অবাক করা আগামী ডাকছিল, মন আনন্দে নাচছিল।
"ইচ্ছে করে ঘুরে আসি খুব দূরে নয় পাশের দেশে।
লেখাপড়া সাঙ্গ হলো, কাজের ভীড়ে বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়ার আগেই।
সবাই মিলে স্মৃতিরপাতায় ধরে রাখি হিমলয় কন্যার পাদদেশে ঘুরেই।"
"অনেকদিনের প্রেমের খেলা সাঙ্গ হলো।
আলুপটল হিসাব শুরু হবে, এবার ভালোবাসার সংসারে।
শুরুর আগে আনন্দময় মধুচন্দ্রিমা- দুজন মিলে শুধু দুজনের ভিতর
ভালোলাগায় হারাই চল শেষবারেরই মতন।
দিগন্তে দৃষ্টিমেলে প্রকৃতির মায়ার টানে প্রেমের জালে জড়াই।"
"কাজের ভীড়ে ক্লান্ত মন। ইচ্ছে হলো একাকী পালাই, সবাই ভাবুক হরিয়ে গেছি
শুধুই একা নিঃমগ্ন হই পাহাড় কন্যার ভুবন ভুলানো রূপে।"
"এ জীবনে যাওয়া হলো না কোথাও আমার পোড়া কপাল
কেমন এক সংসার ঘানি টানছি অবিরত।
আচ্ছা এবার তোমার আশা পুরন হবে। তিনজন মিলে নেপাল চলো
ঘুরেই আসি ক'দিন শুধু আমরা ক'জন একা হয়ে।"
কাজ সেরে ফিরছিল পরবাসের পাট চুকিয়ে ঘরের ছেলে ঘরে
এমনি তরো ভাবনা নিয়ে একাত্তর জন মানুষ ঢুকে
পাখির মতন বলাকাটির পেটে।
উড়ছিল বেশ ছন্দ নিয়ে নিয়ম মতন পাখির ডানায়।
ভালোলাগার হাতছানীতে যাত্রী সবাই যখন ভাসছে সুখে
অনেক রঙিন স্বপ্ন বুনে আনন্দ আর প্রত্যাশার সুখের ছোঁয়ায়
চলছিল যাত্রী সব যাত্রা ছিল সুখের ঠিকানা খুঁজে।
ঝড় বৃষ্টি বাতাস ফুরে পাল্লা দিয়ে চলছিল বলাকাটি তবু মাটি ছূঁবে বলে।
কেউ জানে না মৃত্যুদূত তখন আপনমনে দাঁড়িয়ে ছিল নীচে
ধরিয়ে দিল আগুন এক নিমিশে করতে সাবার
টিকেট কাটা সবার বুকে সিল লাগিয়ে দিতে ।
সব পেরিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে হঠাৎ কেন শখ হলো তার অন্য সীমায় পারি দেয়ার
ভাবছে সবাই কেউ জানে না মরীচিকার মায়া কাঁদায়
এখন বিষাদ আপনজনের মনে।
সারাদেশের মানুষ ভাসে শোকের পাহাড় বুকে।
মৃত্যুদূত ছিনিয়ে নিল ইচ্ছে মতন
অন্য লোকে তারার মাঝে হারিয়ে গেল ভালোবাসার আপনজন।
যেমন ছিল ভাগ্যলেখা ষে ঠিকানা তার হাতটি ধরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:০২