
দুনিয়াটা মোটেও কোন রোমান্টিক জায়গা নয়। যদিও এখানে প্রেম নিয়ে কত খুনাখুনি রক্তারক্তি কত ইতিহাস কাহানী রচিত হয়।
এইতো যেই মেয়েটা একটু বড় হওয়ার পর শুধু স্বপন বুনে চলেছে কেউ একজন তাকে পাগলের মতন ভালোবাসবে। দুনিয়া এক দিকে সে তার দিকে।
উজাড় করে ভালোবাসবে কোন কৃপনতা এমন কি রইবে না ডর ভয় ।মিথ্যে আশ্বাস অন্যকিছু চলবে না শুধু প্রেম আর প্রেম !অন্য কিছু নয়।
ঠিকই একদিন মেয়েটার জীবনে কেউ আসে উজাড় করে ভালো ও বাসে। হলুদ মেখে বন্ধু বান্ধবের সাথে হাসে। মা বাবার ঘর ছেড়ে ঠাঁই নেয় অন্যের ঘরে। বেলা গড়াতে গড়াতে হঠাৎ আসে তুফান। মেয়েটা দেখে একটা খুনি যেছিল দীর্ঘদিন এর জান পেহচান ! এফোড় ওফোড় হয় হ্রদপিন্ড ! মরতে মরতে মেয়েটা জানে এজন্য এত অপেক্ষা ! খুনিই ছিল রাত দিন পাশে!
ছোট ছেলেটির তিন কুলে নেই কেউ। অভাবে অসুখে-বিসুখে রাত দিন কাটে। এলাকার মাতব্বর মাদ্রাসা চালায় সেখানে সেই ছেলেটি থাকে। কদিন যেতেই মাদ্রাসার হুজুর হাত পা টিপার ছলে মিম্বরে ডাকে। সময় গড়ায় একদিন হুজুর এর চাহনি বদলে যায়। ছেলেটা বাঁচতে চায়। ইজ্জত দিতে দিতে ক্লান্ত হাঁপিয়ে যায়! শেষমেশ রশিতে পেন্ডুলামের মতন ঝুলে! বিচার করবে কোন শালায়? জ্বিনে মেরেছে জ্বিনে মেরেছে খবর চৌদিকে রটে যায়!
দেশের উন্নয়ন আহ ! কি সুন্দর। তবুও বেকার মফিজ দিবে পাড়ি মরু সমুদ্দুর। চোখ ভরা স্বপ্ন। মাঝপথে আচমকা নামে কারবালা! মিঠা পানির অভাবে ছটফটিয়ে প্রাণ ফালাফালা! খবর হয় এদিক সেদিক। কালেমা পড়তে পড়তে উন্নয়ন দেখতে চায় বেকার মফিজ !
শঙ্খচুড় সাপের মতন হিসহিস শরীর মোচড়ে বেশ্যাটি মরদ পোষে দুই রানের চিপায়। মরদের মিলে শরীর। বেশ্যার টাকা লগে তিন বেলা ভাত ভর্তি থালা ! বেশ্যা গুনে লয় টাকা আর খিলখিল হাসে। সস্তা ব্রেসিয়ারের নীচে ঘামে ভেজা স্তনের খাজে সযত্নে ঘুমিয়ে দেশের বড় নেতা বেশ্যার তাতে কিবা যায় আসে !
দুনিয়া মস্ত বড় সিনেমা হল নানাবিধ ঘটনা চলতে থাকে যার পর্দায় ! তবুও মানুষ দুনিয়া চায়। কেউ এখানে স্বপন দেখায়। কেউ ফুটায় ফুল কেউবা হুল ! দুনিয়া একদম বিচ্ছিরি ছিনালি পনায় ঠাসা। কোন রোমান্টিক জায়গা কি হয়? যেখানে জীবন মানে উলট পালট ছক্কা পাশা অন্য কিছু নয় !
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



