দেশে শীত আসা মানে এক তো গলির মোড়ে চায়ের টং এ ভীড় বেশী আর পিঠা খাওয়ার মজা। এই মজার ভীড়ে আরেক টা সামিল হয় সেটা হলো নর নারীর মিলন মেলা মানে বিয়ে-শাদি । আমার মনে হয় উপমহাদেশে শীতের মৌসুমে এই বিয়ে - শাদির ধুম পড়ে যায়। এর মধ্যে বহু সেলিব্রেটি এই শুভ কামে ঝাপিয়ে পড়ে। এইতো সম্প্রতি সেক্সি শিলা ক্যাট এবং ভিকি এই মহৎ কর্ম করেছেন। এই নিয়ে বহু মিম বাজারে চলেছে। যেমন সালমান ভক্তরা একটা মিম বানিয়েছিল ক্যাট এবং ভিকির ছবি দিয়ে নীচে লিখে দিয়েছে " তুমি আজ রাতে যা করতে যাচ্ছ ভাই বহু আগে তা করে নিয়েছে ! " ঘটনা সত্য !
তেমনি আমাদের দেশের এক সেক্সি শিলার বিয়ে ঠিক হয়েছে ছেলে মার্কিনী। সেই খুশিতে প্রিয় বন্ধবীকে ফোন দিয়েছে। চলেন এদের টেলিফোনের চুম্বক আলোচনা শুনি।
শিলা ঃ হ্যালো, বীথি। কেমন আছিস?
বীথি ঃ হ্যালো, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।
তোর কি খবর এতদিন পর ফোন। হালকা রাগের সুরে।
শিলা ঃ আরে না, খুব বিজি ছিলাম এই কয়দিন। শোন, একটা সারপ্রাইজ আছে।
বীথি ঃ কি সারপ্রাইজ? জলদি বল।
শিলা ঃ আরে বলে দিলে সারপ্রাইজ থাকলো কই?
বীথি ঃ ঐ ফকিন্নি! জলদি ক নইলে ফোন রাখলাম।
শিলা ঃ আসলে হইছে কি ! একটু সময় নিয়ে ওদিক থেকে বীথি বলছে, কি হইছে প্রেমট্রেম নাকি !
শিলা ঃ আরে না,
বীথি ঃ তাইলে কি?
শিলা ঃ সামনের জুম্মায় আমার শাদি মোবারক ।
বীথি ঃ কি? কস কি ফকিন্নী ! ছেলে কি করে?
শিলা ঃ মার্কিনী, একটা কোম্পানির ম্যানেজার। ওখানে বড় হয়েছে তবে ভালো বাংলা বলতে পারে। দেখতে সুশীল এবং নম্র ভদ্র। এই বলে দম ছাড়লো ।
বীথি ঃ বাহবা! এখনই এত প্রশংসা ! শোন কিছু জরুরি কথা কই ?
শিলা ঃ কি? বল?
বীথি ঃ ছেলে যেহেতু ওখানে জন্ম তাই ভালো করে বাজিয়ে নিবি। ওদিকে কিন্তু মরদবাজ ও অনেক আছে। মানে ছেলে ছেলে ইয়ে আর কি!
শিলা ঃ যা! মুখে কিছু আটকায় না।
বীথি ঃ ভালো কইতো । তাই খারাপ। আরো কিছু কই শোন।
শিলা ঃ কি?
বীথি ঃ বাসর ঘরে যদি তোরে চোখ বন্ধ করে কোন গিফট দেয়ার কথা বলে চোখ খোলা রাখবি।
শিলা ঃ কেন ?
বীথি ঃ আরে পরে দেখবি তোরে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে দিয়েছে। তারপর...
শিলা ঃ তারপর কি ?
বীথি ঃ তারপর তোর কাপড়চোপড় সব কিছু খুলে নিবে। এরপর বলবে হাত পায়ে ভর করে উপুড় হও কুত্তার মতন। এরপর..
শিলা ঃ এরপর কি ?
বীথি ঃ এরপর চামড়ার তৈরী চাবুক দিয়ে ক্রস ক্রস করে তোর নিতম্ব বরাবর এটাক !
শিলা এসব শুনে তবদা খেয়ে গেলো। বিষয় টা ভিজুয়ালি দেখছে এমন মনে হচ্ছে। এসব বলে কি বীথি ! প্রায় বাকরুদ্ধ । কোন সাড়া শব্দ নাই শিলার প্রায় ৩০ সেকেন্ড ! এদিকে বীথি হ্যালো, শুনছিস । ঐ ফকিন্নি ! মইরা গেলি নাকি ! ইত্যাদি যা তা বলছে। ৩০ সেকেন্ড পর শিলার হুশ ফিরে এলো। শুকনো গলায় বলতে লাগলো এখন রাখিরে মা ডাকছে।
বীথি ঃ ওকে, ভয় পাইছ না। কাল সকালে আমার বাসায় চলে আয়। বাসার কাছে হার্ড ওয়ার দোকান আছে। তোরে ভালো একটা শিকল আর গোল্লা বেত কিনে দিমুনে।
মার্কিনী কি খেইল দেখাইব ! তার আগে তুই শুরু কইরা দিবি। বুঝলি না ব্যাপারটা ! হা হা হি হি। শুভ কামনা রইল।
শিলা ঃ হ্যাঁ এবং না দুইটা মিলে উত্তর দিল।
ফোন রেখে ভাবনায় ডুবে গেল। সত্যি যদি এমন হয় তবে ? যে উত্তেজনা নিয়ে ফোন দিয়েছিল প্রিয় বন্ধবীকে যার তাপ গোটা থার্মোমিটার এর সর্বোচ্চ স্কেলে ছিল এখন উহা গলতে গলতে হিমাংকের নীচে। এই শীতের রাতে ভয়ে থরথর করে কাঁপছে !
চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