somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

ফ্রিদা কাহলো এক ব্যতিক্রমী মানুষ : পর্ব পাঁচ

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আবারো দিয়াগো

ফ্রিদা কাহলো এবং দিয়েগো রিভেরার সম্পর্কটি আদর্শ প্রেমের গল্প নয়।
দিয়াগো আসলে ফ্রিদার জীবনের অনেক জায়গা দখল করে নেয়। দিয়াগো যেন ওর অপর স্বত্বা। অদ্ভুত ভাবে কেউই কারো থেকে দূরে থাকতে পারে না। আবার ব্যক্তিতের কারণে ভালোবাসার নোংরামি সহ্য করতে পারে না। অথচ প্রতিবাদে দিনদিন যেন পঙ্কিলতায় ডুবে বাঁচার চেষ্টা।
আদ্রে ব্রেটন সালভাদর দালির বন্ধু। তিনি এসেছিলেন ট্রটস্কির সাথে দেখা করতে মেক্সিকোয়। ফ্রিদার কাজ দেখে অসাধারন মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি বলেন আমরা কত সাধনা করে স্যুরিয়লিজম শিখেছি আর মেক্সিকোয় ফ্রিদা তার চর্চা করছে ।
নিজের ভাবনায় তৈরি করা কাজগুলো স্যুরিয়ালিজম হয়ে উঠে অভিজ্ঞদের চোখে।
আন্দ্রে রবার্ট ব্রেটন ছিলেন ফরাসি লেখক এবং কবি। তিনি পরাবাস্তববাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, নেতা, প্রধান তাত্ত্বিক হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর লেখায় ১৯২৪ সালের প্রথম পরাবাস্তববাদী কর্মকে পরাবাস্তববাদী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তিনি পরাবাস্তববাদকে "খাঁটি মানসিক স্বয়ংক্রিয়তা" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
ফ্রিদার পেন্টিংগুলি প্যারিসে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার বন্ধু এবং শিল্প ব্যবসায়ী জুলিয়েন লেভিকেও তিনি লিখেছিলেন, যিনি ম্যানহাটনের ইস্ট ৫৭ স্ট্রিটের গ্যালারিতে, ফ্রিদার প্রথম একক প্রদর্শনী করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে।
এই সময় ফ্রিদা প্রথম নিজের কিছু ছবি প্রদর্শনীর জন্য পাঠায়। তার ছবি বিশ্ববাসীর নজরে আসে।
জুলিয়ান লেভিন স্যুরিয়ালিজম আর্ট ডিলার ফ্রিদাকে নিউ ইয়র্কে ছবির প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রন জানায়। ফ্রিদা একাই সেখানে যায়। প্রদর্শনী অত্যন্ত সার্থক হয়। অর্ধেক ছবি প্রদর্শনীর সময় বিক্রি হয়ে যায়।
এরপর ফ্রিদার প্রদর্শনীর আয়োজন হয় ফ্রান্সে। জানুয়ারী ১৯৩৯ সালে প্যারিসে যায় এন্ড্রে ব্রেটনের আমন্ত্রণে, তার কর্মের প্রদর্শনী করার জন্য। যখন ফ্রিদা পৌঁছেছে, তখন জানল, কাস্টমস থেকে তার পেইন্টিংগুলি তখনো ছাড়া পায়নি এবং একটি গ্যালারিও ঠিক হয়নি চিত্র প্রদর্শনীর জন্য। মার্সেল ডুচম্পের সহায়তায়, একটি গ্যালারির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হন। গ্যালারিটি কেবল ফ্রিদার ছবির প্রদর্শন করতে অস্বীকৃতি জানালেও আরও সমস্যা দেখা দেয়। তখন পাশাপাশি ফটোগ্রাফার ম্যানুয়েল আলভারেজ ব্রাভো এবং মেক্সিকান জনপ্রিয় শিল্পকলার নিজস্ব সংগ্রহও অন্তর্ভুক্ত করে প্রদর্শনী হয়। যা হোক কিছু দিনের মধ্যে ছবি প্রর্দশন শুরু হয়। খুব সার্থক ভাবে ফ্রিদার ছবি প্রদর্শনী শেষ হয়। মেক্সিকোর আপনমনে আঁকা শিল্পীর চিত্রকর্ম আর্ন্তজাতিক ভাবে পরিচিতি লাভ করে এবং প্রশংসা পায়। চিত্রকর ফ্রিদা নিজ ভাবনা কর্মে পরিচিত হয় চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো হিসাবে।
১৯৩৯ সালে, লুভ ফ্রিদা কাহলোর, স্ব-প্রতিকৃতি "দ্য ফ্রেম" চিত্রটি কিনেছিল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান একটি যাদুঘর লুভে বিংশ শতাব্দীর মেক্সিকান শিল্পীর প্রথমচিত্র সংগ্রহ এবং সম্ভবত প্রথম নারী চিত্র শিল্পীরও প্রথম চিত্র সংগ্রহীত হয়। বর্তমানে প্যারিসের সেন্টার পম্পিডু-তে মুসিয়ে ন্যাশনাল ডি আর্ট মিউজিয়ামে ফ্রেম ছবিটি আছে।



