
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবি অযৌক্তিক;
যেকোনো ফল পেঁকে গেলে খেতে মজা, বেশি পাকলে নষ্ট হয়ে যায়।
দাবি মেনে নিলে ২৫ বছর বয়সের তরুণদের বেকারত্ব বাড়বে, ৩৫ বছর বয়সীরা চাকরি পাবে। নতুন চাকরি প্রাপ্তির সীমা ৩০ করা হোক। সরকার ১০০% চাকুরী প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিক নয়তো একজন ২৫ অন্যজন ৩০ এক পদের বিপরীতে ইন্টারভিউ দিবে প্রতিষ্ঠান কিন্তু কম টাকায় ৩৫ বছর বয়সী কে প্রাধান্য দিবে কারণ বয়সের একটা অজুহাত আছে, আছে মৌন্য প্রাধান্য "সে বড় তোমার থেকে কাজটা ভালো পারবে টাকাও তোমার থেকে কম নিবে" তাই নয় কি?
একজন ৩৫ বয়সে সরকারি চাকরির আশায় ১০ বছর কাটিয়েছে ঘুরেফিরে ধরে নিলাম বই পড়েই। উনারা প্রাইভেট চাকরি করবে না, তাদের কথায় অন্য চাকুরি ভালো না লাগা বর্তমান। তাদের শুধুমাত্র সরকারি চাকরি চাই-ই-চাই! ভাই ঘুষ খাওয়া ছাড়া সরকারি চাকরির বিশেষ সুবিধা নাই। সম্মানজনক ভাবে কয়জন সরকারি চাকরি করে তা হাতে গণনা করা যায়। সরকারি চাকরির ঝোঁক বেশি কারণ, সরকারি স্কুলের সিংহভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বসে বসে ঝিমিয়ে দিন কাটায়, হালকা ক্লাস করে মাস শেষে বেতন তুলে। আর্মি, নৌ, বিমানবাহিনী ডিসিপ্লিন মানলেও অন্য বাহিনীর বেশিভাগ লোক দায়সাড়া কাজ করে দিনের-রাতের হিসাব দেন। সরকারি অফিসে কল টাইম ১০ টায় ১১ টায় প্রবেশ করলেও তেমন সমস্যা নাই, ইচ্ছে মত ছুটি ও ট্যুর দেওয়া যায়। কাজে মন না দিলেও চলে, ৫ মিনিটের কাজ সরকারি অফিস-ব্যাংকে ৩-৫ ঘন্টা লাগে। (চাকরিজীবিদের আরাম আর আরাম)
হোক সেটা প্রাইভেট কিংবা সরকারি চাকরি,
"হালাল আয়ে টাকা কম তবে বরকতময় জীবন যাপন করা যায়"
"প্রাইভেট চাকরির অনিশ্চয়তা থাকলেও, ৫ জন সরকারি চাকরিজীবির বেতন একটা নিদিষ্ট সময় পর একাই পাওয়া যায়" ১০০k*৫=৫০০k/= (একজন)
এদেশে বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়েছে, ৩৫ দাবি মেনে নিলে ৩৫ চাকরি ৪০ এ বিয়ে। এর আগে কেউ বিয়ে করতে চাইবে না বা বিয়ে দিবে না। গড় আয়ু ৭২ বছর এখন কেউ পারবেন ১২০ বছরে উন্নিত করতে? আল্লাহ ছাড়া কারো সাধ্য নাই। রিজিক আল্লাহর দান। আল্লাহর নামে কাজে লেগে যান।
৩৫ বয়সের কাছাকাছি লোকদের বলবো প্রাইভেটে চাকরি করেন বা ছোট চাকরি করেন পাশাপাশি লেখাপড়া করেন সরকারি চাকরি হলে হলো না হলে নাই। প্রাইভেট থেকে অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে একদিন C-Suite চলে যাবেন কর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান হলে। তবে, কেনো ভাই-বোনেরা ৩৫ - ৩৫ স্লোগান দিতে হবে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


