে ??
- কিছুই না । চেহারা বর্ণনা শুনে বললো এই লোক নাকি গত ১০-১২ দিন ধরে ওদের হোটেল থেকে খাবার কিনে নিয়ে যায় ।
- কি ??? আর কি বললো ?? ওদের হোটেল কোনদিকে ??
- কমলাপুর ট্রাক-স্ট্যান্ডের পাশে ।
- এরপরে আর কি জানালো ??
- তেমন কিছুই না । তবে ওকে নাম্বার দিয়ে এসেছি । ২০০ টাকাও দিয়েছি । বলেছি ওই ব্যাটারে এরপরে দেখলে যেন খেলায় করে কোথায় যায় আর আমাদের খবর দেয় ।
- গুড ।
- এখন কি করবো ??
- অপেক্ষা । সবুজ খবর দেক আগে । এরপরে ভেবে দেখবো ।
- যদি ব্যাটা খাবার কিনতে না যায় ??
- না যাবে । কারণ খাবারের কষ্ট কেউ পেতে চাইবে না ।
- দিনের বেলায় ওই এলাকাতে যাবে নাকি ??
- না ওরা আমাদের সন্দেহ করতে পারে । তখন সব কিছু বর্বাদ হয়ে যাবে ।
- শুধু সবুজের উপরে নির্ভর করবা ??
- না ওই দোকানের বাইরে আমরা চর লাগাবো ।
- কিভাবে ??
- ওইটার ব্যবস্থা ইন্সপেক্টর তাশফিকের উপরে । ওনার এলাকা উনি বুঝবেন ।
- ওই ভুঁড়িওয়ালা ব্যাটার উপরে আমার ভরসা নাই ।
- না ভুঁড়ি থাকলেও ব্যাটা কাজের আছে । ওর ট্র্যাক রেকর্ড ভালো । আর ওর নামে কোন দূর্নীতি নাই ।
- তাহলে এখনই জানায়া দাও । এই সুযোগ হাতচ্ছাড়া করা যাবে না ।

আর কথা না বলে রেডিও বের করলাম আমি ।

দশঃ

প্রথমেই মেসেজ দিলাম ইন্সপেক্টর তাশফিককে । উনি জানালেন, " সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে । ঐ হোটেলের বাইরে এক পানওয়ালা বসে । সে নাকি ওনার ইনফর্মার । " আরেকটা তথ্য জানা গেলো যেটা সেটা হচ্ছে সবুজ ছেলেটাও ওনার ইনফর্মার ।
অবশ্য এইটা সুনে ইয়াসির আর আমি অবাক হলাম না । ওর কথা-বার্তা শুনে আমাদের আগেই এইটা মনে হয়েছিলো ।

এরপরেই মেসেজ দিলাম আমাদের মেজর জেনারেল শাখাওয়াত স্যারকে । ওনাকে সব কিছুর ব্যাপারে অবহিত করে জানালাম আমার এক ইউনিট কমান্ডো সেনা লাগবে ।
একটু অবাক হলেও জানালেন ব্যবস্থা করছেন ।
ইয়াসির জিজ্ঞেস করলো, " কমান্ডো দিয়ে কি করবে ?? "
- বুশরার ক্ষেত্রে যে ভুলটা করেছি ওইটা করতে চাই না । অবশ্য তখন সময় ছিলো না । এখন যেহেতু সময় আছে তাই সব কিছু একেবারে পার্ফেক্ট করে রাখতে চাই ।

এরপরে মেসেজ দিলাম ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে । জানালাম কমলাপুর ও তার আশেপাশের এলাকাতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য । উনি জানালেন সময়মত র‍্যাব আর রিজার্ভ পুলিশ দিয়ে যথার্থ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে ।

মোট কথা নিরাপত্তার কোন কমতি নেই আমাদের । এইবার খালি ওই ব্যাটার হোটেলে যাওয়ার অপেক্ষা । সব প্রস্তুতি সাড়তে সাড়তে বিকাল ৪টা বেজে গেলো । সবুজ জানিয়েছে ওই লোক নাকি প্রতিদিন রাত ৯-১০টার দিকে রাতের খাবার কিনতে যায় । আর সকালে ১১টার দিকে গিয়ে একেবারে নাস্তা আর দুপুরের খাবার কিনে ।

