somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখ

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়ের সরণীতে পেছনে হাঁটতে হবে অনেক, হাঁটতে হাঁটতে ঘুরপাক খেয়ে অশ্রুসজল হওয়া ছাড়া গতি নেই। অশ্রুর ভিড়ে আবার ঠোঁটে মাঝে মাঝে চিলতে হাসিও ফুটে উঠবে জানি আনমনে। জীবনে অনেক লিখেছি, কিন্তু আর কখনো একটা লেখা শুরু করতে এক বছর গড়িমসি করে পার করে দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। কারণটা আলসেমি নয়, বরং স্মৃতির দহন সামলাতে না পারার আতংক। সময়ের পথে হাঁটতে তো আপত্তি নেই, কিন্তু পথটা যে ফুরিয়ে যাবে, পড়ে থাকবে শূন্যতা - আপত্তি সেখানটায়। তবু সেই শূন্যতার ভেতর একটু একটু করে ফুটে উঠতে থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলোর তাড়নাতেই লিখতে বসলাম।

কখন প্রথম দেখা, কিভাবে দেখা, কোথায় দেখা - এই স্মৃতিগুলো দীর্ঘদিনের পরিচয়ের পর এক সময় ঝাপসা হয়ে যায়। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু'র সাথে প্রথম দেখার স্মৃতি আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমি তখন 'পার্টি', তাঁকে রিসিভ করতে হোটেলের লবিতে দাঁড়ানো। এবি বের হলেন, কৈশোরের কিংবদন্তিকে সামনে দেখে কাঁচুমাঁচু আমাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরলেন যেন অনেকদিনের চেনা। তাঁর স্টারডমের মহীরুহকে নিজ থেকেই বনসাই বানিয়ে দিয়েছিলেন আমার সামনে বাচ্চু ভা্ই। এমনই ছিলেন লোকটা, সবার সাথেই। বাচ্চু ভাইয়ের সবচেয়ে বড় গুন ছিল তাঁর ব্যবহার, মানুষকে মানুষ মনে করতে পারার ক্ষমতা। স্টারডম তাঁর ব্যবহারকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। প্রত্যেকের সাথেই তিনি কথা বলতেন দারুণ আন্তরিকতা দিয়ে, এটা তাঁর বিপুল গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম প্রধান কারণ। তিনি বলতেন, "যেদিন তুমি নিজেকে স্টার ভাবা শুরু করে দিয়েছো, সেদিন তুমি শেষ।"

বাচ্চু ভাই আমার বা আমাদের কৈশোরের আইকন। প্রশ্ন আসতে পারে, কেন? কি এমন ছিলেন তিনি আমাদের কাছে? কেনইবা ছিলেন?
আমরা যে সময়টায় বড় হই, তখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস। অডিও ক্যাসেট ইন্ডাস্ট্রির রমরমা সময়, আর তরুণ প্রজন্ম খুঁজে ফিরছিল নিজেদের আত্মপরিচয়। কলকাতায় সুমন চট্টোপাধ্যায় বা নচিকেতা-অঞ্জন একটা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন; আমাদের এখানে সে স্বপ্ন ঠিক আপন করে যেন নিতে চেয়েও আমরা নিতে পারছিলাম না। আমাদের শহরে বাণিজ্যিকায়ণের ফলে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙ্গে ক্ষুদ্র একক পরিবারের সংখ্যা যেমন বাড়ছিল, বেড়ে চলেছিল তাদের আর্থিক সক্ষমতাও। গ্রাম থেকে শহরে আসা বাবা-মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া নব্য শহুরে আমরা যখন মাটির সাথে প্রায় সম্পর্কহীন হয়ে আমাদের প্রজন্মের ভাষা খুঁজে ফিরছিলাম, সেই ভাষা হয়ে এসেছিলেন তিন জন মহীরুহ - একজনের নাম হুমায়ুন আহমেদ, এক জন জেমস, আরেকজনের নাম আইয়ুব বাচ্চু। বিশ্বায়ন, এমটিভি, মাদকের হাতছানি, উন্মাদনা - সব মিলিয়ে বাংলাদেশি ব্যান্ড মিউজিক নব্য মধ্যবিত্ত তরুণদের মনন ও মানস নির্মাণে কত বড় ভূমিকা রেখেছিল, তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাই। ব্যান্ড মিউজিক বা বাচ্চু-জেমস আমাদের পজিটিভলি নষ্ট করেছিল। এর মাঝে আইয়ুব বাচ্চুর ভূমিকাটা বৃহত্তর, কারণ মুরুব্বি সমাজে এদের সবার মধ্যে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ফলে লুকিয়ে চুরিয়ে গান শোনা থেকে আরম্ভ করে টিভিতে ব্যান্ড শো দেখা - একমাত্র এবি'র ক্ষেত্রেই কিছুটা ছাড় পাওয়া যেত। আমি ছোটবেলায় আইয়ুব বাচ্চুর নাম জানতাম 'এলআরবি', নামটা শুনতেই চোখে ভাসতো হ্যাট পরা কালো সানগ্লাসের এবি'র ছবি। পরবর্তীতে এলআরবি হয়তো আইয়ুব বাচ্চু'র ছায়ায় ঢাকা পড়ে তাঁর সাংস্কৃতিক ছাপ হারিয়েছে, কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু তাঁর মৃত্যু অবধি বেঁচে ছিলেন একইভাবে, আমাদের প্রজন্মের প্রতিশব্দ, প্রতিচ্ছবি হিসেবে - এবং অতি অবশ্যই হাতে গিটার নিয়ে। গিটার ছাড়া বাচ্চু ভাইয়ের ছবি আমার কল্পনায় বা স্মৃতিতে ঠিক আসে না।

১৬ই আগস্ট, ১৯৬২। এনায়েতবাজারের হাজীবাড়িতে জন্ম রবিনের, কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন। ব্যবসা ছাড়া আর কোনো কিছুরই অনুমতি নেই। ওই সংসারে থেকেও যেন বোহেমিয়ান রবিন। নয়টা-পাঁচটায় আটকে থাকার মতো ছেলে সে নয়। তাঁর মনে বাজতো অন্য সুর। সংসারে সবার কাছে 'গোল্লায় গেছে' শুনতে শুনতে আর মার খেতে খেতে অতিষ্ট রবিন এক দিন টিভিতে গানের এক অনুষ্ঠানে দেখে ফেলে পপসম্রাট আজম খানকে। আজম খানের পাশে দেখলেন ঝাঁকড়া চুলে বোতাম-খোলা শার্টে এক জন গিটার বাজাচ্ছেন। লোকটার নাম নয়ন মুন্সি। বাংলাদেশের রক আন্দোলনের প্রথম দিকের অসংখ্য কিংবদন্তি গানের মূল গিটারিস্ট ও অনেকের মতে এদেশে জন্মানো সবচেয়ে প্রতিভাবান গিটারবাদক নয়ন কানাডায় এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাত্র ২৭ বছর বয়সেই মারা গিয়েছিলেন। নয়নকে সেদিন গিটার বাজাতে দেখেই রবিন মনে মনে ঠিক করে ফেলেন, তাকে গিটারিস্ট-ই হতে হবে। জীবনে আর কিছু চাইনা তাঁর, শুধু এমনভাবে গিটার বাজাতে চান। লুকিয়ে চট্টগ্রামে 'সংগীত পরিষদ' নামের এক সংগীত বিদ্যালয়ে একবার নিজ থেকেই গিটার শিখতে গিয়েছিলেন। রবিনের বাবা-কাকাদের ভয়ে সেই বিদ্যালয় পর্যন্ত তাকে শেখাতে রাজী হয়নি। ফলে পরিবার তো দূরে থাক, পরিবারের ভয়ে আশপাশের কেউই তাকে সংগীতের ধারে কাছে ঘেঁষতে দিতে চাইতো না। তবে মা নূরজাহান বেগম কিছুটা সমর্থন দিতেন। উনি দেখেও না দেখার ভান করে, মাঝে মাঝে হালকা বকেও সমর্থন দিয়েছিলেন বলেই দুরন্ত বাচ্চু হয়তো প্রাথমিক জীবনে সংগীতের সাথে যুক্ত হতে পেরেছিলেন। রবিন কখনো মুসলিম হাই স্কুলের ক্লাস পালিয়ে, কখনো বা ক্লাস শেষ করে দারোয়ানের কাছে বইপত্র রেখে চৌকির নিচে লুকানো গিটার নিয়ে দৌড় দিতেন। তাঁর মা সবই টের পেতেন, রাতে জিজ্ঞেস করতেন, "কিরে, আজকে কি পড়িয়েছে?" মিথ্যে জবাব দিতেই যথারীতি ধরা, আর মিষ্টি বকুনি। কিন্তু সবই লুকানো থাকতো বাবা'র কাছ থেকে।

