somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

স্বাধীনতাকামী মানুষ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু দিন ধরে দেখছি হংকংয়ের মানুষের প্রতিবাদ। সতেরো সপ্তাহ ধরে রাস্তায় চলছে দাবী আদায়ের প্রতিবাদ। অধিবাসিদের উপর শাসক শ্রেণীর বৈষম্যমূলক আচরণ। এক শাসকের দুই রকম আচার ব্যবহার হংকং আর চীনের বাসিন্দাদের জন্য।
ব্রিটিশ পৃথিবী জুড়ে মানুষের ভূমি অধিকার করে নিয়ে, বিভিন্ন দেশ ব্রিটিশ শাসনের আওতায় নিয়ে নিজেদের অধিকার স্থাপন করেছিল এক সময়ে। এক পর্যায়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্য।
কথা ছিল ব্রিটিশ রাজ্যে, সূর্য ডুবে না। কিন্তু সেই সূর্য না ডুবা রাজ্যে, কত কান্না, কত রক্ত, মৃত্যু, কষ্ট মিশে ছিল নিজের মতন বাঁচার জন্য দখল করা দেশগুলোতে, সে হিসাব তেমন কোন শব্দে প্রচলিত নেই। কিন্তু অনেক মানুষ ব্রিটিশদের শাসন তাদের দ্বারা অধিকৃত হওয়া মেনে নেয়নি, ক্রমাগত বিরোধীতা করে গেছে। অভিন্ন ভারতে, বাংলা, পাঞ্জাবের মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে বেশি প্রতিবাদ করার কারণে। অথচ এই ব্রিটিশদের শাসন করার সুযোগও দিয়েছে অধিকৃত দেশের মানুষরাই, তাদের সাথে হাত মিলিয়ে। তাদের সহযোগীতা করে।
একক শাসক হয়ে সমস্ত মাখন লুটে নিয়েছে সব দেশ থেকে ব্রিটিশরা।
ব্রিটেনের মানসিকতা আমার মনে হয় যখন যা পাবে, সব কিছু নিজের করে রাখতে চায়। যখন কোন কিছু ব্রিটেনের, তার উপর একশ ভাগ অধিকার, আধিপত্য এবং কর্তৃত্বের চর্চা রাখতে চায়। কিন্তু যখন সব দখলে রাখা সম্ভব হয় না তখন তারা একাই থাকতে চায়। ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথেও এখন এক থাকতে নারাজ ব্রিটেন। নিজেদের নিয়ে একা থাকার এই ডির্ভোসের জন্য ইউরোপীয় দেশ গুলোকে যে বিশাল ছত্রিশ বিলিয়ন পরিমাণ অর্থ দিতে হবে সে জায়গায় চলছে দর কষাকষি। প্রধানমন্ত্রী বদল হচ্ছে একজনের পর আরেক জন। নিজের দেশেই ভিন্ন মত দেখতে পাচ্ছে ব্রিটেন সরকার এখন। সময় এখন অনেক বদলে গেছে এটা ব্রিটেনের শাসকদের বোঝা উচিত। সাধারনের সাথে চলা পুত্র বধুকেও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পারে নিজেদের আভিজাত্য বজায় রাখতে। সে অবস্থা আর নেই।
আমেরিকা প্রথম উপনিবেশ, মুক্ত হয় ব্রিটেন থেকে ১৭৭৬ সালে এবং এরপরে আরও ৫৯ টি অঞ্চল ব্রিটিশ সম্রাজ্য থেকে স্বাধীন দেশে পরিণত হয়েছে। অনেক দেশ যুদ্ধ প্রতিবাদ না করেই স্বাধীনতা পেয়ে গেছে ব্রিটিশ সম্রাজ্য থেকে। এইসব অনেক দেশ এখনো ব্রিটেনের রানীকে প্রভু মান্য করে চলে, কেন যে!