এখন আমাদের রাতের অপেক্ষা । সময় যেনো শামুকের ন্যায় এগিয়ে চলছে । কমান্ডো অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিয়েছি আমিও । সন্ধ্যা ৬টার দিকে আর্মি হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো ২৫ সদস্যের এক ইউনিট কমান্ডো এসে পৌঁছলো যার নেতৃত্বে রয়েছেন ক্যাপ্টেন পার্থিব ।

অবশেষে রাত ৯টা বেজে গেলো । সতর্ক হয়ে উঠলাম আমরা । জানি যেকোন সময় সবুজের ফোন আসবে । বলে রাখা ভালো আমাদের এজিবি কলোনীতে অবস্থান নিয়েছি । এইখানে থাকলে ওরা জানতে পারবে না ।

রাত ৯টা ২০ এর দিকে সবুজ জানালো ওই লোক এসে খাবার নিয়ে গেছে । আমরা সবাই কলোনী থেকে বের হয়ে কমলাপুরের দিকে রওয়ানা দিলাম । একটু পরে রেডিওতে ইন্সপেক্টর তাশফিক জানালো, ইনফর্মার ওই ব্যাটাকে ২৯/৪ বিল্ডিং এ যেতে দেখেছে । ঐ বিল্ডিংটা রেলওয়ে সীমানার ঠিক বাইরে আর জায়গাটা অসম্ভব রকমের নীরব । এই ধরণের কাজের জন্য ওইরকম একটা জায়গা একেবারেই উপযুক্ত । দক্ষিণ কমলাপুরের এক গলির একেবারে শেষ মাথায় পরে ।

ঘড়িতে রাত ১০টা ৩০ । ইতোমধ্যে আমরা একেবারে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছি যে ওই লোক এইখানেই এসেছে । কমান্ডো অপারেশনের জন্য আমরা প্রস্তুত । খুব সাবধানে ক্যাপ্টেন পার্থিব তার ৮ জন সঙ্গীকে নিয়ে পশ্চিম দিক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো । বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাদের মেসেজ দিতেই আমি আরো ৮ জন নিয়ে উত্তর দিক দিয়ে ভিতরে গেলাম । ভিতরে গিয়ে কয়েকটা লাশ পড়ে থাকতে দেখলাম । এতই নিখুঁতভাবে হত্যা করা হয়েছে যে কোন রকম শব্দই হয়নি । আমাদের মূল ফোকাস ছিলো উত্তর-পশ্চিম কোণের ঘরগুলা । একটা ঘরের জানালায় শিক দেখে ওইখানে অপহৃতরা থাকতে পারে বলে অনুমান করেছিলাম ।

বিধি-বাম । নীরবে কাজ করা গেলো না । হটাতই এক লোক এক কমান্ডোকে দেখে গুলি করে বসলো । যদিও নিশানা করতে পারেনি কিন্তু আমাদের উপস্থিতি জানিয়ে দিতে বাধ্য হলাম । সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেলো দু-পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি । রেডিওতে মেসেজ দিতেই ইয়াসির বাকি ৮ জন কমান্ডোকে নিয়ে ভিতরে চলে আসলো । ওদেরকে বললাম এদেরকে ঘিরে ফেলতে । একটু পরেই ওরা আত্বসমর্পণ করতে বাধ্য হলো । দেখলাম এবারও মজিদ ধরা পড়েনি । কোন ফাঁকে কেটে পড়েছে কে জানে !! জানি লাভ হবে না তাও রেডিওতে সবাইকে সতর্ক করে দিলাম । তবে ওকে নিয়ে আমার অতো চিন্তা নেই । কারণ কান টানলে মাথা আসেই ।