প্যারিসে মার্ক স্যায়গাল, পিট মন্ড্রিয়ান এবং পাবলো পিকাসোর মতো শিল্পীদের সাথে ফ্রিদার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় এ সময় ।
প্রথম একক ভাবে নিজের ছবির র জন্য নিউইয়র্ক এবং ফ্রান্স ঘুরে আসে ফ্রিদা ১৯৩৯ সনে।
তিন মাসে দেশের বাইরে অবস্থান করে ফ্রিদা অস্থির হয়ে উঠে দেশে ফিরার জন্য। এ সময় মেরুদণ্ডে ব্যাথায় অসম্ভব অসুস্থও হয়ে যায়।
নিউ ইয়র্ক, ফ্রান্সে সফল ছবি প্রদর্শনীর পর যখন ফ্রিদা চিত্রকর হিসাবে আর্ন্তজাতিক মানদণ্ডে পরিচিত হয়ে উঠেছে। সাফল্যের আনন্দ নিয়ে ম্যাক্সিকো ফিরে আসে।
দেশে ফিরে দিয়াগোর সাথে স্থিতু হওয়া সম্পর্কের অবনতি খুঁজে পায়। কিছু দিনের মধ্যে ফ্রিদা আবিস্কার করে দিয়াগো ফ্রিদার আপন ছোট বোন ক্রিস্টিনার সাথে যৌন সম্পর্ক করেছে। নতুন উপসর্গ বোনের সাথে স্বামীর যৌনতা কিছুতেই মেনে নিতে পারল না।
এ বিষয়টা জানার পর ফ্রিদা একদমই ভেঙ্গে পরে। যেন ওর জীবন থেকে প্রাণ বেরিয়ে গেছে। অন্য মেয়েদের সাথে দিয়াগোর সম্পর্কে আমল না দিলেও এ বিষয়টাকে কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারে না। ছোট বোন যে ফ্রিদাকে সব চেয়ে ভালো জানে। জানে ফ্রিদার জীবনে দিয়াগো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বোন যার সাথে সমস্ত বন্ধুত্ব, ভালোবাসা সব শেয়ারিং তার এই আচরণ মেনে নেয়া ফ্রিদার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। দিয়াগো এবং ক্রিষ্টিনার এই আচরণ ফ্রিদার সমস্ত সুখ উড়ে যায়। দুঃখি ফ্রিদা আবার দুঃখের সাগরে হাবুডুবু খায়।
যখন ফ্রিদা এবং দিয়াগো সফল চিত্রশিল্পী হিসাবে মেক্সিকোতে ফিরে এসেছিল, তখন ক্রিস্টিনা, ফ্রিদার ছোট বোন উভয় শিল্পীর ছবি আঁকার মডেল হিসাবে কাজ করত। দিয়েগোর অন্যতম প্রিয় বিষয় হয় ক্রিস্টিনাকে আঁকা। প্রায়শই তার নগ্ন ছবি আঁকে। এ সময় ক্রিস্টিনার স্বামী ক্রিস্টিনাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরপরই ক্রিস্টিনা এবং দিয়েগো অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।
সান এ্যাঞ্জলোর নীল বাড়ি ছেড়ে ফ্রিদা নিজের একটি স্টুডিও বাসা কিনে দিয়াগোর থেকে আলাদা জীবন যাপন করতে থাকে। অসুস্থ শারীরিক কষ্ট সব যেন দিয়াগোর সাথে থাকা ভালোবাসায় ভুলে গিয়ে প্রাণ পেয়েছিল। অথচ আবার নতুন করে নতুন কষ্ট ফ্রিদার জীবনে।
দম্পতি নিজেদের সম্পর্কটা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
এই দুজন শিল্পী দুজন প্রেমিক পঁচিশ বছর ধরে একে অপরকে আঁকে। ফ্রিদা এবং দিয়েগো” এবং 'দিয়েগো অন মাই মাইন্ড’ চিত্রগুলি তাদের অনন্য এবং গোলযোগপূর্ণ সম্পর্কের অর্ন্তনিহীত প্রকাশ যেন। অথচ অর্বাচীন এক ঘটনা তাদের আনন্দধারা ভালোবাসার সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়।
ফ্রিদা এবং দিয়েগো আলাদা হয়ে যায় এবং বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করে। গ্রীষ্মকালে ফ্রিদা কোয়েয়াচেনে পরিবারের বাড়িতে ফিরে যায়। শরত্কালে, ফ্রিদা তার হাতের ছত্রাকের সংক্রমণে ভুগছে এবং তার মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছে। ডাঃ জুয়ান ফারিল, বিছানায় সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ মানসিক এবং শারীরিক ব্যথা তাকে প্রচুর পরিমাণে বোহিমিয়ান করে তুলে, মদ্যপানে আকৃষ্ট করে।নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকতেই ভালোলাগে ফ্রিদার।
বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ফাইল করে এবং নভেম্বর ১৯৩৯ ফ্রিদা কাহলো এবং দিয়াগো রিভেরার বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়।

