somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

আধুনিক পৃথিবীর আতংক

০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বন্ধু রাজকুমার একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। করোনা ভাইরাস প্রটেকশনের জন্য সহজ পদ্ধতির মাস্ক তৈরি এবং ব্যবহার। ভিডিও দেখে একটা মাস্ক বানিয়ে পরলাম। ইচ্ছে হলে আমি অন্য রকম
মাস্কও পরতে পারি। অন্য মাস্ক কিছু কাজ করার জন্য পরতে হয় তাই বাড়িতে মজুদ আছে। মেডিক্যাল মাস্ক কিছু কিনব মনে করে সময় যাচ্ছে দোকানে যাওয়া হয়নি। হবেও না আর। সার্সের সময় পরতে হয়েছিল তখন আমি একটা হাসপাতালে কাজ করতাম। বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিদিন চেক করে দরজার ভিতর ঢুকতে দেয়া হতো। আর যতক্ষণ কাজে থাকতাম মুখ মাস্কে ঢেকে রাখতে হতো। কঠিন লাগত সময়টা।
মাস্ক ব্যবহার আমার অসহ্য লাগে। নমস্য সেইসব মানুষদের যারা দিন রাত্রী কাজ করছেন প্রটেক্টেড মাস্কসহ নানা রকম পোশাক পরে করোনা ভাইরাসের রোগীদের সাথে।
মাস্ক পরে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা খুব সম্ভব নয়। যতক্ষণ না সারাক্ষন মুখে হাত দেয়ার বদ অভ্যাসটা ত্যাগ না করা হচ্ছে। বারোবারে হাত ধোয়া। বাইরে গেলে সাবান পানি থাকে না।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার লিকুয়িড সাথে রাখা জরুরী। অন্যদের স্পর্শ করা জিনিস টাচ করার পর মুখে হাত দিলে নাক, চোখ, মুখ দিয়ে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।পাবলিক প্লেসের দরজা ট্রেন বাসের সিট রেস্টুরেন্ট অফিসের চেয়ার টেবিল,বাথরুমের হাতল, ফ্লাসের হাতল, জগ, প্লাট, কাপ ইত্যাদি কোন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি ভাইরাসসহ হাত রেখে ছিলেন কারো পক্ষে জানা সম্ভব না। তাই নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখাটা জরুরী।
করোনা পৃথিবী ব্যাপী বিশাল প্রভাব ফেলেছে। মানুষকে পরিচ্ছন্নতাটা ঘাড় ধরে করিয়ে নিচ্ছে বাঁচার তাগিদে ভালো থাকার জন্য।
এই একটি উপায়েই মোকাবেলা করা সম্ভব করোনার সাথে এখন।
ভ্যাকসিন আবিস্কারের নিম্নতম সময় আগামী বছর। যদি বিজ্ঞানীরা পেয়ে যান কিছু এবং সেটা সঠিক ভাবে মানুষের জন্য কাজ করে তবেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে মানুষের করোনা প্রতিরোধ করার জন্য। নয় তো অপেক্ষা বাড়বে।
মহামারী এই রোগ আধুনিক বিশ্বে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছে প্লেন কোম্পানিগুলো। বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ বন্ধ থেকে মানুষ বেড়াতে যাওয়ায় সতর্ক এখন। নয় বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে জানুয়ারী মাসে।
এরপর এসেছে পণ্য সামগ্রীর উপর। শেয়ার বাজারে সুচক এবারের মতন নিচে আর কখনো নামে নাই।
বেড়ানো থেকে প্রাত্যাহিক জীবন থেমে যাচ্ছে যেসব জায়গায় করোনা বিশাল ভাবে ছড়িয়ে পরেছে।