নিজের অধিকারে রাখতে না পেরে এক সময় দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থানের সাথে, সাংস্কৃতিক নানা সংমিশ্রণ ঘটিয়ে, একটা ঘোল বানিয়ে ছেড়ে গেছে দেশ গুলো ব্রিটিশ শাসক দল। এক দেশের মানুষের শাসন ক্ষমতা দিয়ে গেছে অন্য দেশের কাছে। ভাবেনি গণমানুষের কথা, জীবন যাপন, ইতিহাস সংস্কৃতির বিষয়ে। আদি অকৃত্তমতার মাঝে ঠাই পেয়েছে নানা রকম বৈষম্য, মিশ্রণ। অনেক জাতি সেটা মানতে পারেনি। এখন পর্যন্ত তার প্রতিবাদ চলছে। তারই আন্দোলন এখন চরম আকার ধারন করেছে হংকং এ।
অভিন্ন ভারতকে এক সময় ধর্মের নামে ভাগ করে দিয়ে চলে যায় ব্রিটিশ। হাজার হাজার বছর ধরে এক সাথে যাপিত জীবনের ইতিহাস ভুলে মানুষের মনে ধর্মের নামে বিদ্বেসের বিষ ছড়িয়ে পরে। এখনও সে বিষ, সে ভুলকে স্বযত্নে লালন করে বহু মানুষ।
কি কারনে যেন ক্ষুদ্র স্বার্থপর গোষ্টি, সব সময় সুযোগ পেয়ে যায় বিশাল জনগনের চাওয়ার উপরে সব সময়। নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু মানুষের ইচ্ছায়, অগনিত মানুষের জীবন নির্ধারিত হয়ে যায় দেশ ভাগাভাগির মধ্যে দিয়ে।
বয়ে যায় রক্ত নদী, ধর্মের বিদ্বেশে। উচ্ছেদ হয় কত মানুষ নিজেস্ব ভূমি থেকে। সারা জীবন অন্য দেশে বাস করেও কখনো সে দেশকে নিজের দেশ ভাবতে পারে না অনেক মানুষ। অথচ তারা সে দেশের নাগরিক হয়ে যায় ধর্মের কারণে।
যারা জোড় করে পরে থাকে, পিতামহের ভিটা আঁকড়ে তাদের বংশধর নিগৃহিত হয় এখনও নানা স্বার্থপর মানুষের কাছে। কাশ্মীর নামের ভূখণ্ডটিকে নিজেস্ব স্বাধীনতা না দিয়ে, ভাগের মাঝে রেখে যায় ব্রিটিশ নিজের আনন্দে কিছু স্বার্থপর মানুষের ক্ষুদ্র স্বার্থ চিন্তায়। তার করুণ পরিনতি বয়ে যাচ্ছে অস্থিরতা, আজো কাশ্মীরকে নিয়ে টানাটানি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাপন করছে অস্থির জীবন। সাধারন মানুষের কখনো শান্তি নেই এই সব রাজা রাজরাদের খেলায়।
পাকিস্থানের সাথে থাকা বাংলাদেশের মানুষের উপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ ছিল। তার প্রতিবাদ করে, নিজের জীবনের অধিকাংশ সময় জেলে, জুলুমে কাটিয়ে একজন মানুষ বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাথা উঁচু করে। বুঝিয়েছিলেন মানুষকে নিজেস্ব একটা স্বাধীন দেশের প্রয়োজনীয়তা।
গর্ব অনুভব করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতন একজন নেতা বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছিল। যারা অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানিদের সব ষড়যন্ত্র, সব কৌশল সব নির্যাতনকে উপেক্ষা করে মুক্ত করতে পেরেছিল দেশকে পাকিস্থানের কবল থেকে।
কিন্তু কাশ্মীর, হংকং, প্যালেস্টাইনের মানুষ আজও ভূমি ফিরে পাওয়ার, জাতী সত্তায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছে।
১৮৩৯ সালে ব্রিটেন, আক্রমণ করে অধিকার করে নেয় চীন। এই সময় দক্ষিণ-পূর্ব চীন উপকূলে খুব অল্প জনবসতিপূর্ণ দ্বীপটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্রিটেনের। এই দ্বীপটিই হংকং। ব্রিটেনের নতুন উপনিবেশ পূর্ব-পশ্চিম বাণিজ্য কেন্দ্র এবং দক্ষিণ চীনের বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার ও বিতরণ কেন্দ্র হিসাবে উন্নত হয়েছিল হংকং। অনেক কাল ভোগ দখলের পর ১৫০ বছর পর ব্রিটেন, হংকংকে চীনের দখলে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়।