যাই হোক যেইটা অনুমান করেছিলাম সেটাই হলো । সচিব আর তার মেয়েকে ওরা অনুমিত জায়গাতেই বন্দি করে রেখেছে । ওনাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হলো । তবে এতদিন বন্দি-দশাতে তাদেরকে তেমন আতঙ্কিত বা অসুস্থ কিছুই মনে হয়নি । মনে হয় কিডন্যাপাররা তাদেরকে অনেক যত্ন করে রেখেছিলো !! ও হ্যা কারাতে স্পেশালিষ্টও ধরা পড়েনি । কারণ ওইদিন ওর উচ্চতা দেখেছিলাম ৫ ফুট ২ ইঞ্চি । আজকে ওই উচ্চতার কাউকে গ্রেফতার বা নিহত হতে দেখলাম না । আর ভিতরের উচ্চপদস্থ কে জড়িত সেটাও জানা হলো না । আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার কাগজটা উদ্ধার করা হয়নি ।

এগারোঃ

আবার আমরা বুশরার বাসায় আসলাম । কাগজটার খোঁজ করতে । কিন্তু " সেইন্ট-মার্টিনের প্রবাল " কথাটার মানে কি ?? পুরা বাসা খুঁজেও কোন প্রবাল পেলাম না । তাহলে ও কি বলতে চাইছে ?? সেইন্ট মার্টিনে প্রবালের নিচে ওই জিনিস লুকিয়ে রেখেছে ?? অসম্ভব !! কাগজ কি কেউ প্রবালের নিচে রাখবে ?? আর এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ও অবশ্যই হাতের কাছে রাখতে চাইবে । তাহলে কোথায় ??

হটাতই ড্রয়িং রুমের দেয়ালের বিশাল ছবিটার উপরে চোখ পড়লো । বুশরার ভার্সিটিতে থাকার সময়ের ছবি তার কয়েকজন বান্ধবীর সাথে । ছবিটায় দেখা যাচ্ছে, " ওরা প্রবালের উপর বসে আছে । " আর এই ধরণের এত বিপুল সংখ্যক প্রবাল কেবল সেইন্ট-মার্টিনেই পাওয়া সম্ভব । চট করে মাথায় আসলো জিনিসটা । আচ্ছা ওকি এই ছবির কথা বলে নাই তো ??

ভাবনাটা ইয়াসির আর বিথিকে জানাতেই ওরা গিয়ে ছবিটা নামিয়ে আনলো । ছবির পিছনে নিরেট দেয়াল । কোন গুপ্ত দরজা বা কুঠুরি নেই । তাহলে কোথায় গেলো কাগজ ।

আচমকা ভাবনাটা আসলো মাথায় । আচ্ছা ছবির পিছনে কি থাকতে পারে ?? পিছনে হাত দিতেই ফ্রেমটা হাতে লাগলো । ওটা খুলতেই বেড়িয়ে পড়লো একটা সাধারণ খাম । যেটা খুলতেই কয়েকটা কাগজ দেখতে পেলাম । খুব সম্ভব এইটাই ওই হারানো কাগজ । সাথে সাথেই ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে এসে সিউর হয়ে নিলাম । এরপরে ইয়াসিরকে বললাম, " এইবার ফাঁদ পাতার পালা । "
- কেমন ফাঁদ ??
- চলো তুমি আমার সাথে ।
- কোথায় ??
- মেজর জেনারেল শাখাওয়াতের কাছে ।

অফিসে গিয়ে দেখলাম উনি সচিবকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন । আমরাও গেলাম । সেখানে সচিবের মেয়ে প্রান্তিও রয়েছে । আমাকে দেখেই সচিব বললেন, " ধন্যবাদ অফিসার । আপনারা না থাকলে বোধহয় আর বেঁচে থাকা লাগতো না । "
- দিস ইস আওয়ার ডিউটি স্যার ।
- হ্যা জানি ।
প্রান্তি আমাকে জিজ্ঞেস করে, " কাগজের কি খবর ?? ঐটা কি পাওয়া গেছে ?? "
- না তবে অতি শীঘ্রই পাওয়া যাবে ।
- মানে??
- খবর হচ্ছে স্যার আমরা বুঝে গেছি ওইটা বুশরার বাসার একটা প্রবালের ছবির পিছনে আছে । আমরা শাখাওয়াত স্যারকে নিতে আসছিলাম ।