হাঙ্গেরিয়া পোট্রেট ফটোগ্রাফার নিকোলাস মোরইয়ের সাথে বেশ ভালো অন্তরঙ্গ একটা সম্পর্কে হয় ফ্রিদার সে সময়। মোরই তার কাজের ক্ষেত্রে প্রগতিশীল, বিখ্যাত এবং সফল ছিল। ফ্রিদার ভাষ্য, তোমাকে অনেক ভালোবাসি মোরই বিশ্বাস করো। যদি এই ভালোবাসার কাছাকাছি কেউ থাকে সে দিয়াগো। যে আমার হৃদয় দখল করে আছে।
এক সময় মোরই বুঝতে পারে ফ্রিদা আসলে দিয়াগোকে মনে প্রাণে ভালোবাসে। দিয়াগোর শূন্যতা পূরণের জন্য কাউকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সাময়িক ভাবে কিন্তু দিয়াগোকে ছাপিয়ে কেউই তার অন্তরে আসলে স্থান দখল করতে পারে নাই, পারবেও না। এই সম্পর্ক এই হুল্লোর আনন্দ অস্থির জীবনের পিছনে আসলে কষ্ট আর বেদনার ধারাপাত ফ্রিদার মধ্যে। মোরই তার লেখা, আমরা তিনজন বইয়ে লিখে তিনজনের মধ্যে আসলে তোমরা দুজন অবস্থান করো।
ফ্রিদার আসল অনুভূতি বোঝার পর মোরই অন্য প্রেমিকা খুঁজে নেয়। কিন্ত ফ্রিদা তখন একা, শূন্যতায় মোরইকেই আঁকড়ে থাকতে চায় মোরইর কাছে নিউইয়র্কে গিয়ে দেখে সে অন্য মহিলাদের সাথে সম্পর্কে জড়িত।
মুরই সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় এবং মেক্সিকোতে ফিরে আসে। ফ্রিদা মুরইর চিঠির জবাব দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
ফ্রিদা কাহলো এবং দিয়াগো রিভেরা দূরে থাকলেও অন্তরে, দুজনেই দুজনের জন্য পুড়ছিল। ফ্রিদা, দিয়াগোকে পুরোদমে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছিল প্রচুর ভালোবাসার টান থেকেই। অপর দিকে দিয়াগো নিজে নানা জনের সাথে গেলেও ফ্রিদার বহুগামীতা, নানাজনের সাথে যাওয়া মোটেও সহ্য করতে পারছিল না। ইসামু নিগুচি নামের ফ্রিদার জাপানী এক প্রেমিক দিয়াগোর আক্রমণ থেকে বাঁচতে ফ্রিদার ঘর থেকে গাছ বেয়ে বাড়ির ছাদ পেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে ছিল। ফ্রিদার সাথে অন্য পুরুষকে দিয়াগোও সহ্য করতে পারে না। কারণ সে মনেপ্রাণে ফ্রিদাকে ভালোবাসে। এদিকে সে তার বহুগামী স্বভাবও পাল্টাতে পারে না। অসহ্য এক সম্পর্ক দুজন মানুষ আগুনের হলকায় পুড়ে যেন।
ফ্রিদা বলে, আমার স্বামী হিসাবে দিয়াগো সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে চাই না যদি বলি, সেটা হবে হাস্যকর। দিয়াগো এমন এক চরিত্র যে কখনো কারো স্বামী ছিল না হতেও পারবে না ফ্রিদা এভাবেই বর্ণনা করে তাকে। তবে তাকে আমি প্রেমিক হিসাবে বর্ণনা করতে পারি। তার মধ্যে যে আকর্ষন, ভালোবাসা, যৌনতা আছে তা অনন্য । সে যে ভাবে ভালোবাসতে পারে তা অসামান্য। তাকে যদি সন্তান হিসাবে ব্যাখ্যা