কাল অনেকটা পথ ঢাকা শহরে হাঁটলাম। প্রায় তিন কিলোমিটারের মতন। আমি একটা কাজে গিয়েছিলাম ছেলের সাথে। সে অন্য জায়গায় চলে গেলো সেখান থেকে অন্য কাজে। আমাকে পইপই করে বলে দিল বাসায় চলে যাও সোজা। আমি বাড়ির পথে কেমনে যাব তার নির্দেশ দিল। সিএনজি ভাড়া কোথায় নিব কত ভাড়া নিবে এসবেরও নির্দেশ দিল। ড্রাইভার গেছে ছুটিতে তাই আমরা সিএনজি করে এক সাথে বের হয়েছিলাম।
যে আমার আঙ্গুল ধরে এ শহরে চলতে শিখেছিল সে এখন আমাকে শহর চেনায়। আর আমি এশহরের পথ অলিগলি ভুলে গেছি।
পথে একা নেমেই আমার ইচ্ছা হলো হেমন্তের মিঠে দুপুরে কার্তিকের রোদ মেখে হেঁটে বেড়াই। অতি পরিচিত ঢাকা শহরটা, বড় বেশি অপরিচিত হয়ে গেছে আমার কাছে। গাড়ি করে ঘুরে বেড়িয়ে কিচ্ছু চিনতে পারি না। বারে বারে যে পথে যাই সে পথ অচেনা হয়ে যায়, তালগোল বেঁধে যায় আমার। ভালো হলো, ছেলে অন্য কাজে গেল নয় তো সে আমাকে ধরে বাসায় নিয়ে ঢুকিয়ে রাখত। আমি এখন নিজের মতন ঘুরব ফিরব আবিস্কার করব।
রাস্তাগুলো চেনার কোন সুযোগ নেই। গাড়ি রিকসা মানুষ, মটর সাইকেল সিএনজি সব মিলে এমন ঠাসাঠাসি অবস্থা তার দুপাশে হরেক রকম দালান আর হরেক রকম শপিংমল। বাজার সদাই ফুটপাত জুড়ে। দোকানের সামনা অংশ ঢাকা থাকে ফুটপাতের মুভিং দোকানের টানানো ছাউনির পিছনে। এছাড়া রকমারি পোষ্টারে ছাওয়া ঢাকা। তার পাশে জমজমাট ভীড়। রিকসা, ঢেলাগাড়ি, সিএসজির দাঁড়িয়ে থাকার স্টেশন। তার ফাঁকফোকরে রাস্তার গাড়ির ভীড়ে হেঁটে হেঁটে চলছে ফেরিওয়ালা, ভিক্ষুক। সব রাস্তার চেহারাই মোটামুটি এক রকম। কাজেই আমি কিছু চিনতে পারি না। বারেবারে ভুল হয়ে যায়। অচেনা হয়ে যায়। অথচ এক সময় একাএকাই এই শহরের এ মাথা ও মাথা চষে বেড়াতাম। মিরপুর থেকে সায়দাবাদ। টঙ্গি থেকে সদরঘাট কেথায় না গেছি। কত ঘুরে বেড়িয়েছি অলিগলি। কখনো ঢাকা ছাড়িয়ে, আসে পাশের শহরেও চলে গেছি একা একা। সে সময় গুগল ম্যাপ ছিল না। রিকসায় চড়ে যেতে যেতে, চলতে চলতেই শিখে ফেলেছিলাম ঢাকা শহরের মানচিত্র। রিকসা, বেবিট্যাক্সি, বাসে চড়ে ঘুরতে ঘুরতে গাড়ি চালিয়েও এপাশ ওপাশ চলে গেছি স্বাচ্ছন্দে মানচিত্রের সাহায্যে ছাড়া। যে শহরের রাস্তা বাড়ির নম্বরের কোন ঠিকঠিকানা ছিল না। তবু ঠিক খুঁজে বের করেছি ঠিকানা এক সময়।
অথচ এখন গুগোল ম্যাপ হাতের মুঠোয় নিয়েও হারিয়ে যাই এই শহরে। বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির সব একই চেহারা মনে হয়। বাজার বাজার বাজার, গলি গলি গলি, জ্যাম জ্যাম জ্যাম। এখন কেমন এক দূরবস্থায় হাবুডুবু খাই প্রতিদিন যেন। আর আমাকে একা বের হতেও দেয় না কেউ তাই নিজের মতন চেনা হয় না চেনা শহরের অচেনা রাস্তাগুলো।