বাচ্চু'র শুরুটা ছিল সে সময়ের আরেক গুনী গিটারিস্ট রুডি থমাসের হাত ধরে। রুডিকে 'স্যার' সম্বোধন করতেন, তবে গুরুমুখী বিদ্যার চাইতে স্বশিক্ষার্থী-ই বেশি ছিলেন তিনি। প্রতিদিনই তাঁকে নতুন নতুন গান তুলতে হতো শুনে শুনে। রুডি তাঁকে প্রত্যেক সকালে একেকটা গান তুলতে বলে চলে যেতেন, সন্ধ্যায় এসে দেখতেন ঠিকমতো তোলা হয়েছে কি না।
বাচ্চু নিজেকে বলতেন 'ভাড়াখাটা গিটারের ভাড়াটে প্রেমিক'। গান নয়, বলতেন গিটারই তাকে ঘরছাড়া করেছিল। সত্তরের দশকে তিনি ভাড়ায় গিটার বাজাতে যেতেন, গিটারটাও ভাড়া নিয়ে যেতেন। এক বন্ধুর কাছ থেকে ডিসকো কোম্পানীর এক গিটার দিনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়ায় নিয়ে শো করতেন। ৩০ টাকা ভাড়া দেওয়ার পর আরও ৫০-৬০ টাকা থেকে যেতো, সেটা দিয়েই দিন চালাতেন।
১৯৭০ সালে ৭ম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাবা মোহাম্মদ ইসহাক তাকে প্রথম একটা অ্যাকুস্টিক গিটার কিনে দেন। কে কবে সেই গিটার নিয়ে গেছে, তার কোনো হদিস আর পাননি এবি - কিন্তু প্রায়ই সেই গিটারটার কথা স্মরণ করতেন। আইয়ুব বাচ্চু পরবর্তীতে ৪৫, মতান্তরে ৫২টি গিটারের মালিক ছিলেন, নেশার মতো গিটার কিনতেন তিনি। মৃত্যুর কিছুদিন আগে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিটার কম্পিটিশনে বিজয়ীদের নিজের দু'টি গিটার উপহার দিয়েছিলেন তিনি, বাকি গিটারগুলো এখন তাঁর স্ত্রী'র কাছেই সংরক্ষিত আছে, কি হবে সেগুলোর ভবিষ্যত তা কেবল ঈশ্বর জানেন।

নিজেও একসময় গাইতে চেষ্টা করলেন, স্কুলে পড়াকালীন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। ওয়েস্টার্ন মিউজিক ভালো লাগতো - জিমি হেনড্রিক্স, সান্টানা, রিচি ব্ল্যাকমোর, ডেভিড গিলমোররা হয়ে ওঠেন অনুপ্রেরণার উৎস। কলেজে থাকতে প্রথম ব্যান্ড গড়েন 'গোল্ডেন বয়েজ', পরে নাম পাল্টিয়ে রাখা হলো 'আগলি বয়েজ'। বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর নানা ছোটখাটো অনুষ্ঠানে গান করেই চলতো এই ব্যান্ডের কার্যক্রম। এরপর 'ব্যান্ড ৭৭', সাথে ছিলেন আরেক জনপ্রিয় শিল্পী কুমার বিশ্বজিত। এই দুজন ছিলেন বহু পুরোনো বন্ধু, সুখ-দুঃখের সাথী। ৪১ বছরের একত্রে পথচলা তাদের, মাঝে দুজন দুই ধারাতে চলে গেলেও বন্ধন কখনো ভাঙ্গেনি তাদের। সে আমলে মিউজিক করার প্রধান ক্ষেত্রই ছিল বিয়েবাড়ি। বাচ্চু ও বিশ্বজিত বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন লাইনআপে চট্টগ্রাম শহরের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে সুন্নাতে খতনা/গায়ে হলুদ/বিয়েবাড়িতে 'খ্যাপ' মারেননি। বাস ভর্তি করে মেহমান আসতো বিয়েবাড়িতে, ঘুমানোর জায়গা না থাকায় গান দিয়েই তাদের সারা রাত জাগিয়ে রাখতে হতো। গাইতে হতো আগেরদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত। কারো অনুরোধ মান্না দে, কারো মোহাম্মদ রফি, কারো হয়তো বা কোনো চটুল গান - এসবের ভিড়ে কারও করা কোনো ফরমায়েশি গান যদি ছুটে যায় তবেই শেষ - পেমেন্ট বন্ধ। রাতের পর রাত গান গেয়ে পরদিন সকালে এক টাকাও না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে, এমন উদাহরণ এনাদের জীবনে ভুরিভুরি। ঢাকায় অডিশন দিতে এসে পয়সার অভাবে মাটিতে পড়ে যাওয়া রুটি-ভাজি তুলে ভাগ করে খেয়ে নেয়ার মতো গল্পও আছে এনাদের জীবনে।