পহেলা জুলাই ১৮৯৮, ব্রিটেন হংকং উপনিবেশ উপর পিকিং দ্বিতীয় কনভেনশন অধীনে অতিরিক্ত নিরানব্বই বছরের শাসন মঞ্জুর করে ছিল। হংকং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত জাপানিদের দখলে ছিল, তবে বিশ শতকের বিভিন্ন চীনা রাজনৈতিক উত্থান জুড়ে ছিল তাদের অধিনে। আলাদা জাতি স্বত্তা হয়েও এই পর্যন্ত নিজেদের স্বাধীন স্বত্তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি হংকংএর মানুষকে।
ব্রিটিশরা হংকংকে ছেড়ে গেলেও চীনের কাছে ইজারা দিয়ে যায় হংকংয়ের মানুষের ভাগ্য একশ বছরের জন্য।
ব্রিটিশের সায়ত্ত শাসন থেকে মুক্ত হলেও চীনের অধিনস্ত হয়ে যায়। হংকংয়ের সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয় চীনাদের শাসনে । নিজেদের অধিকার নিয়ে তারা চলতে পারে না।
বেইজিংয়ের হল অব দ্য পিপল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এবং চীনা প্রধানমন্ত্রী ঝাও জিয়াং হংকংকে, চীনে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিনিময়ে তার পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ৫০ বছরের বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়।
হংকংবাসীর নিজেস্ব কোন মতামত না নিয়ে তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করে চীন এবং ব্রিটিশ মিলে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলছে স্বাধীনতাহীন বাঁচা।
১৯৮৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বহু বছরের আলোচনার পরে, ব্রিটিশ এবং চীনা নেতারা চীনের কমিউনিস্ট সরকার একদেশ, দুই শাসন ব্যবস্থা, নীতি গঠনের বিনিময়ে ১৯৯৭ সালে উপনিবেশের টার্নওভারকে অনুমোদনের একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এই চুক্তিটিকে, এই অঞ্চলের জীবন, আংলো-চীন সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী চিহ্ন বলে অভিহিত করেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল হু ইয়াওবাং এই স্বাক্ষরটিকে, একটি লাল চিঠি দিবস বলেন। চীনের এক বিলিয়ন মানুষের বিশাল আনন্দের উপলক্ষ ছিল এই দিন। অথচ হংকংবাসীর জন্য নির্ধারিত হয় দুই রকমের শাসন যা দিয়ে তাদের শাসন এবং শোষণ করা হবে। আরো অনেক বছরের জন্য আটকা পরে যায় তারা।
বেশি দিন আগে নয় ১৯৯৭ সালের পহেলা জুলাই মধ্যরাতে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স চার্লস, চীনা রাষ্ট্রপতি জিয়াং জেমিন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট মেডেলিন আলব্রাইট সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একটি অনুষ্ঠানে হংকংকে শান্তিপূর্ণভাবে চীনকে হস্তান্তর করা হয়। হংকংয়ের কয়েক হাজার নাগরিক এই টার্নওভারটির প্রতিবাদ করেছিলেন।
এ ছাড়া সব পরিবর্তন উদযাপন শান্তিপূর্ণ ছিল।
হংকংয়ের নতুন সরকারের প্রধান নির্বাহী তুং চি হাওয়া একটি দেশ, দুটি সিস্টেমের ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি নীতিমালা তৈরি করেছিলেন, এইভাবে হংকংয়ের প্রধান পুঁজিবাদী কেন্দ্র হিসাবে ভূমিকা রক্ষা করেছিল এই পর্যন্ত। এবছর হংকং সরকার বিরোধী এবং গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে যা এখন পর্যন্ত সতের সপ্তাহ ব্যাপী চলছে, মূল ভূখণ্ড চীনকে প্রত্যর্পণের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এই সাধারন গনমানুষের আন্দোলন চলছে।
এক শাসক কিন্তু দুই দেশে দুই রকম নিয়ম শাসনের। সব কিছুতে বঞ্চিত হংকং বাসী।