" কি ?? " লাফিয়ে উঠলেন শাখাওয়াত স্যার । " আর ইউ সিরিয়াস ?? "
- ইয়েস স্যার
- দেন লেটস মুভ ।
- ওকে স্যার ।

বের হওয়ার আগে প্রান্তিকে ওর ঘড়িটা ফেরত দিলাম । বললাম, " ফেলে এসেছিলেন এইটা । " একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে ঘড়িটা নিয়ে হাতে পরে বললো, " অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আমার এক প্রিয়জনের দেয়া উপহার । "

হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার আগে বিথিকে একটা কাজ করতে বলে আসলাম । একটু পরেই ও ফোন দিলো, " স্যার আপনার অনুমানই ঠিক । "
- হুম । ফলো কইরো না সাবধান । আমরা জানি ও কোথায় যাবে । তাই ফলো করার কোন দরকার নাই । তুমি সচিবের উপর নজর রাখো ।
- ইয়েস স্যার ।

বেশ খানিক্ষণ পরে পৌঁছে গেলাম বুশরার ফ্ল্যাটে । গিয়ে দেখি ছবির পিছনের জায়গাতে কিছুই নেই । শাখাওয়াত স্যার বললেন, " এইটা কি করে সম্ভব ?? "
- স্যার চিন্তা করবেন না ।
- মানে ??
- আজকেই সব রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে ।

রাত ১২টা । মতিঝিল আর কমলাপুরের সেই নাইট ক্লাবের পিছনের একটা জায়গায় আমরা ঘাপটি মেরে বসে আছি । একটু পরেই এলো একজন লোক ।
মজিদ !! কিছুক্ষণ পরে আসলো আরেকজন । ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার । পুরা শরীর এমনকি মুখ টাও কালো মাস্কে ঢাকা । এসেই একটা খাম বাড়িয়ে দিলো মজিদের দিকে ।
চিনতে পারলাম খামটা । ছবির পিছনে আমি এইটা রেখে এসেছিলাম । ভিতরে কয়েকটা ভুয়া কাগজ ।

এইবার কোন সুযোগ দিবো না । পিস্তল নিয়ে সোজা তাদের ঘাড়ে ঠেকালাম । শাখাওয়াত স্যার গিয়ে দ্বিতীজনের মাস্ক খুলে নিলেন । নিয়েই একটা ধাক্কা খেলেন ।

প্রান্তি !!!
- ইয়েস স্যার এই হচ্ছে আমাদের সিআইডি আর র‍্যাব অফিসারদের খুনি । আর ওনার বাবা হচ্ছেন মেইন কালপ্রিট ।
- তাই তো মনে হচ্ছে ।

গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে । মজিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় আরো অনেকেই । গ্রেফতার করা হয় সচিবকে তার মেয়ের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ।

