আমাদের বর্তমান প্রজন্মের এক অংশ রাজনীতি ঘৃণা করে ইহা যেমন সত্য তেমনি আবার এ প্রজন্মের অনেকে আছেন যারা এই রাজনীতিকে পুঁজি করে ছাত্র অবস্থায় কোটিপতি হতে চায় বা চেষ্টারত আছে এ ও সত্য !
আসলে আজকে হযবরল মেলা চিন্তা ভর করছে সেগুলি লিখে যাচ্ছি এর বেশী কিছু নয়। যা অলীক কল্পনা মাত্র!
চলেন একটু সেই আশির দশকে ছাত্র রাজনীতির হাওয়া লাগাই। তখন সারা বাংলাদেশে একটা নাম খুব হিট ছিল অভি ! যার মাকে রত্না গর্ভ বলা হতো।
সেই অভি পরবর্তীতে দুই বার এম পি হলো এবং শেষমেশ তিন্নি নামক এক মডেল হত্যার আসামী হয়ে ফেরার। বর্তমানে খুব সম্ভবত কানাডা আছেন।
শুনলাম সে হত্যা মামলার রায় নাকি হবে এতদিন পর। অথচ তার যেই মেধা ছিল তিনি অনেক বড় কিছু হতে পারতেন। দেশকে কতকিছু দিতে পারতেন। সেই ক্ষমতা আর টাকার লোভ আজকে তাকে এই অবস্থার সামনে এনে দাঁড় করিয়েছেন।
আমার ব্যাক্তিগত একটা ঘটনা বলি তখন কলেজে পড়ি। এই স্যার! সেই স্যার! কোচিং ইত্যাদি পুরা দৌড়ের উপর। সে সময় আমার মহল্লায় একটা নিউজস্ট্যান্ড ছিল। যার ছিল উনি আমার বাবার পরিচিত। তো বাবা আমাকে তাঁর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং বলে কিছু লাগলে মানে পেপার, ম্যাগাজিন লাগলে যেন তাঁর কাছ থেকে নেই।
তাঁর নিউজস্ট্যান্ড এর সামনে দিয়ে কলেজ এবং কোচিং এ যেতাম। একদিন তিনি আমাকে দেখে ডাকলেন। আমার মোটা মোটা অংকের কিতাব দেখে বলতে লাগলো " এত পইড়া কি করবা? দেশের প্রধানমন্ত্রীই তো এত পড়ে নাই ! " এরচেয়ে ভালো বই দুইটা বিক্রি করে একটা ভারতীয় মেশিন কিনে রাজনীতিতে যাও দেখবা দুই দিন পর বহু টাকার মালিক! আমি জ্বি আচ্ছা, সালাম দিয়ে চলে আসি। এই হলো দেশের রাজনীতি! চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আরো কত যে বাজি আছে আল্লাহ মালুম !
খবরে দেখলাম তৃতীয় লিংগের একজনের কাছে আওয়ামী লীগের এক প্রার্থী ধরাশায়ী ! তৃতীয় লিংগের এত জোর !
আচ্ছা, আমি প্রায় ই ভাবি আপনারাও ভাবেন কি না? এই যে বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে তারা আর কতদিন থাকবে? দশ, কুড়ি, ত্রিশ বছর! তারপর? তারপর?
বর্তমানে রাজনীতির যে চেহারা দেখছি তাতে করে বিশাল একটা সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে বা যাচ্ছে মনে হয়।
ধরেন আল্লাহ না করুক বেগম জিয়ার কিছু হয়ে গেলো আর বি এন পি কঠিন আন্দোলন দিয়ে দিল। সরকার সামলাতে পারলো না। সরকার পতন হলো। নির্বাচন হলো বি এন পি এলো ক্ষমতায়।
সবার আগে কি ঘটবে জানেন? বংগবন্ধুর যত প্রতিকৃতি আছে তা ভাংগা হবে। রাতারাতি মিডিয়া গুলি তারেক বন্দনা শুরু করে দিবে। তারেক খুব জলদি দেশে চলে আসবে মামলা সব শেষ। বেকসুর খালাস! একদম খালাস !
তিনি এসে সেসব আর্মি অফিসারদের খুঁজবে যারা তাকে মেরেছে বস্তায় ভরে মুখোশ পড়ে !
আওয়ামীলীগের দেশপ্রেমিক বহু নেতা আগেই পালিয়ে যাবে মালয়েশিয়া, কানাডা আরও যেসব দেশ সেকেন্ড হোম হিসেবে রেখে দিয়েছে। যেমন এখন কোথায় আছে হারিশ চৌধুরী? কেউ জানে? জানে না। অথচ এক সময় তার নাম শোনা যেতো টিভি খুললেই।
আফগানিস্তান এর মতন রাতের আঁধারে প্রাইভেট বিমানে করে অনেকে পালিয়ে যাবে। যুদ্ধাপরাধী মামলা নতুন করে শুরু হবে যাতে আওয়ামী লীগের টপ লিডার এসে পড়বে আর প্রমাণ করা তখন কোন ব্যাপার হবে না। আরেক নতুন অধ্যায় দেখা শুরু করব।
আওয়ামীলীগের গড়া মেট্রোরেলে চড়ে তারা আওয়ামীলীগ কে করে খুঁজে বের করবে। ভাবা যায় বিষ কতদূর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে ! আমরাও তখন ইনিয়েবিনিয়ে বলতে শুরু করে দিব
তারেক সবার সেরা! দেশ চলেনা তারেক ছাড়া !
হয়তো রাঘব বোয়ালরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হবে কিন্তু পুটি, ঝাটকা মাছ গুলি ধরা পড়বে সমানে ক্রস ফায়ার চলবে সমানে ! মামলা " অ " পরেও!
যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়া বাকি ! ভালো লাগছেনা।
ছিঃ! কি বিশ্রী এই রাজনীতি ! এভাবে " গনতন্ত্র " কেতাবী একটা শব্দ হয়ে ঘুরে বেড়াবে দেশের কোণায় কোণায় ! ভালো থাকবেন সকলে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৩