somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

প্রকৃতির ক্যানভাস

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ কিছু ছবির পোষ্ট দেই। ছবি দেখতে সবারই ভালোলাগে। আমার ছবি তোলা অত ভালো না। তবে অনেক সময় প্রকৃতির কিছু সুন্দর সময় দেখলে নিজের কাছে ধরে রাখতে ইচ্ছা করে। বেশির ভাগ সময় আমার সময় নিয়ে ক্যামেরা তাক করে এ্যাঙ্গেল ধরে ছবি তোলা হয় না। যা দেখি চটপট একটা ক্লিক মেরে দেই। পরে অনেক সময় নিজেকে বকা দেই। আরেকটু সময় দিলে ভালো হতো। তবে ছবি গুলো তোলার সময় সময়টাই কম থাকে। সূর্য যখন উঠতে থকে বা ডুবতে থাকে। এত তাড়াতাড়ি পৃথিবীর রঙ বদল হয়। সূর্যের সাথে পৃথিবীর ক্যানভাস পরিবর্তন হয় অতি দ্রুত। আমার মতন আনাড়ি ছবি তুলনেওয়ালার তা ধরে রাখার মতন সঠিক মাপ ঝোক করা কঠিন হয়।
আর বেশির ভাগ সময় অনিন্দ্য দৃশ্যগুলি দেখি চলন্ত অবস্থায়। রাস্তার উপর গাড়ি চালানোর সময় যদি দেখা যায় অসাধারন একটি দৃশ্য এই এ্যাঙ্গেলটা ঠিক তখনই ধরতে না পারলে আর কখনো ধরা যায় না।
আর সমস্যা হলে রাস্তার উপর ঘেচাং করে ব্রেক করা যায় না। মোবাইল বা ক্যামেরা হাতে নিতে নিতে অনেকটা সময় এবং রাস্তা পেরিয়ে যাওয়া হয় তাতে বদলে যায় এ্যাঙ্গেল। আর ভয় থাকে যদি পুলিশ দেখে ফেলে তবে ড্রাইভিংয়ের উপর বিরাট হামলা চলে আসবে। এ ছাড়া সাবধানতায় রাস্তায় চোখ রেখেই স্টিয়ারিং ধরে দুই দিকে চোখ রেখে ঝটপট দু একটা ক্লিক মেরে দেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কারণ অসাধারন আকাশ মেঘ, সূর্যাস্ত, চাঁদের দৃশগুলো আমার কাছে ভয়াবহ সুন্দর। যদি অন্য কেউ গাড়ি চালান তবে ভালো হয় কিন্তু সে সুযোগ খুব একটা পাই না। ঐ পেরিয়ে যাওয়া পথ বদলে দেয় প্রথম দেখা বিষয়টি খুব দ্রুত।
এছাড়া ঘরে থাকলে হঠাৎ যদি কিছু চোখে পরে। আলোর ঝলকানি বা মেঘের কারুকাজ। ঠিক সে সময়টাই সেটা ধরতে না পারলে হারিয়ে যায় চিরতরে না পরের দিন বা আর কখনোই ফিরে আসে না একই সৌন্দর্য নিয়ে। প্রখর আলোর দিন, মেঘলা দিন, বৃষ্টি, বরফ, বরফপাত নানা রকম আবহ তৈরি করে প্রকৃতির ক্যানভাসে। যা শুধু একবারই তৈরি হয়।
হয়তো ক্যামেরা আছে এক রুমে। আর আমি আছি রান্না ঘরে ব্যাস্ত। চুলায় যখন রান্না হচ্ছে তাকেও ঠিক সময় মতন নাড়াচাড়া উত্তাপ দিতে হয়। অথচ হঠাৎ জানলা ভেদ করে আমার চোখ চলে গেলো গাছের উপরে আগুন রঙ সূর্যের আলোয়। ঠিক তাতক্ষনিক ভাবে সেটা ধরতে না পারলে আর কখনো পাওয়া যায় না। রঙ এবং আলো বদলে যায়। বদলে যায় চেহারাও অন্য রকম।
যদি মেঘের ভেলায় আপনি দেখেন নানা আকৃতি কখনো কোন মানুষ কখনো ভালোবাসা, কখনো নানা রকম প্রাণীর ছবি তারাও কিন্তু নিমিষে রূপ বদল করে ফেলে। যা দেখছিলেন একটা কুকুরের মাথা সে হয়ে যায় একটা বাঘ থেকে কুমির হয়তো বা নয় তো হারিয়ে যায় কিছুই না হয়ে পেঁজা তুলার মাঝে।
জানি না। আর কারো এমন খেলা দেখতে ভালোলাগে কিনা। আমি কিন্তু লেখার ফাঁকে, রান্নার ফাঁকে, গাড়ি চালানোর মাঝে, পথ চলতে এই চিত্রকল্পগুলোর সাথে ভাব করি। কিন্তু ঠিকঠাক তাদের ধরে ফেলা দুঃসাধ্য ব্যাপার।
তারপরও চেষ্টা করি অঙ বঙ যা হয় হোক না, থাকুক আমার কাছে।
আমার এমন তোলা কিছু ছবি আজ পোষ্ট করছি। যারা বাঁকা ত্যাড়া এলোমেলো রূপ নিয়ে তবু সেই সময়টাকে নিয়ে আছে আমার কাছে।


জলের নাচের ছবি তোলা খুব সহজ না। অনেক গুলো তোলার পর একটা ছবি উঠল ঠিক মতন।


২০১৯শে জানুয়ারি সকালবেলা অদ্ভুত এই দৃশ্যটি দেখতে পেয়েছিলাম একবারই। সূর্য ঘিরে গোলাকার স্ফটিক এক আলোর রিং জেগে আছে। বিচ্ছুরিত এই আলোর গোলককে হ্যালো বলে। প্রকৃতির অদ্ভুত উপাদানে কখনো কখনো তৈরি হয়।


নীল ভূমি নীল আকাশ আর তার মাঝে জাগছে চাঁদ দিগন্ত থেকে


একদিকে জমা বরফের কারুকাজ গাছ জুড়ে। একদিকে আকাশে লম্বালম্বি রঙধনু জেগে আছে ।




ঘন স্তরের বরফের উপর যখন পদচিহ্ন এঁকে হাঁটতে হয় সমান্তরাল ভূমির উপর আঁকা এই পদ চিহ্নগুলোও সুন্দর লাগে।


বিদায়ি সূর্যের আঁকা ছবি দেয়ালের উপর।


বরফের উপর ছায়ার কারুকাজ। অপূর্ব মনোমুগ্ধকর রঙ।


সূর্য জাগছে ওন্টারিওর পূর্ব আকাশে


সূর্য ডুবে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমপাড়ে।







এক দুই তিনটি ছবিতে বেলজিয়ামেরর ব্রাসেলসের কাছের একটি শহরের হাইওয়ে পেরুতে পেয়ে গেলাম মেঘ আকাশ আর গাছের দারুণ সম্বন্বয়। সাথে আছে দূরের মানুষ নির্মিত পাহাড় আর শহরের আবহ।


সবুজ নীল আর সাদার কম্বিনেশন ছোটে চলার মাঝে দেখতে পেলাম গ্রামিন জনপদে।

মোবাইলে তােলা সোজা ছবি এখানে আপলোড দিলে কেন যে কাত হয়ে ঘুরে যায় বুঝি না। এখন আবার ডাউনলোড করে সোজা করার ধৈর্য্য রইল না সময়ও নাই।
কষ্ট করে মাথা ঘুরিয়ে দেখে নিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪২
১৫টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×