ইতালির ফ্যাসন শোতে অডিয়েন্স শূন্য ছিল। ক্রজের যাত্রীদের আনন্দ ভ্রমণ বয়াবহ বন্দী দশা দেখে এখন কেউ ক্রজে যেতে আগ্রহী হবেন না।
জাপানে সামার অলিম্পিক অডিয়েন্স শূন্য হবে নাকি বাতিল করা হবে এই দূদোল্যমান ভাবনা চিন্তা চলছে।
রেস্টুরেন্ট, থিয়েটান সিনেমা, দোকানপাটগুলো জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। গ্রোসারী দোকানের উপর চাপ পরছে। যে যা পারছে শুকনো খাবার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে মজুদ করে রাখছে। যদি আক্রান্ত হয় চৌদ্দদিন নিজ বাড়িতে বন্দী করে রাখার মানসিকতায়। অথবা যদি শহর বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ঘরের মজুদ খাবার দিয়ে যতদিন চালানো যায়। উন্নত বিশ্বে অনেক মানুষ আয় এবং জীবনযাত্রার সুচকের নিচে জীবন যাপন করেন। বেঁচে থাকেন মানুষ নিজের প্রচেষ্টায়। উন্নত দেশগুলোতে সে দেশের সরকার সে সব মানুষ যেন খাবার পায়, জরুরী সময়ে, সে জন্য ফুড ব্যাঙ্কে খাবার মজুদ রাখছেন।
এত সচেতনতা এত কিছুর মধ্যে দিব্বি জীবন যাপন করছেন আনন্দ উৎসব করছেন, বেশ কিছু মানুষজন। অনেকে এখনো জানেনই না করোনা ভাইরাস সম্পর্কে। আর অনেকের কোন উপায় নেই জেনেও সতর্ক ব্যবস্থা নেয়ার সামর্থ নেই। অনেক মানুষ প্রচুর সাবান পানি ব্যবহারে সুযোগ পান না।
কি হবে তাদের জীবনে, এইসব সতর্ক ব্যবস্থার কথা বলে যারা বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন পান না প্রতিদিন।
শিক্ষা, অফিস, কাজকাম প্রার্থণা, আনন্দ উৎসব, খেলাধূলা, গণ জমায়েত, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, সব কিছু থেমে যাচ্ছে। অনেক শহর কেমন ভৌতিক রূপ নিচ্ছে।
মাস্ক পরা মানুষদের সাজ প্রসাধনের প্রয়োজন পরবে না। এই সব পন্য উৎপাদন কি থেমে যাবে।
কিন্তু খাবার উৎপাদন সরবরাহ থেমে গেলে কি উপায় হবে।
বছর চার আগে একটা মুভিতে কাজ করেছিলাম সাজানো শহর আতংকিত; অদ্ভুত এক ধরনের ক্রিচার শহর দখল করে ফেলছে। মানুষরা আতংকে পালাচ্ছে। তেমন মুভির মতন মনে হচ্ছে সময় এখন।
অনেকদিন পর অনেক হাসলাম। হাসির কারণ করোনা ভাইরাস সতর্কতা।
১. একজন সরকারী হর্তাকর্তা সচেতনতার কথা বলছেন। তার আসেপাশে সিকিউরিটিসহ আরো গণ্যমান্য লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন।
স্বাস্থ সচেতনতার কথা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য নাক চোখ মুখে হাত না দেয়ার কথা বলেই। সামনে রাখা কাগজ উল্টানোর জন্য নিজের আঙ্গুল মুখে দিলেন।
২. একজন চীনা মান্যগন্য লোক গাড়ি থেকে নামতেই সবাই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে গেলেন সর্ম্বধনা জানাতে।
তিনি থমকে একটু পিছনে সরে গেলেন। তারপর পা বাড়িয়ে সামনের লোকের সাথে পা ছোঁয়ালেন। এভাবে এগিয়ে যেতে যেতে সবার সাথেই পা শেক করলেন তিনি হাতে না ছুঁয়ে।
চীনারা প্রথম পা শেক প্রচলন নিয়ে আসল ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×