কদিন আগে নিউমার্কেট এলাকায় গিয়েছিলাম। গাউসিয়া থেকে নিউমার্কেটে যাওয়ার ওভার ব্রিজের সিঁড়ি খুঁজে পেতে তিন চক্কর দিলাম। মাথার উপর ওভার ব্রীজ দেখছি অথচ সিঁড়ি খুঁজে পাই না। সব হারিয়ে গেছে ফুটপাতের দোকানি এবং ক্রেতার ভীড়ে। পরে একজনকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দিল। সেখানে পৌঁছাতে যেন পেরুলাম একটা ঘোরানো প্যাঁচানো ধাঁধাঁর রাস্তা।
আজ বাড়ি ফিরব না ঘুরব আপন মনে। দেখি হেঁটে হেঁটে যদি কিছুটা পথ চিনতে পারি।
দুপুরের প্রখর রোদ আছে তবে গরমের ত্যাজটা কমেছে । ততটা ভীড়ও নেই এদিকটায়। ফাঁকা ছিমছাম একটা দুটো রাস্তা হেঁটে এলাম বেশ আনন্দে। তবে আনন্দের মাঝে নিরানন্দ ছিল দূর্গন্ধ পথের পাশে পাশে মানুষের বজ্য। কি আর করা তার এড়িয়েই চলতে হলাে।
রাস্তা পেরুতে পেরুতে মনে হলো এই শহরের একমাত্র সবুজ উদ্যান ঐতিহ্যবাহী রমনাপার্ক কাছাকাছিই হবে, যাই সেখানে। অনিদৃষ্ট হাঁটাহাঁটির একটা গন্তব্য ঠিক করলাম। আর ভালোলাগল নিজের মনে, এবার আমার একটা গন্তব্য আছে আর হাঁটব সেই গন্তব্য ধরে। পার্কে পৌঁছালে হাঁটতেও ভালোলাগবে।
উল্টাপাল্টা হাঁটতে হাঁটতে একটা মোড় পেরিয়ে গেলাম তারপর ঠিক করলাম কাউকে জিজ্ঞেস করে নেই কোন দিকে যাব। গ্রামীনের ইন্টারনেটে টাকা দেওয়ার পরও কাজ করছে না তিনদিন ধরে। বাড়ির বাইরে গেলে তখন পৃথিবীর সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তাই দূরের সেটে লাইট আমাকে রাস্তা দেখাবে এমন সুযোগ নাই। এখানকার মোবাইল সিস্টেমের এই এমবি, জিবি সিস্টেম বুঝতে বুঝতে প্রতিবার যাওয়ার সময় হয়ে যায়।
একটা দোকানে ঢুকে জিজ্ঞেস করলাম। ভদ্রলোক বেশ সুন্দর ভাবে বলে দিলেন, কোন দিকে যেতে হবে। কাছেই পার্ক তবে আমি হাঁটছিলাম উল্টা পথে। না জিজ্ঞেস করলে চলে যেতাম দূরে। এখন এই রাস্তাটা বেশ নিরিবিলি ফাঁকা। রাস্তার উপর মেট্রোরেলের বিশাল খুঁটি তার উপর কিছুটা রাস্তা তৈরি হয়ে আছে। বেশ অপরিচিত নতুন সংযোজন। আরো ক'বছর পরে আরো অন্য রকম লাগবে এই শহর।
খুব একটা দূরে নয়, দুটো রাস্তা পেরুতেই পেলাম হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। একবার মনে হলো এখানে ঢুকে বসে বৈকালিক কফি পান করি, হালকা খাবারের সাথে। এদের পরিবেশটা বেশ পরিচ্ছন্ন সুন্দর। কিন্তু পরক্ষণে ভাবলাম না বাইরের রোদের আলো অপরাহ্নের সুন্দর মায়াবী রঙ মেখে প্রকৃতির সাথে থাকাই ভালো। হোটেলের সুচারু সাজানো কৃত্রিম আলোয় বসে সময় কাটানোর চেয়ে।
অনেকদিন হাঁটা চলা হয় না। ঘরে বসে একদম জঙ ধরে যাচ্ছে শরীরে। হাঁটতে খুব ভালোলাগছে, হালকা লাগছে। খেয়ে দেয়ে ভাড়ি হওয়ার চেয়ে হেঁটে আরো হালকা হওয়া ভালো।
আর একটু সামনে যেতেই পেয়ে গেলাম পার্কে ঢুকার গেট। পার্কে ঢুকেই দেখা হলো পাবলিক টয়লেটের সাথে প্রথমে। যতই ভিতরে যাই ততই গভীর সবুজ অরণ্য, ফুলের ছড়াছড়ি খুঁজি। অথচ আগের মতন সবুজ বিছানো গালিচার মতন সেই মাঠের দেখা পেলাম না। স্থানে স্থানে কাজ হচ্ছে। ধূলায় ধূষর গাছপালা। মাঝ দিয়ে বেশ বড় সড় কনক্রিটের রাস্তা বানানো হচ্ছে। এ যেন আইল দেয়া জমির মতন রাস্তার পাশে পাশে টুকরো