শ্রাবণ রাতের বৃষ্টি শেষে
রোদ উঠেছে ঝলমলিয়ে
ব্যস্ত সবাই যে যার কাজে
পান্থ শুধু বসেই থাকে
পথের পাশে বটের ছায়ে।
ক্ষ্যাপার মত পথে পথে
কি যে খুঁজে আপন মনে
কি যেন তার হারিয়ে গেছে
সোনার নোলক, ডুরে শাড়ি
কচি হাতের আদর খানি
আর যেন কি আর যেন কি?
ভেবে ভেবেও হয় না মনে
আবছা এসেও দেয়না ধরা
সেই যে কিসব সৈন্য এলো
বারুদ গন্ধ ছড়িয়ে দিল
রক্তে লাল দেশটা হলো
সেই সময়ে কি যেন কি
হারিয়ে গেলো...
মনে হয়েও হয়না মনে
ডুরে শাড়ি আর যেন কি
পুঁই-এর মাচা লাউ-এর ডগা
মাটির কলস সানকি থালা
মনে হয়েও হয়না মনে
ডুরে শাড়ি আর যেন কি
আর যেন কি...
মার মুখটি সোহাগ মাখা
সাদা শাড়ি কালো পেড়ে
পাক ধরা চুল মিষ্টি হাসি
আর যেন কি...
বলদ জোয়াল সোনার নোলক
শঙ্খ হাতে রেশমী চুড়ি
আধো আধো কথার ছুরি
ডুরে শাড়ি সোনার নোলক
নোলক সোনার ডুরে শাড়ি
আর যেন কি...
নোলক ডুরে সোনার শাড়ি
টুকটুকে ঠোঁট দুষ্টু হাসি
আর যেন কি...... আর যেন কি
লজ্জা চোখে আর যেন কি
আগুন আগুন ভীষণ আগুন
ফটফটিয়ে উঠছে ধেয়ে
ঘরের চালে গাছের ডালে
ছাই হয়ে যায় জ্বলে জ্বলে
সুখের ঘরটি রক্ত ছায়ে
যায় ডুবে যায় কানের বালি
আর যেন কি......
....আর যেন কি
আপন মনে..
ক্ষ্যাপার মতন যায় ছুটে যায়
পথে পথে খুঁজে খুঁজে..
আমার প্রথম বই কবিতার বই । বইয়ের নাম সপ্ন নগরীর খোঁজে ।
সেই বইয়ে এই কবিতাটি মুদ্রিত আছে। এক সময় এই কবিতাটি অনেক পড়েছি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
আমার প্রথম কবিতার বই যখন প্রকাশ হয়েছে তখন ব্লগ ছিল না । ছিল না অর্ন্তজালে লেখার সুযোগও। তখন পত্রিকায় লেখা পাঠাতে হত ছাপার জন্য। অনেক বছর আমার লেখা জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। লেখা ছাপানোর সাথে সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেল দেশ থেকে বাইরে চলে আসার পর। কারণ সে সময় ফেসবুক, অর্ন্তজাল বা ব্লগ কিছুই ছিল না।
অনেক বছর পাঠকের সাথে ছাড়াছাড়ি থাকার পড় অর্ন্তজালের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর আবার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। নতুন পাঠক লেখকের সাথে সম্পর্ক হওয়ার সুযোগ পেলাম নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৪