১৯৭৮ সালে দুজন মিলেই চলে আসেন 'ফিলিংস'-এ, নেতৃত্বে ছিলেন রূডি থমাস। এই ফিলিংস আদতে জেমস-এর ফিলিংস হলেও সে সময় জেমস সদস্য ছিলেন না। জেমস মূলত বাচ্চু ভাইদের ঠিক পরের জেনারেশনের সদস্য, বাচ্চু ভাইরা সোলস-এ যাবার পর যখন ফিলিংস বন্ধ হতে চলেছে, জেমস সেখানে প্রথম গিটারিস্ট হিসাবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে পারষ্পরিক মনোমালিন্যে ফিলিংস-এর কার্যক্রম স্থগিত হয়, কিন্তু বাচ্চু মনোবল হারাননি। ১৯৮০ সালেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড হিসেবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের সোলস (আদি নাম সুরেলা), তাঁদের 'সুপার সোলস' নামক মেলো ও ফোক ভিত্তিক অ্যালবামের মাধ্যমে। রূডি থমাস আর বন্ধু পিলু খানের ডাকে সেখানে গিটারিস্ট সাজিদের পরিবর্তে ১৯৮২-তে যোগ দেন বাচ্চু। রনি, নেওয়াজ, লুলু, নকীব খান আর তপন চৌধুরীর সোলস সহজেই আপন করে নেন তাঁকে। শুরু হয় ব্যান্ডটির সাথে আইয়ুব বাচ্চুর প্রায় ১০ বছরের যাত্রা।
বন্ধু বিশ্বজিৎ ততদিনে ব্যান্ড ছেড়ে সোলো ক্যারিয়ারে মনোযোগী, ঢাকায় নিয়মিত সংগ্রাম করে বেড়াচ্ছেন প্রতিষ্ঠা পেতে। ফলে বাচ্চুরও যাওয়া-আসা লেগেই থাকতো ঢাকায়। বিশ্বজিৎ ৮৬ সালের দিকে সোলসেরই গান 'তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে' নিজের মতো করে গেয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েও যান। আইয়ুব বাচ্চু লিড গিটারিস্ট ছিলেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটাই এমন যে, গায়ক ছাড়া আর কাউকে আসলে মানুষ চেনে না, মূল্যায়নও সেভাবে করতে জানে না। ফলে এবি'র মনে গান গাইবার শখও হয়তো হয়েছিল। কিন্তু সোলসের মতো ব্যান্ডে যেখানে এত বাঘা বাঘা গায়ক ছিল, সেখানে লিড গিটারিস্ট বাচ্চু-কে হয়তো দু একটা গান কনসার্টে গাইতে দেওয়া হতো। শুনেছি সে সময় বাচ্চু ভাইয়ের ভোকাল টোন সুন্দর ছিল না, রেঞ্জও খুব একটা জাতের না, ভাইব্রেটো (কম্পন) ধরে রাখতে পারতেন না। অর্থাৎ কোনো সূত্রেই এবি গায়কের পর্যায়ে পড়তেন না। যারা সে সময়কার কনসার্টগুলোতে যেতেন, তাদের একটা হাস্যরসের আলাপ ছিল, "অই সা, বাচ্চুইয়া আজিয়াও গান গাইবার লাই উইট্যে।" সোলসে আইযুব বাচ্চু প্রথম কন্ঠ দেন শহীদ মাহমুদ জংগী'র লেখা 'হারানো বিকেলের গল্প' গানে। যিনি পরবর্তীতে বাচ্চুর মেগা হিট 'একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে'ও লিখে দিয়েছিলেন।
কিন্তু কি অদ্ভুতভাবে সেই একই 'অ-গায়ক' আইয়ুব বাচ্চু বাংলা ব্যান্ড ইতিহাসের সবচেয়ে অনন্যসাধারন গানগুলো গেয়েছেন পরবর্তীতে। এই উত্তরণে কিন্তু ঈশ্বর-প্রদত্ত কিছু নেই, বরং রয়েছে স্রেফ এবং স্রেফ সাধনা ও অধ্যবসায়। গায়ক হিসেবে এক জন মিডিওকারের ক্রমাগত নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে কিংবদন্তী হয়ে ওঠার উজ্জ্বলতম উদাহরণের নাম আইয়ুব বাচ্চু। ....to be continued...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×