করি তার শিল্প, শিল্পী সত্বার আবেগ তার কাজকে আমি সন্তানের মতন ভালোবাসি। দিয়াগোর জন্য বারবার ফ্রিদা লেখে। দিয়াগো তুমি আমার বাবা, দিয়াগো তুমি আমার মা, দিয়াগো তুমি আমার ভালোবাসা। দিয়াগো আসলে ফ্রিদার জীবনের অনেক জায়গা দখল করে নেয়। দিয়াগো যেন ওর অপর স্বত্বা। অদ্ভুত ভাবে কেউই কারো থেকে দূরে থাকতে পারে না। আবার ব্যক্তিতের¡ কারণে ভালোবাসার নোংরামি সহ্য করতে পারে না। অথচ প্রতিবাদে দিনদিন যেন পঙ্কিলতায় ডুবে বাঁচার চেষ্টা।
যত প্রেমিক নিয়ে সময় কাটাতে চায় ফ্রিদা আসলে দিয়াগোর অভাবে অস্থির হয়ে পরে । এক বছর পর তাই সে দিয়াগোর কাছে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় যখন দিয়াগোও ফ্রিদাকে ফিরে আসার জন্য ডাকে।
এ সময় দিয়াগো কাজের আমন্ত্রেনে সানফ্রাসিসকো যায়। ফ্রিদাও প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পরে। ঘাড় সোজা রেখে বসার মতন অবস্থা থাকে না। মূলত মনকষ্ট ফ্রিদাকে কাহিল করে ফেলে। দিয়াগোকে ছেড়ে থাকা তার কাছে আরো বেশী যন্ত্রনাময় যতটা যন্ত্রনাময় সহ্য করা দিয়াগোর সাথে অন্য নারীর সম্পর্ক।
মেক্সিকোর ডাক্তাররা মেরুদণ্ডে অপারেশন করতে হবে জানালে ফ্রিদা ভয় পেয়ে যায় বেঁচে থাকবে না বা আরো অসুস্থ হয়ে পরবে মনে করে।
এ সময় চিকিৎসার জন্য সানফ্রাসিসকো যায় ফ্রিদা। দিয়াগোও ফ্রিদার অসুস্থতার খবর জেনে মনকষ্টে ভুগতে থাকে। এবং ফ্রিদাকে আবার কাছে পাওয়ার জন্য প্রপোজ করে।
ডাক্তার এলভেসার ফ্রিদা ও দিয়াগোর পুনর্মিলন ও দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে রাজি করানোর ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। 'দিয়েগো আপনাকে খুব ভালবাসে, এবং আপনিও তাকে ভালবাসেন, দুজনের এক সাথে থাকা দরকার। এক সময় ফ্রিদা বুঝতে পারে, সে দিয়াগোর কাছেই ফিরতে চায়। দশ বছর পরে ডিভোর্স করে এক বছর পরে, আবার দুজন দিয়াগোর পঞ্চাস বছরের জন্মদিনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে ১৯৪০ সালের নভেম্বরে ।
খুব নামি অভিনেত্রী লিজ টেইলরের কথা আমরা জানি অনেক বার বিয়ে করে এবং একই স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে। কিন্তু তার বহু আগে ফ্রিদা একই স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে।
সান এঞ্জেল বাড়িতে তাদের তিন দশকের প্রেমের গল্পটি শিল্পের ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোম্যান্স কাহিনী অনেক জগৎ বিখ্যাত প্রেম কাহিনীর মতন।

চলবে......

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×