বারোঃ

পরেরদিন সকাল ১১টার দিকে আমার আর ইয়াসিরের ডাক পড়ে শাখাওয়াত স্যারের রুমে । গিয়ে ঢুকতেই উনি বললেন, " বসো তোমরা । আমার কয়েকটা প্রশ্নের জবাব দাও । "
- জ্বি স্যার বলেন ।
- মজিদ গুলিস্তানে কেন থাকতো ??
- মজিদের মামা বাংলাদেশের নাগরিক । দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে সে এখানে আছে । এখন সে ওই এলাকার মেইন ড্রাগ-ডিলার । মামার কাছে থাকলে তার সুবিধা হতো । তাই সে ওইখানে ছিলো ।
- ওরা কমলাপুরের ওই জায়গাতে আস্তানা করলো কেনো ??
- কারণ ওই জায়গাটাও ড্রাগ-ডিলারদের আস্তানা । আর ওইখানে মজিদের মামার প্রভাব বেশি । ওই এলাকা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পকেটে মাসে একটা বড় পরিমাণ টাকা যায় তাই সেখানে পুলিশের অভিযান বলে কিছু নেই । ওই ড্রাগ-ডিলার, মন্ত্রী আর মজিদের মামাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ।
- সচিব আর প্রান্তি কেন এই কাজ করলো ??
- প্রান্তি ভালোবাসা আর সচিব অর্থের লোভ-লালসার জন্য ।
- প্রান্তিকে সন্দেহ কেন করলে ??
- কারাতে আর উচ্চতার জন্য । আর উদ্ধারের পরে ওদের অবস্থা দেখেও খটকা লেগেছিলো ।
- নিশ্চিত হলে কি করে ??
- যখন সন্দেহ করলাম তখন ওর ব্যাপারে খোঁজ নিলাম অস্ট্রেলিয়াতে । ওর ভার্সিটিতে । ওইখানে জানতে পারলাম পাক-ল্যান্ডের এক ছেলের সাথে ও প্রেম করতো । দুই শত্রু দেশের ২ জনের ভালোবাসার ঘটনা ক্যাম্পাসে ভির-জারার ঘটনার মত হওয়াতে আলোচিত ছিলো । তাই খোঁজ পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি । আর ছেলেটার নাম জানতে পারার পরে সিউর হয়ে গেলাম ।
- ছেলেটার নাম নিশ্চয়ই ইউনূস ??
- হ্যা
- প্রান্তি আর ইউনূস ওরফে মজিদ যে ঐখানে দেখা করবে এইটা কিভাবে জানলে ??
- প্রান্তির ঘড়ি দিয়ে ।
- ঘড়ি !!
- জ্বি স্যার । যখন সন্দেহ করলাম ওর ঘড়িতে ছোট্ট একটা লিসেনিং ডিভাইস লাগিয়ে দিয়েছিলাম । ও বুশরার বাসা থেকে কাগজটা নিয়েই মজিদের সাথে যোগাযোগ করে । এতই উত্তেজিত ছিলো যে ঠান্ডা মাথায় এইটাও ভাবেনি বুশরার বাসা আমরা কেন এইরকম নিরপত্তাহীন করে রাখলাম যখন জানতামই ওইখানে কাগজটা আছে ।
- যুগ্ম-সচিবকে ফাঁসালো কেন ??
- ওটা ঘটনা চক্রে ঘটেছে ।
- আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বুশরা কেন কাগজ সরালো ??
- বুশরার মৃত্যুর সাথে সাথে এইটা চিরদিনই রহস্য হয়ে গেছে । সঠিকটা বলতে পারবো না তবে অনুমান করতে পারি যে ও হয়তো সচিব আর তার মেয়ের কথা শুনে ফেলে কিছু সন্দেহ করেছিল আর যুগ্ম-সচিবকেও বলেনি হয়তো ভরসা পায়নি দেখে । যেকোন কিছুই হতে পারে ।
- প্রান্তি বুশরাকে সন্দেহ করলো কেন ??
- যখন জানলো কাগজটা নকল তখন আমাদের মত ভাবতে ভাবতে বের করে ফেলেছে । ওরা আসলে লুকিয়ে বুশরার বাসায় গিয়ে তল্লাশি করতে গিয়েছিলো কিন্তু ওই সময় হটাত বুশরা চলে আসায় অপহরণ করতে বাধ্য হয় ।
- ওকে কমান্ডার আব্দুল্লাহ আর লে.কর্ণেল ইয়াসির অসাধারণ কাজ দেখিয়েছো তোমরা । এইবার গিয়ে রেস্ট নিতে পারো । গতকয়েকদিন তোমাদের নিশ্চয়ই ঘুম হয়নি??
- জ্বি স্যার ।
- আমারো হয়নি ।
- ওকে স্যার গুড বাই ।
- গুড বাই । গড ব্লেস ইউ ।

রুম থেকে বের হওয়ার পরেই ইয়াসির বললো, " উফ!! মামা শান্তি !! মনে হচ্ছে মাথার উপর থেকে পাহাড় নেমে গেছে । "
আমি কোন উত্তর দিলাম না, মনে মনে বললাম " এইটা একদম আমার মনের কথা । "

( সমাপ্ত )
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×