আজ আমি বলতে চাই যা ছিল এক অজানা কাহিনী আমার জনগণের কাছে। সেদিন ছিল শুত্রুবার, পৌষ মাসের ১৩ তারিখ। এক তীব্র মৌলবাদী ধর্মের প্রতিবাদী মেয়ে আমার কাছে আসে নিজের প্রাণ ভিক্ষা চাইতে, কারা যেন তাহার মৃত্যু জন্য জোড়ালো দাবী জানাচ্ছে। তারা আর কেউ ছিল না, বলতে হয় এক মৌলবাদী গোষ্ঠী। মেয়েটি নাকি শরিয়া আইনের বিরোধীতা করেছিল। একজন সরকারী উর্ধ্ধতন কর্মকর্তার সাহায্য জীবন বাচাঁতে সম্ভব হন সে। আমি দিশেহারা হই। জনগণের মন জয় করতে আমার ধর্মের অনুগামী হতে হয়, সম্মান জানাতে হয় ধর্মীয় গুরুদের, মৌলবাদী কিংবা অমৌলবাদী আমার চিন্তা করার সুযোগ থাকে না। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অবশেষে অন্ধকারে আলোর জলকানি আছে। আমি আমার এক বিশ্বস্ত কর্মকর্তা দ্বারা এক মহিলাবিষয়ক মানবাধিকার সংন্হার সাথে যোগাযোগ করে কিছু মতামত নিই, কি করা যায়। বলা হয় মেয়েটির জীবন মৃত্যুর সম্মুখীন, যেখোনোভাবে তাহাকে বাচাঁনো জরুরী। মৌলবাদীগোষ্ঠীর সদস্যরা যেখোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি যদিও সরকার হই, কিন্তু নিরুপায় আর অনিশ্চিতে থাকি জনগণের জীবনমালের নিশ্চয়তা নিয়ে। আমার জানা সত্ত্বেও এক অসহায় মেয়েকে মৃত্যুর কোলে থেলে দিতে পারি না। তাই ঠিক করতে বাধ্য হই কোনো এক দেশে পাঠিয়ে দিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁনো।
আমি চিন্তা করি মেয়েদের দাবিগুলো কেন এতই তুচ্ছ করে দেখা হয়। শরিয়া আইনের বিরোধীতা করতে গিয়ে এক নিরপরাধ-অসহার মেয়ে জীবন অন্য এক প্রান্তে গিয়ে ঠিকে যায়। নিষ্ঠুর। আমিও মেয়ে, যদিও সরকার। তাই জনগণের কাছে আমার করুণ আকুতি এমন নিষ্ঠুরতা করবেন না। ধর্মের জন্য নিষ্ঠুরতা করবেন না। ধর্ম নয়, বর্ণ নয়, কর্ম করতে হবে দেশের উন্নতি সাধনে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