টুকরো জমি। সবুজ ঘাসের গালিচা নেই ধূষর মাটি তার মধ্যে নতুন পুরানো কিছু গাছের সমাহার। ফাঁকা জায়গা গুলোতে অনেক বেঞ্চ পাতা অনেকে বসে আছেন। অনেকে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। ব্যায়ামের জায়গা আছে অনেকে স্বাস্থের যত্ন নিচ্ছেন অনেকে দৌড়ে বেরাচ্ছেন। মন্দ না। খুব ব্যাস্ত না আবার একদম নিরিবিলিও না। মনে হলো ভালো মানুষের ঘোরাফেরা। আগের মতন নিশিকন্যাদের দিনের শুয়ে থাকার বিছানা নয় বেঞ্চগুলো। ওদের তেমন কাউকে দেখতে পেলাম না। সাধারন পাবলিক মনে হলো ঘুরাফেরা করছে দল বেঁধে, পরিবার বা বন্ধু মিলে বেড়াতে এসেছে।
তবে স্থানে স্থানে কাজ হচ্ছে খুঁড়াখঁড়ি, ইট, সুড়কি, লোহা রড, সিমেন্ট ব্যাস্ততা ধূলাবালি উড়াউড়ি। কাজ শেষ হলে ভালোই হবে হয় তো দেখতে তবে আমি পুরানো বিস্তৃর্ণ সবুজ মাঠের আদলটা খুঁজে পেলাম না কোথাও। কোন কোন জায়গা বেশ গাছগাছালী ছাওয়া অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে সেই এলাকা। অনেক নতুন গাছ বেশ সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হয়েছে। তবে ফুলের দেখা একদমই পেলাম না। দু একটা পাতাবাহার বোগেনভেলিয়া, কলাবতি ছাড়া। পথে যেতে একটা শিউলি ফুলের নিচে অনেক শিউলির ছড়াছড়ি দেখেছিলাম। ভেবে ছিলাম পাবো ভিতরে কিছু দেখা মিলল না। ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ তারও দেখা মিল না। তবে অনেক রকম বড়বড় গাছ আছে সব আমি চিনি না। কিছু একদম নতুন ধরনের পাতার গাছও দেখলাম।
পুরানো আমলে তৈরি একটি ফুলেরকলির মতন স্টেচু একটি বড় কচু পাতার মতন স্টেচু আগের মতনই আছে দেখলাম।
প্রচুর পাখি আপন মনে উড়ছে এখানে সেখানে। দু একটা চিল দেখলাম। কিছু শালিখ। চড়ুই সেতো আছে। ছোট পাখিদের নানা রকম হাঁকডাক বেশ মাতিয়ে রেখেছে। সন্ধ্যা নামছে পাখিরা নীড়ে ফিরছে। এই পাখিদের নীড় এখানেই এর বাইরে খুব দূরে কোথাও হয়তো এরা যায় না। যাবে কোথায় এই শহরে আর তেমন সবুজভূমি কই। যাওয়ার জায়গা সীমাবদ্ধ মনে হয়। অন্য গাছগাছালীতে নিশ্চয় সেই এলাকার পাখি বাস করে। অনেক আগে ঘুরতাম দুপুর বেলায় দেখতাম অসংখ্য বাদুর ঝুলে আছে বড় বড় গাছে। তেমন কিছু চোখে পরল না এবার।
বটমূল ছাড়াও আরো একটা মঞ্চ দেখলাম বানানো হয়েছে মনে হলো নতুন এটা। পহেলা বৈশাখের ভোরে কত বার গিয়েছি অথচ মন খারাপ হলো ভেবে এই খানে গানের আসরে বোমা হামলা হয়ে ছিল। যে পথে হাঁটছি কত মানুষের রক্ত রঞ্জিত সেই পথ। স্বাধীন দেশে এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। অথচ কত অবাঞ্চিত মৃত্যু দেখতে হলো ।
রমনা পার্কে আগে একটা ছিমছাম রেস্টুরেন্ট ছিল। লেকের জলে দু একটা নৌকা ছিল। লেকের জলের পাশ ঘিরে দেয়াল তোলা হচ্ছে। লোহার গরাদের ভিতর সিমেন্টের উপর দাঁড়িয়ে জলের শোভা দেখা যাবে। ঘাসের তীরের পাশে জল; তেমন সাধারন বাংলার চিরন্তন রূপ বিষয়টা পাওয়া যাবে না। আধুনিক উপলব্ধি হবে। সবুজ রঙের জল গাড় এবং ঘন মনে হলো। প্রচুর মশা উড়ছে জলের উপর।