আমার কাছে মনে হয় পাকিস্থানী মনোভাব,হংকংবাসীদের জন্য চীনের শাসকদের । যা নির্ধারন করে গেছে ব্রিটিশ প্রভুরা হংকং বাসীর ভাগ্য নিয়ন্তা হয়ে।
নতুন প্রজন্ম মাত্র বাইশ বছর বয়সের জোশুয়া ওয়াং প্রতিবাদ শুরু করে প্রত্যপর্ণ বিল পাশ হওয়ার সুুত্র ধরে। এই বিল পাশ হলে, হংকংয়ের অধিবাসীকে প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, চীন চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে হংকং থেকে নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে।
লাখ দশেক হংকংবাসী নেমে আসে পথে। রাস্তা বন্ধ করে বসে থাকে দিনের পর দিন। জোশুয়া ওয়াংয়ের প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাথে মিলেছে। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কেরি লামর পদত্যাগ করার আহ্বান ।
পদত্যাগের প্রস্তাবকে অস্বীকার করে, কেরি ল্যাম চাকরিতে থাকতে চান! জাতীয় মুক্তির চেয়ে চাকরি গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে ।
দিনে দিনে হংকংবাসী চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হবার ঘোষনাই দিচ্ছে। তারা বলছে এবার না পারলে আর হবে না কোনদিন। এবার স্বাধীনতা আদায় করতেই হবে ।
হংকংবাসী চায় নিজেদের স্বাধীন একটি দেশ। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সত্তর বছর পূর্তিকে সামনে রেখে এই আন্দোলন তারা শুরু করেছিল। সত্তর বছরের বার্ষিকি পালনের আগেই তাদের দাবীগুলো আদায় করতে চেয়েছিল। তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে চায় চীনের শাসন কবল থেকে। প্রতিবাদ শান্তি পূর্ণ ভাবে জনগন রাস্তায় নেমে করতে থাকে। ওদের প্রতিবাদটা ওরা পৌঁছে দিতে চায় শাসকের কানে। পৃথিবীর মানুষের কাছে। ওদের নিরঅস্ত্র প্রতিবাদ শান্তি পূর্ণ চাওয়া দমন করেতে সাধারন খালী হাতের জনগনের বিপক্ষে অস্ত্র সজ্জিত পুলিশ নামে। টিয়ার গ্যাস, বুলেট গুলি, লাটি চার্জ, জল কামান,ধর পাকড় চলছে। যে ভাবে সব দেশেই শাসক শ্রেণী দাবী না মেনে দাবীয়ে রাখতে চায় জনগণকে।
জনগণ সমঅধিকারে দাবী করছে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবী তুলছে অথচ হংকংয়ের পুতুল সরকার চীনের আদেশ অমান্য করতে পারে না। বরঞ্চ নিজেদের মুক্তি কামী জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। নিজেরাই ধরপাকড় করে মারে, কারা বন্দী করছে আন্দোলনকারীদের।
সময় প্রেক্ষাপট আন্দোলন ভিন্ন। কিন্তু মুক্তি চাওয়াটা ঠিক একই রকম।
আন্দোলনরত মানুষগুলো নির্যাতিত হচ্ছে একটি মেয়ের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই মারাত্মক ভাবে আহত হচ্ছে। কিন্তু তারপরও রাস্তায় লক্ষ লক্ষ জনতা। প্রধান আন্দেলনের ডাক দেয়া নেতাকে বন্দী করা হয়েছে। থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা মুক্তি আন্দোলন। চীন সরকার, গম্ভীর নিরব । যেন ভোট্ট, ইয়াহিয়ার মতন মনে হচ্ছে আমার কাছে। মানুষের উপর অধিকার ভূমির উপর অধিকার কেউ সহজে ছেড়ে দিতে চায় না।
আজ সত্তর বছরের অনুষ্ঠান পালন করছে চীন জাকজমক ভাবে আর হংককংয়ের আন্দোলনকারীর মাত্র আঠার বছর বয়সের একজন গুলি বিদ্ধ হয়েছে এই দিনে। তারা এখনও আশায় আছে নিজেদের দাবী আদায় করার, এখনো রাজপথে।
কাশ্মীরের মানুষ, হংকংয়ের মানুষ নিজেদের স্বাধীন ভূখণ্ডে নিজেদের মতন জীবন যাপন করার সুযোগ পাক । অনেক স্বপ্ন অনেক রক্ত ক্ষয় হওয়ার পরও তাদের নিজস্ব অধিকার নিয়ে হাসুক তারা।



সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×