ভেসে যাওয়া শ্যাওলা জড়িয়ে ধরে হলুদ মাখা হাত
তুলে আনে অবারিত আদরে সোহাগে
তারপর কথা কওয়া পাখি হয়ে এক সাথে।
জীবন বড় কঠিন কত কথা চারপাশে।
পাতার চালের ভিতর ঝরে বৃষ্টি, ঢুকে রোদ চাঁদের আলো তার মাঝে
জড়িয়ে প্যাঁচিয়ে থাকা হাসি উপচায় পান্তার থালা সামনে, অনাবিল সুখ ।
মরিচ লবন মেখে কি সোয়াদ খেতে যখন দুজন আপন হৃদয় পাশে থাকে
অথচ অসুখ যেন আর সবার কাছে এই ভালো থাকা মাটির কুটির ঘিরে দুটি প্রাণের।
শ্যেন দৃষ্টি কুঁড়ে খায় ঘুনপোকার মতন
ঝুরঝুরে আলগা মাটি পায়ের তলায়, বিচার সভায়।
একদানা খাবার দেয়া না মানুষ দেয় না সুতোর টুকরো
অথচ বিচার সভা বসিয়ে সমাজ ধর্ম শিখায়।
ভালো থাকা নিজের মতন নিজের ভিতর দুজন মানুষের, সয়না সমাজ পতি ধর্ম যাজকের।
বহু যতনে তুলে আনা ভেসে যাওয়া শ্যাওলা জীবন ধুঁকে ধুঁকে মরছিল যে রোগের প্রোকপে।
তিলতিল কষ্ট সিঞ্চনে সতেজ প্রবল
ভালোবেসে তার সাথে সুখ খুঁজে পাওয়া
একা মনোহারী সময় যখন আকাশ ছুঁয়েছে আনন্দ অবগাহনে
শেল হয়ে বিঁধে গেলো সে সুখ আর সবার মনে।
ছূঁড়ে দিল শ্যাওলার মতন আবার রক্তাক্ত দেহ নদীর স্রোতে
হলুদমাখা হাত বাটনা বাটে সমাজ পতির ঘরে ঘরে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:২৯