যত দিন যায় মানুষ তত সভ্য হবে। অথচ বর্তমান সময়ে যত দিন যায় মানুষ তত অসভ্য হচ্ছে। এই অসভ্যতা নিজের স্বার্থ হাসিল এবং লোক দেখানো জন্য।
হোক সেটা অর্থ, প্রতিপত্তি দেখানোর বড়াই। হোক বংশ বা ধর্মের শো আপ। নিজের চেতনার বাইরে এই সব লোক অন্য কোন মানুষের ভাবনা, বিশ্বাসকে মূল্য দেয় না। স্বার্থপরের মতন অন্যের তৈরি করা সুবিধা ভোগ করতে কার্পণ্য করে না এইসব হীন মানুষ। কিন্তু অন্যের বিশ্বাস চিন্তা চেতনাকে থোড়াই কেয়ার করে এই সব লোক। বরঞ্চ নিজেরা কিছুই চায় না অন্যের থেকে এমনই ভাব করে চলে। আর নিজেদের ভাবনা চাপিয়ে দিতে চায় জোড় করে অন্যদের উপর। মানুষের ভাবনা কন্ট্রোল করা যায় না শক্তি দিয়ে আর চালাকি দিয়ে দাবীয়ে রাখা যায় হয় তো খানিক সময় কিন্তু কখনো সব সময়ের জন্য নয়।
এই সব ভীষণ স্বার্থপর বর্ণবাদি মানুষগুলো পৃথিবীতে নরকের কীট । এরা নিজেদের বিশ্বাস দেখাতে অন্যকে আঘাত করে যে কোন ভাবে । যে কারণে তারা অন্য মানুষের বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে ধ্বংস যজ্ঞের মতন কাজগুলো করে নিজেদের পিউয়রিটি দেখাতে তারা নিজেরাও আসলে তা শত ভাগ বিশ্বাস করে না, প্রাকটিস করে না। তাদের একটাই ইচ্ছা নিজেদের কুলিন উচ্চস্থানে দেখিয়ে অন্যদের নীচু দেখানো। আত্ম গড়িমায় অহংকারে গর্বিত র্নিলজ্জ মানুষ এরা। অথচ তাদের এতটুকু ধারনা নাই যে তারা নিজেরা কতটা নীচুতে নেমে যায় এই সব ধ্বংস লীলার কাজগুলো করে, সাথে যারা এইসব নোংরা কাজ কিছু করে না, বিশ্বাস করে না, স্বগোত্রীয় তাদের মুখেও চুন কালি লেপে দেয়, নিজেদের কদর্য ব্যবাহার দিয়ে।
বর্ণ বৈষম্য নানা ভাবে পৃথিবীর বুকে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করেছে। অথচ পৃথিবীতে সব মানুষের জীবন পরিক্রমার চক্র একই। জন্ম থেকে মৃত্যুর অপেক্ষা । নোংরা কাজ করে নিজেকে কুলশিত করে তার গ্লানী নিয়ে বেঁচে থাকার মতন শাস্তি আর কিছু নাই। রাতের আঁধারে, গোপনে অসৎ, খারাপ কাজ করে অন্যকে ধোঁকা দেয়া যায় হয় তো কিন্তু নিজের মনে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় স্মৃতিনিজের করা জঘন্য কাজের।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৭