somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

আড্ডাবাজী

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাঁচজন মানুষ একসাথে পাশাপাশি বসে মোবাইলে চোখ দিয়ে আছেন। অথচ তারা এক সাথে আড্ডা দিতে এসেছেন।
দুচারটা কথা শেষে আবার মোবাইলে মনোযোগী। আসেন সবাই হাসেন সেলফি তুলি।
সবগুলো মুখ ঠাসাঠাসি করে সেট করা হয় মোবাইলের স্ক্রিনে। কেউ তখনই সেলফি পোষ্ট করে ফেলেন। কেউ অপেক্ষা করেন বাড়ি গিয়ে পোষ্ট করার। টুংটাং শব্দ ভাসে। মোবাইল খুলে দেখেন কমেন্ট পরেছে। মন্তব্যের উত্তর দিতে ব্যস্ত হন। অন্যরা মোবালের বাতি জ্বেলে স্ক্রল করে চলেন টাইম লাইন, হাসেন আপন মনে অথবা ভ্রু কুচকে উঠে টাইম লাইনের লেখা দেখে। কাছের বন্ধুদের চেয়ে বায়বীও বন্ধুদের কথাবার্তা মনেযোগ বেশী আকর্ষণ করে।
আলো আঁধারির চাইনিজ রেস্তরার ছোট টেবিলের উপর ঝুলে থাকা লাল বাতিটি নীল আলোর সংমিশ্রণে অন্যরকম হয়ে উঠে। প্রত্যেকের মুখে নীলাভ আলো চকচক করছে। চোখের তারায় মোবাইল ফোনের স্ক্রীনের রিফ্লেকশন। এক একজনের মনে এক একরকম অনুভূতি ফেসবুকের নানা রঙের পোষ্টগুলো দেখে।
ওয়েটার খাবারের ওর্ডার নেয়ার অপেক্ষা করে। কে কি বলবেন খাবেন এখনো ঠিক করে উঠতে পারেননি। এখনো খাবারের লিষ্ট দেখেননি।
অপেক্ষায় আছেন অন্য বন্ধুরা বলুক। ততক্ষণ আরেকটু ভার্চুয়াল জগতের সাথে কথা হোক।
ওয়েটার অপেক্ষায় আছে।
একজন হেসে উঠলেন দেখেন আমাদের এই মিলনের ছবিটি এখনই একশ লাইক পেয়ে গেছে। আমাদের এই আনন্দ মূহুর্ত অনেকে হিংসা করছেন।
তাই নাকি দেখি কি মন্তব্য করেছে। আগ্রহী হয়ে মোবাইলে চোখ রাখেন আর চারজন।
অতঃপর খাবারের ওর্ডার করেন। যা খাবেন না তাও ওর্ডার করেন। খাবার এলে টেবিল ভর্তি খাবারের ছবি তুলে পোষ্ট দেওয়ার প্রতিযোগীতা শুরু হয়। এক সাথে এবং আলাদা ভাবে প্রতিটি ডিসের ছবি মোবাইল বন্দি করা হয়।
ওয়েটারকে ডেকে বন্ধুদের সাথে খাওয়ার ছবি তোলা হয়। পাঁচজনের পাঁচটি মোবাইল থেকে এবং একজনের ডিএসএলআর ক্যামেরা থেকেও একই ছবি বারেবারে তুলে দিতে হয় ওয়েটারকে নানা এঙ্গেলে।
খাওয়া শেষে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন এঙ্গেলে চাইনিজ রেস্তরার সুদৃশ্য ডেকোরেশনের সাথেও ছবি তোলা হয়। অতপর তারা বেড়িয়ে পরেন বাড়ির পথে। যেতে যেতে সবাই প্রায় একই রকম স্ট্যাটাস দেন অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দারুণ একটা সময় কাটালাম।


সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×