তার পাশ দিয়ে চলে আসার পরই মিষ্টি একটা সৌরভ আমাকে ডেকে নিল। আমি সেই সৌরভের প্রোলভনে আক্রান্ত হয়ে সেদিকে ছুটে গেলাম। বিশাল একটা গাছ আকাশের দিকে উঠে ছাতা মেলে দাঁড়িয়ে আছে। অপরাহ্নের আলোয় সেদিকটা আলোকিত নয় এখন। ছায়া ঘন অন্ধকার পাতার নিচে। গাছের বড় কাণ্ড জুড়ে অসংখ্য ছোট ছোট ডাল বেড়িয়েছে, অনেকটা পরগাছার মতন মনে হয়। আর সেখান থেকে থোকা থোকা লাল লাল সাদার মিশেল ফুল ফুটে আছে। বেশ ভাড়ী পাপড়ির ফুলগুলো অনেক ছড়িয়ে পরে আছে গাছের নিচেও। আর সুঘ্রাণে মাতাল আনন্দ সেই জায়গা জুড়ে। এমন মিষ্টি নরম একটা ঘ্রাণ আমি অনেকদিন কোন ফুলের পাই নাই। অনেকদিন আগে পেয়েছিলাম ভ্যালি অফ লিলির মাঝে এমন একটা নরম সুগন্ধ। আমি ঐ গাছের নিচে স্থির হয়ে গেলাম। কিছু ফুল তুলে রেখে দিলাম ব্যাগে। পাশে পাখির কিচিরমিচির। সন্ধ্যার সূর্যটা তখন কমলা হয়ে হেইজি আকাশের পশ্চিম কোনে আরো পশ্চিমে ঢলে পরার অপেক্ষায় আছে। ফুলের গন্ধে সময়টা ভাড়ি মধুর হয়ে উঠল। ফুলটাকে চেনার চেষ্টা করছি। মনে হলো নাগকেশর হবে। কিন্তু ঠিক মনে নাই আমি কি কখনও নাগকেশর ফুল সরাসরি আগে দেখেছি কিনা। যেহেতু আমি অনেক ফুল চেনার জন্য দেখি রির্সাচ করি অনলাইনে তাই মনে হলো এটা নাগকেশর বা নাগলিঙ্গম হবে। অথবা মহুয়া হতে পারে। পরে জেনে নিব আবার অনলাইনে খুঁজে নাম। তবে এখন বসে উপভোগ করি এর সুগন্ধ এবং রূপ।
সূর্য ডুবে গেছে অন্ধকার নামছে যদিও সোডিয়াম আলো গুলো পার্কের ভিতর জ্বলে উঠছে আলোকিত করছে। যারা ঘোরাফেরা করছিল সবার ব্যাস্ত চলাচল এখন। সবাই বাড়ি ফিরছে। দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, তোমার কোলে ছুটে আসি। সবাই ছুটছে ঘরে। আমার ছেলেও আমাকে তাগদা লাগাল। অনেক ঘুরেছো এখন আঁধার হচ্ছে বাড়ি যাও। দুই তিন চক্কর দেয়া হয়েছে ততক্ষণে আমার পার্কের ভিতর এদিক সেদিক যাওয়ার। এবার সামনে যে গেইট পরেছে সেটা দিয়ে বেরুলে কোন রাস্তা পাবো জানার জন্য আবার একজনের শরণাপন্ন হলাম। এবং জানলাম এদিক দিয়ে বেরুলে শাহবাগে পৌঁছাব।
এই রাস্তাটা ছিল খোলামেলা। একপাশে রমনা অন্য পাশে সোরওয়ারদি উদ্যান। শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্তর পর্যন্ত চওড়া একটা সুন্দর রাস্তাছিল কত হেঁটেছি এ পথ দিয়ে এক সময়। রাস্তা গুলো বদলায় নাই অথচ কেন যেন গিঞ্জি লাগছে আমার কাছে। একটুও সৌন্দর্য খুঁজে পাই না। আর চিনতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।
শাহবাগ থকে রিকসা নিয়ে অবশেষে বাসায় রওনা দিলাম। তখন সন্ধ্যা নেমেছে কেবল।
হেলিয়া দুলিয়া পরা নাগ কেশরের ফুল যা কুড়িয়ে এনেছিলাম বিছানার পাশে রেখে দিয়েছি। সোহাগে জড়িয়ে রাখছে আমাকে ঘরে। কি অদ্ভুত সুন্দর ঘ্রাণ মুখরিত হচ্ছি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫০